قُلْ اِنِّيْ عَلٰى بَيِّنَةٍ مِّنْ رَّبِّيْ وَكَذَّبْتُمْ بِهٖۗ مَا عِنْدِيْ مَا تَسْتَعْجِلُوْنَ بِهٖۗ اِنِ الْحُكْمُ اِلَّا لِلّٰهِ ۗيَقُصُّ الْحَقَّ وَهُوَ خَيْرُ الْفَاصِلِيْنَ ( الأنعام: ٥٧ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
বল, আমি আমার প্রতিপালকের নিকট থেকে পাওয়া এক উজ্জ্বল প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত; অথচ তোমরা তা মিথ্যে মনে করেছ। যা তোমরা খুব তাড়াতাড়ি পেতে চাও (অর্থাৎ আল্লাহর আযাব) তা আমার আয়ত্তে নেই। হুকুম বা কর্তৃত্বের মালিকানা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে নেই। তিনিই সত্যকথা বর্ণনা করেন, আর তিনিই সর্বোত্তম ফায়সালাকারী।
English Sahih:
Say, "Indeed, I am on clear evidence from my Lord, and you have denied it. I do not have that for which you are impatient. The decision is only for Allah. He relates the truth, and He is the best of deciders."
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
বল, ‘আমি আমার প্রতিপালকের স্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত[১] অথচ তোমরা ঐটিকে মিথ্যাজ্ঞান করেছ। তোমরা যা সত্বর চাচ্ছ, তা আমার নিকট নেই। কর্তৃত্ব তো আল্লাহরই;[২] তিনি সত্য বিবৃত করেন[৩] এবং তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ফায়সালাকারী।’
[১] উদ্দেশ্য সেই শরীয়ত যা অহীর মাধ্যমে তাঁর (নবী করীম (সাঃ)-এর) উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে। যাতে তাওহীদকেই মূল ও প্রথম স্থান দান করা হয়েছে।
[২] সারা বিশ্বজাহানে আল্লাহরই নির্দেশ চলে এবং সমস্ত ব্যাপার তাঁরই হাতে। এই জন্য তোমরা যে চাও, সত্বর আল্লাহর আযাব তোমাদের উপর আসুক, যাতে তোমরা আমার সত্য অথবা মিথ্যা হওয়ার ব্যাপারটা জানতে পার, তো এটাও আল্লাহর এখতিয়ারাধীন। তিনি চাইলে সত্বর শাস্তি প্রেরণ করে তোমাদেরকে সতর্ক কিংবা ধ্বংস করে দেবেন এবং তিনি চাইলে সেই পর্যন্ত তোমাদেরকে অবকাশ দেবেন, যে পর্যন্ত অবকাশ দেওয়া তাঁর হিকমতের দাবী হবে।
[৩] يَقُصُّ এর উৎপত্তি হল قَصَصٌ থেকে। অর্থাৎ, يَقُصُّ قَصَصَ الْحَقِّ (সত্য কথা বর্ণনা করেন অথবা বলেন)। কিংবা قَصَّ أَثَرَهُ (কারো পিছনে অনুসরণ করা) থেকে। অর্থাৎ, يَتَّبِعُ الْحَقَّ فِيْمَا يَحْكُمُ بِهِ (নিজের ফায়সালার ব্যাপারে তিনি সত্যের অনুসরণ করেন। অর্থাৎ, সত্য ফায়সালা করেন)। (ফাতহুল ক্বাদীর)