Skip to main content

هُمُ الَّذِيْنَ يَقُوْلُوْنَ لَا تُنْفِقُوْا عَلٰى مَنْ عِنْدَ رَسُوْلِ اللّٰهِ حَتّٰى يَنْفَضُّوْاۗ وَلِلّٰهِ خَزَاۤىِٕنُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۙ وَلٰكِنَّ الْمُنٰفِقِيْنَ لَا يَفْقَهُوْنَ   ( المنافقون: ٧ )

They
هُمُ
তারা (ঐ লোক)
(are) those who
ٱلَّذِينَ
যারা
say
يَقُولُونَ
বলে
"(Do) not
لَا
"না
spend
تُنفِقُوا۟
তোমরা খরচ করো
on
عَلَىٰ
(তাদের) জন্য
(those) who
مَنْ
যারা (আছে)
(are) with
عِندَ
কাছে
(the) Messenger
رَسُولِ
রাসূলের
(of) Allah
ٱللَّهِ
আল্লাহর
until
حَتَّىٰ
যতক্ষণ না
they disband"
يَنفَضُّوا۟ۗ
তারা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়"
And for Allah
وَلِلَّهِ
অথচ আল্লাহরই
(are the) treasures
خَزَآئِنُ
ধনভাণ্ডারসমূহ
(of) the heavens
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আসমানসমূহের
and the earth
وَٱلْأَرْضِ
ও যমীনের
but
وَلَٰكِنَّ
কিন্তু
the hypocrites
ٱلْمُنَٰفِقِينَ
মুনাফিকরা
(do) not
لَا
না
understand
يَفْقَهُونَ
তারা বুঝে

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা বলে- ‘রসূলের সঙ্গী সাথীদের জন্য অর্থ ব্যয় করো না, শেষে তারা এমনিতেই সরে পড়বে।’ আসমান ও যমীনের ধন ভান্ডার তো আল্লাহরই, কিন্তু মুনাফিকরা তা বুঝে না।

English Sahih:

They are the ones who say, "Do not spend on those who are with the Messenger of Allah until they disband." And to Allah belong the depositories of the heavens and the earth, but the hypocrites do not understand.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তারাই বলে, ‘আল্লাহর রসূলের কাছে যারা আছে তাদের জন্য ব্যয় করো না; যতক্ষণ না তারা সরে পড়ে।’[১] বস্তুতঃ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর ধন-ভান্ডার তো আল্লাহরই।[২] কিন্তু মুনাফিক (কপট)রা তা বুঝে না। [৩]

[১] এক যুদ্ধে (যাকে ঐতিহাসিকগণ 'মুরাইসী' অথবা 'বানী মুসত্বালাক' বলেন) একজন মুহাজির এবং একজন আনসার সাহাবীর মাঝে ঝগড়া বেধে যায়। উভয়েই নিজের নিজের সাহায্যের জন্য মুহাজির ও আনসার সাহাবীদেরকে ডাকাডাকি শুরু করেন। এটাকে কেন্দ্র করে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই (মুনাফিক) আনসারদেরকে বলল যে, 'তোমরা মুহাজিরদেরকে সাহায্য করেছ এবং তাঁদেরকে নিজেদের সাথে রেখেছ। এখন দেখ তার ফল কি সামনে আসছে। অর্থাৎ, তোমাদেরই খেয়ে তোমাদেরকেই দাঁত দেখাচ্ছে! (তোমরা আসলে দুধ-কলা দিয়ে কাল সাপ পুষছ!) আর এর চিকিৎসা হল এই যে, তাঁদের জন্য ব্যয় করা বন্ধ করে দাও। দেখবে তাঁরা আপনা-আপনিই কেটে পড়বে।' সে (আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই) এ কথাও বলেছিল যে, 'আমরা (যারা সম্মানী লোক তারা) এই হীন (মুহাজির) লোকগুলোকে মদীনা থেকে বহিষ্কার করে দেব।' যায়েদ ইবনে আরক্বাম (রাঃ) তার এই জঘন্য কথাবার্তা শুনে নেন এবং রসূল (সাঃ)-কে তা জানিয়ে দেন। তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে সে পরিষ্কার অস্বীকার করে দেয়। ফলে যায়েদ ইবনে আরক্বাম (রাঃ) চরমভাবে ব্যথিত হন। মহান আল্লাহ যায়েদ ইবনে আরক্বাম (রাঃ)-এর সত্যবাদিতা প্রমাণের জন্য সূরা মুনাফিক্বুন অবতীর্ণ করেন এবং এর দ্বারা ইবনে উবায়ের নোংরা চরিত্রের মুখোশ পূর্ণরূপে খুলে দেন। (বুখারী, সূরা মুনাফিকূনের তফসীর পরিচ্ছেদ)

[২] অর্থাৎ, মুহাজিরদের রুযীর মালিক তো আল্লাহ। কারণ, সকল প্রকার রুযীর ভান্ডার তাঁরই কাছে। তিনি যাকে চান তা দান করেন এবং যাকে চান না বঞ্চিত করেন।

[৩] মুনাফিকরা এই বাস্তবতাকে জানে না। তাই তারা মনে করে যে, আনসাররা যদি মুহাজিরদের প্রতি সাহায্যের হাত না বাড়ায়, তাহলে তাঁরা না খেয়ে মারা যাবেন।