এবং রাত্রিকালে[১] ও তারকারাজির অস্তগমনের পর[২] তার পবিত্রতা ঘোষণা কর।
[১] এ থেকে 'কিয়ামুল লাইল' অর্থাৎ, তাহাজ্জুদের নামায বুঝানো হয়েছে। যে নামায নবী করীম (সাঃ) সারা জীবন পড়েছেন।
[২] أيْ وَقْتَ إِدْبَارِهَا مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ (রাতের শেষ প্রহরে তারকারাজি অদৃশ্য হওয়ার সময়)। এ থেকে ফজরের দু' রাকআত সুন্নতকে বুঝানো হয়েছে। নফল নামাযের মধ্যে এই দু' রাকআত নামাযের প্রতি নবী করীম (সাঃ) সব চাইতে বেশী যত্ন নিতেন। আর একটি বর্ণনায় এসেছে যে, তিনি (সাঃ) বলেছেন, "ফজরের দু' রাকআত সুন্নত পৃথিবী ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়েও শ্রেয়।" (বুখারীঃ তাহাজ্জুদ অধ্যায়, মুসলিমঃ নামায অধ্যায়)
2 Tafsir Abu Bakr Zakaria
আর তাঁর পবিত্ৰতা ঘোষণা করুন রাতের বেলা [১] ও তারকার অস্ত গমনের পর [২]।
[১] অর্থাৎ রাত্রে পবিত্ৰতা ঘোষণা করুন। এর অর্থ মাগরিব, ইশা এবং তাহাজ্জুদের সালাত। সাথে সাথে এর দ্বারা কুরআন তিলাওয়াত, সাধারণ তাসবীহ পাঠ এবং আল্লাহর যিকরও বুঝানো হয়েছে। [দেখুন, কুরতুবী]
[২] অর্থাৎ তারকা অস্তমিত হওয়ার পর। এখানে ফজরের সালাত ও তখনকার তাসবীহ পাঠ বোঝানো হয়েছে। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, এখানে ফজরের সালাতের পূর্বের দু' রাকাআত সুন্নাত সালাতকে বুঝানো হয়েছে। এ দু' রাকাআত সালাতের ব্যাপারে হাদীসে বহু তাগীদ দেয়া হয়েছে। [কুরতুবী] হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন সুন্নাত সালাতের ব্যাপারে ফজরের দু' রাকাআত সুন্নাত সালাতের চেয়ে বেশী গুরুত্ব দিতেন না। [বুখারী; ১১৬৯, মুসলিম; ৯৪] অপর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ফজরের দু' রাকাআত সালাত দুনিয়া ও তাতে যা আছে তার থেকেও উত্তম”। [মুসলিমঃ ৯৬]
3 Tafsir Bayaan Foundation
আর রাতের কিছু অংশে এবং নক্ষত্রের অস্ত যাবার পর তার তাসবীহ পাঠ কর।
4 Muhiuddin Khan
এবং রাত্রির কিছু অংশে এবং তারকা অস্তমিত হওয়ার সময় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
5 Zohurul Hoque
আর রাতের বেলায়ও তবে তাঁর জপতপ করো এবং তারাগুলো ঝিমিয়ে যাবার সময়েও।