خُذْ مِنْ اَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيْهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْۗ اِنَّ صَلٰوتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْۗ وَاللّٰهُ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ ( التوبة: ١٠٣ )
Khuz min amwaalihim sadaqtan tutahhiruhum wa tuzakkeehim bihaa wa salli 'alaihim inna salaataka sakanul lahum; wallaahu Samee'un 'Aleem (at-Tawbah ৯:১০৩)
English Sahih:
Take, [O Muhammad], from their wealth a charity by which you purify them and cause them increase, and invoke [Allah's blessings] upon them. Indeed, your invocations are reassurance for them. And Allah is Hearing and Knowing. (At-Tawbah [9] : 103)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তাদের সম্পদ থেকে সদাকাহ গ্রহণ করবে যাতে তা দিয়ে তাদেরকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করতে পার। তুমি তাদের জন্য দু‘আ করবে, বস্তুতঃ তোমার দু‘আ তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক, আর আল্লাহ সবকিছু শোনেন সব কিছু জানেন। (আত তাওবাহ [৯] : ১০৩)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তুমি তাদের ধন-সম্পদ হতে সাদাকাহ গ্রহণ কর, যার দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র ও পরিশোধিত করে দেবে। আর তাদের জন্য দুআ কর,[১] নিঃসন্দেহে তোমার দুআ হচ্ছে তাদের জন্য শান্তির কারণ। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।
[১] এটা সাধারণ আদেশ। স্বাদাক্বাহ থেকে উদ্দেশ্য ফরযকৃত স্বাদাক্বাহ অর্থাৎ যাকাত হতে পারে, আবার নফল স্বাদাক্বাহও হতে পারে। এখানে নবী (সাঃ)-কে আদেশ দেওয়া হচ্ছে যে, স্বাদাক্বাহ দ্বারা তুমি মুসলিমদেরকে পবিত্র কর। এতে এই কথা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, যাকাত ও স্বাদাক্বাহ মানুষের আখলাক-চরিত্রকে পবিত্র করার একটি বড় উপায়। এ ছাড়া স্বাদাক্বাহ কে স্বাদাক্বাহ এই জন্য বলা হয় যে, স্বাদাক্বাহ দাতা নিজের ঈমানের দাবীতে সত্যবাদী। দ্বিতীয় বিষয় এটাও বুঝা যাচ্ছে যে, স্বাদাক্বাহ উসুলকারীর উচিত, স্বাদাক্বাহদাতার জন্য দু'আ করা। যেমন এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা নিজ পয়গম্বর (সাঃ)-কে দু'আ করার আদেশ দিয়েছেন এবং নবী (সাঃ) উক্ত আদেশ অনুযায়ী দু'আ করতেন। এই সাধারণ আদেশ থেকে এটাও দলীল নেওয়া হয়েছে যে, যাকাত উসূল করার দায়িতত্ত্ব সমসাময়িক বাদশা বা শাসকের। যদি কেউ তা প্রদান করতে অস্বীকার করে, তবে আবু বাকর (রাঃ) ও সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ)গণের আমল অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে জিহাদ করা অপরিহার্য। (ইবনে কাসীর)