Skip to main content

بَلْ اِيَّاهُ تَدْعُوْنَ فَيَكْشِفُ مَا تَدْعُوْنَ اِلَيْهِ اِنْ شَاۤءَ وَتَنْسَوْنَ مَا تُشْرِكُوْنَ ࣖ  ( الأنعام: ٤١ )

"Nay
بَلْ
"(না) বরং
Him Alone
إِيَّاهُ
শুধু তাঁকেই
you call
تَدْعُونَ
ডাকো তোমরা
and He would remove
فَيَكْشِفُ
অতঃপর তিনি দূর করেন
what
مَا
যে জন্য
you call
تَدْعُونَ
তোমরা ডাকো (দু'আ করো)
upon Him
إِلَيْهِ
কাছে তাঁর
if
إِن
যদি
He wills
شَآءَ
তিনি ইচ্ছে করেন
and you will forget
وَتَنسَوْنَ
এবং (তখন) তোমরা ভুলে যাও
what
مَا
যাকে
you associate (with Him)"
تُشْرِكُونَ
তোমরা শিরক করে থাকো"

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

বরং (এমন অবস্থায়) তোমরা একমাত্র তাঁকেই ডেকে থাক, অতঃপর ইচ্ছে করলে তিনি তা দূর করে দেন যার জন্য তোমরা তাঁকে ডাক আর তোমরা যাদেরকে তাঁর অংশীদার বানাও তাদের কথা ভুলে যাও।

English Sahih:

No, it is Him [alone] you would invoke, and He would remove that for which you invoked Him if He willed, and you would forget what you associate [with Him].

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

বরং শুধু তাঁকেই ডাকবে। অতঃপর ইচ্ছা করলে তিনি তোমাদের সেই কষ্ট দূর করবেন যার জন্য তোমরা তাঁকে ডাকবে এবং যাকে তোমরা তাঁর অংশী করতে তা বিস্মৃত হবে।’ [১]

[১] أَرَءَيْتَكُمْ এ كُم সম্বোধনের জন্য। এর অর্থ, أَخْبِرُوْنِيْ (তোমরা আমাকে বল বা খবর দাও)। এই বিষয়টাকেও কুরআনের কয়েকটি স্থানে বর্ণনা করা হয়েছে। (সূরা বাক্বারার ২;১৬৫নং আয়াতের টীকা দেখুন।) এর অর্থ হল, তাওহীদ হল মানব প্রকৃতির স্বাভাবিক আহবান। মানুষ পরিবেশ অথবা পূর্বপুরুষদের অন্ধ অনুকরণের কারণে বহু শিরকীয় আকীদা ও কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে এবং গায়রুল্লাহকে প্রয়োজনাদি পূরণকারী ও বিপদাপদ দূরকারী মনে করে, তাদের নামেই মানত করে। কিন্তু যখন সে কোন কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়, তখন এ সব ভুলে যায়। তখন তার মূল প্রকৃতি এ সবের উপর বিজয়ী হয়ে যায় এবং অন্য এখতিয়ার ছাড়াই সেই সত্তাকেই ডাকে, যাঁকে ডাকা উচিত। যদি মানুষ এই প্রকৃতির উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে, তবে কতই না ভাল হয়! আখেরাতের মুক্তি তো সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক এই ডাকের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ, তাওহীদ অবলম্বন করার মধ্যেই।