Skip to main content

بَدِيْعُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ اَنّٰى يَكُوْنُ لَهٗ وَلَدٌ وَّلَمْ تَكُنْ لَّهٗ صَاحِبَةٌ ۗوَخَلَقَ كُلَّ شَيْءٍۚ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ   ( الأنعام: ١٠١ )

badīʿu
بَدِيعُ
Originator
তিনি স্রষ্টা
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
(of) the heavens
আকাশসমূহের
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِۖ
and the earth
ও পৃথিবীর
annā
أَنَّىٰ
How
কিরূপে
yakūnu
يَكُونُ
can be
হবে
lahu
لَهُۥ
for Him
জন্যে তাঁর
waladun
وَلَدٌ
a son
কোনো সন্তান
walam
وَلَمْ
while not
অথচ নি
takun
تَكُن
(there) is
হয়
lahu
لَّهُۥ
for Him
জন্যে তাঁর
ṣāḥibatun
صَٰحِبَةٌۖ
a companion
কোনো সঙ্গিনী
wakhalaqa
وَخَلَقَ
and He created
এবং তিনি সৃষ্টি করেছেন
kulla
كُلَّ
every
সব
shayin
شَىْءٍۖ
thing?
কিছুই
wahuwa
وَهُوَ
And He
এবং তিনি
bikulli
بِكُلِّ
(is) of every
সম্পর্কে সব
shayin
شَىْءٍ
thing
কিছু
ʿalīmun
عَلِيمٌ
All-Knower
সবিশেষ অবহিত

Badee'us samaawaati wal ardi annnaa yakoonu lahoo waladunw wa lam takul lahoo saahibatunw wa khalaqa kulla shai'in 'Aleem (al-ʾAnʿām ৬:১০১)

English Sahih:

[He is] Originator of the heavens and the earth. How could He have a son when He does not have a companion [i.e., wife] and He created all things? And He is, of all things, Knowing. (Al-An'am [6] : 101)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তিনি আকাশমন্ডলী ও যমীনের উদ্ভাবক, কীভাবে তাঁর সন্তান হতে পারে যেহেতু তাঁর কোন সঙ্গীণীই নেই, সব কিছু তো তিনিই সৃষ্টি করেছেন, আর প্রতিটি জিনিস সম্পর্কে তিনি পূর্ণ জ্ঞান রাখেন। (আল আনআম [৬] : ১০১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তিনি আকাশমন্ডলী ও ভূমন্ডলের উদ্ভাবনকর্তা, তাঁর সন্তান হবে কিরূপে? তাঁর তো কোন স্ত্রী নেই, তিনিই তো সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন[১] এবং প্রত্যেক বস্তু সম্বন্ধে তিনিই সবিশেষ অবহিত।

[১] অর্থাৎ, যেমন আল্লাহ তাআলা এই সমস্ত জিনিসকে সৃষ্টি করার ব্যাপারে এক ও একক, তাঁর কোন শরীক নেই, অনুরূপ তিনিই এই যোগ্যতার দাবী রাখেন যে, একমাত্র কেবল তাঁরই ইবাদত করা হোক। তাঁর ইবাদতে অন্য কাউকে শরীক স্থির করা না হোক। কিন্তু মানুষ এই একক সত্তাকে বাদ দিয়ে জ্বিনদেরকে তাঁর শরীক বানিয়ে নিয়েছে। অথচ তারাও আল্লাহ কর্তৃক সৃষ্ট। মুশরিকরা তো মূর্তির অথবা কবরে সমাধিস্থ ব্যক্তিবর্গের পূজা করত। কিন্তু এখানে বলা হয়েছে যে, তারা জ্বিনদেরকে আল্লাহর শরীক বানিয়ে রেখেছে। আসলে ব্যাপার হল, এখানে জ্বিনদের বলতে শয়তানদেরকে বুঝানো হয়েছে এবং শয়তানদের কথা অনুযায়ীই শিরক করা হয়, তাই প্রকৃতপক্ষে পূজা ও উপাসনা শয়তানেরই করা হয়। এই বিষয়টাকে কুরআন কারীমের বিভিন্ন স্থানে বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন, সূরা নিসার ৪;১১৭ নং, সূরা মারয়্যামের ১৯;৪৪ নং, সূরা ইয়াসীনের ৩৬;৬০ নং এবং সূরা সাবা'র ৩৪;৪১ নং আয়াতে।