Skip to main content

قُلْ لَّوْ اَنَّ عِنْدِيْ مَا تَسْتَعْجِلُوْنَ بِهٖ لَقُضِيَ الْاَمْرُ بَيْنِيْ وَبَيْنَكُمْ ۗوَاللّٰهُ اَعْلَمُ بِالظّٰلِمِيْنَ   ( الأنعام: ٥٨ )

Say
قُل
বলো
"If
لَّوْ
"যদি
that
أَنَّ
নিশ্চিত (থাকতো)
(were) with me
عِندِى
কাছে আমার
what
مَا
যা
you seek to hasten
تَسْتَعْجِلُونَ
তোমরা শীঘ্র চাচ্ছ
of it
بِهِۦ
বিষয় সে
surely would have been decided
لَقُضِىَ
অবশ্যই মীমাংসা (তাহলে) হয়ে যেতো
the matter
ٱلْأَمْرُ
ব্যাপারটির
between me
بَيْنِى
মাঝে আমার
and between you
وَبَيْنَكُمْۗ
ও মাঝে তোমাদের
And Allah
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহই
(is) most knowing
أَعْلَمُ
খুব অবগত
of the wrongdoers
بِٱلظَّٰلِمِينَ
সম্বন্ধে সীমালঙ্ঘনকারীদের

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

বল, তোমরা যা তাড়াতাড়ি চাচ্ছ তা যদি আমার কাছে থাকত তাহলে আমার আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যাপার তার ফায়সালা হয়ে যেত, অন্যায়কারীদের সম্পর্কে আল্লাহ খুবভাবেই অবহিত।

English Sahih:

Say, "If I had that for which you are impatient, the matter would have been decided between me and you, but Allah is most knowing of the wrongdoers."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

বল, ‘তোমরা যা সত্বর চাচ্ছ, তা যদি আমার নিকট থাকত, তাহলে আমার ও তোমাদের মধ্যেকার ব্যাপারে তো মীমাংসা হয়ে যেত।[১] আল্লাহ অনাচারীদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।’

[১] অর্থাৎ, আমার চাওয়ার কারণে যদি আল্লাহ তাআলা সত্বর আযাব প্রেরণ করতেন অথবা তিনি যদি এ জিনিসকে আমার এখতিয়ারাধীন করে দিতেন, তাহলে তোমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী আযাব প্রেরণ করে সত্বর ফায়সালা করে দেওয়া হত। কিন্তু এ ব্যাপারটা যেহেতু সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল, তাই তিনি না আমাকে এর এখতিয়ার দিয়েছেন, আর না এটা সম্ভব যে, তিনি আমার চাওয়া অনুযায়ী সত্বর আযাব প্রেরণ করবেন।

একটি জরুরী বিশ্লেষণঃ হাদীসে আছে যে, তায়েফবাসীর নিকটে নিপীড়িত হওয়ার পর পাহাড়ের ফিরিশতা আল্লাহর নির্দেশে নবী করীম (সাঃ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন যে, আপনি নির্দেশ দিলে আমি সমস্ত জনপদকে উভয় পাহাড়ের মধ্যস্থলে পিষে দেব। তিনি (সাঃ) বললেন, না। বরং আমি আশা করি আল্লাহ তাআলা এদেরই বংশ থেকে আল্লাহর ইবাদতকারী সৃষ্টি করবেন; যারা তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না।" (বুখারীঃ সৃষ্টির সূচনা অধ্যায়, মুসলিমঃ জিহাদ অধ্যায়) এই হাদীস উল্লিখিত আয়াত ও তার ব্যাখ্যার প্রতিকূল নয়, যদিও বাহ্যতঃ তাই মনে হয়। কারণ, আয়াতে আযাব চাওয়া হলে আযাব দেওয়ার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। পক্ষান্তরে হাদীসে মুশরিকদের চাওয়া ছাড়াই কেবল তাদের কষ্ট দেওয়ার ফলে তাদের উপর আযাব প্রেরণ করার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করা হয়েছে; যা তিনি (সাঃ) পছন্দ করেননি।