Skip to main content

قَدْ سَمِعَ اللّٰهُ قَوْلَ الَّتِيْ تُجَادِلُكَ فِيْ زَوْجِهَا وَتَشْتَكِيْٓ اِلَى اللّٰهِ ۖوَاللّٰهُ يَسْمَعُ تَحَاوُرَكُمَاۗ اِنَّ اللّٰهَ سَمِيْعٌۢ بَصِيْرٌ   ( المجادلة: ١ )

qad
قَدْ
Indeed
নিশ্চয়ই
samiʿa
سَمِعَ
Allah has heard
শুনেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
Allah has heard
আল্লাহ্‌
qawla
قَوْلَ
(the) speech
কথা
allatī
ٱلَّتِى
(of) one who
(সেই নারীর) যে
tujādiluka
تُجَٰدِلُكَ
disputes with you
তোমার সাথে তর্কবিতর্ক করছে
فِى
concerning
ব্যাপারে
zawjihā
زَوْجِهَا
her husband
তার স্বামীর
watashtakī
وَتَشْتَكِىٓ
and she directs her complaint
এবং অভিযোগ করছে
ilā
إِلَى
to
কাছে
l-lahi
ٱللَّهِ
Allah
আল্লাহ্‌র
wal-lahu
وَٱللَّهُ
And Allah
এবং আল্লাহ্‌
yasmaʿu
يَسْمَعُ
hears
শুনছেন
taḥāwurakumā
تَحَاوُرَكُمَآۚ
(the) dialogue of both of you
তোমাদের দুজনের কথাবার্তা
inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
Allah
আল্লাহ্‌
samīʿun
سَمِيعٌۢ
(is) All-Hearer
সবকিছু শোনেন
baṣīrun
بَصِيرٌ
All-Seer
সবকিছু দেখেন

Qad sami'al laahu qawlal latee tujaadiluka fee zawjihaa wa tashtakeee ilal laahi wallaahu yasma'u tahaawurakumaa; innal laaha samee'um baseer (al-Mujādilah ৫৮:১)

English Sahih:

Certainly has Allah heard the speech of the one who argues [i.e., pleads] with you, [O Muhammad], concerning her husband and directs her complaint to Allah. And Allah hears your dialogue; indeed, Allah is Hearing and Seeing. (Al-Mujadila [58] : 1)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আল্লাহ তার কথা শুনেছেন যে নারী (খাওলাহ বিনত সা‘লাবাহ) তার স্বামীর বিষয়ে তোমার সাথে বাদানুবাদ করছে আর আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাচ্ছে, আল্লাহ তোমাদের দু’জনের কথা শুনছেন, আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (আল মুজাদালাহ [৫৮] : ১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

(হে রসূল!) অবশ্যই আল্লাহ শুনেছেন সেই নারীর কথা, যে তার স্বামীর বিষয়ে তোমার সাথে বাদানুবাদ করছে এবং আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করছে। আল্লাহ তোমাদের কথোপকথন শুনেন।[১] নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।

[১] এখানে খাওলা বিনতে মালেক বিন সা'লাবা (রাঃ) র ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। তাঁর স্বামী তাঁর সাথে 'যিহার' করেছিল। 'যিহার' মানে স্ত্রীকে এই বলা যে, 'তুমি আমার কাছে আমার মায়ের পিঠের মত।' জাহেলী যুগে যিহারকে তালাক গণ্য করা হত। সুতরাং খাওলা (রাঃ) বড়ই অস্থির হয়ে পড়েন। আর তখন যিহারের ব্যাপারে কোন বিধান অবতীর্ণ হয়নি। ফলে তিনি রসূল (সাঃ)-এর কাছে এলেন। তিনিও এ ব্যাপারে একটু নীরবতা অবলম্বন করলেন এবং খাওলা (রাঃ) তাঁর সাথে বাদানুবাদ করেই যাচ্ছিলেন। ঠিক এ সময়ই এই আয়াতগুলো নাযিল হয়। এতে যিহারের মাসআলা, তার বিধান এবং তার কাফফারার কথা বর্ণনা করে দেওয়া হয়েছে। (আবূ দাউদ তালাক অধ্যায়ঃ যিহার পরিচ্ছেদ) আয়েশা (রাঃ) বলেন, মহান আল্লাহ কিভাবে মানুষের কথা শুনে থাকেন যে, একটি মহিলা রসূল (সাঃ)-এর সাথে বাদানুবাদ করছিল এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করছিল। আমি তার কথা শুনতে পাইনি, কিন্তু মহান আল্লাহ সাত আসমানের উপর থেকে তার কথা শুনে নিয়েছেন। (ইবনে মাজাহঃ ভূমিকা, বুখারীতেও বিনা সনদে সংক্ষিপ্তভাবে তাওহীদ অধ্যায়ে এ বর্ণনা রয়েছে)