Skip to main content

عَفَا اللّٰهُ عَنْكَۚ لِمَ اَذِنْتَ لَهُمْ حَتّٰى يَتَبَيَّنَ لَكَ الَّذِيْنَ صَدَقُوْا وَتَعْلَمَ الْكٰذِبِيْنَ   ( التوبة: ٤٣ )

ʿafā
عَفَا
(May) Allah forgive
ক্ষমা করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
(May) Allah forgive
আল্লাহ
ʿanka
عَنكَ
you!
তোমার বিষয়কে
lima
لِمَ
Why (did)
কেন
adhinta
أَذِنتَ
you grant leave
অব্যহতি দিলে
lahum
لَهُمْ
to them
তাদেরকে
ḥattā
حَتَّىٰ
until
যতক্ষণ না
yatabayyana
يَتَبَيَّنَ
(became) evident
সুস্পষ্ট হয়ে যায়
laka
لَكَ
to you
তোমার কাছে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
those who
যারা
ṣadaqū
صَدَقُوا۟
were truthful
সত্য বলেছে
wataʿlama
وَتَعْلَمَ
and you knew
ও তুমি জানতে পারো
l-kādhibīna
ٱلْكَٰذِبِينَ
the liars?
মিথ্যাবাদীদেরকে

'Afal laahu 'anka lima azinta lahum hattaa yatabai yana lakal lazeena sadaqoo wa ta'lamal kaazibeen (at-Tawbah ৯:৪৩)

English Sahih:

Allah has pardoned you, [O Muhammad, but] why did you give them permission [to remain behind]? [You should not have] until it was evident to you who were truthful and you knew [who were] the liars. (At-Tawbah [9] : 43)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন। কারা সত্য বলেছে তা স্পষ্ট না হতেই আর মিথ্যাবাদীদেরকে তুমি না চিনেই কেন তুমি তাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে দিলে? (আত তাওবাহ [৯] : ৪৩)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন। তোমার নিকট সত্যবাদী স্পষ্ট ও মিথ্যাবাদী জ্ঞাত হওয়ার পূর্বে তুমি তাদেরকে অনুমতি কেন দিলে?[১]

[১] এখানে নবী (সাঃ)-কে সম্বোধন করে বলা হচ্ছে যে, জিহাদে শরীক না হওয়ার অনুমতি প্রার্থীদেরকে তাদের ওজর সত্য ছিল কি না, তা তদন্ত করে না দেখে কেন অনুমতি দিয়ে দিলে? কিন্তু এই তিরস্কারেও স্নেহের প্রভাব বেশী ছিল। এই জন্য উক্ত ত্রুটির ক্ষমার কথা প্রথমেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জেনে রাখা দরকার যে, এই তিরস্কার এই জন্য করা হয়েছে যে, অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে তাড়াহুড়ার সাথে কাজ নেওয়া হয়েছে এবং পূর্ণভাবে সত্যতা যাচাই করে দেখার প্রয়োজন মনে করা হয়নি। নচেৎ তদন্তের পর যার সত্যই ওজর আছে তাকে অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহর তরফ থেকে তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। যেমন তিনি বলেছেন, {فَإِذَا اسْتَأْذَنُوكَ لِبَعْضِ شَأْنِهِمْ فَأْذَن لِّمَن شِئْتَ مِنْهُمْ} "অতএব তারা তোমার কাছে তাদের কোন কাজের অনুমতি চাইলে তুমি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা অনুমতি দাও।" (সূরা নূর ২৪;৬২ আয়াত) 'যাকে ইচ্ছা' মানে হল, যার কাছে সত্যিকারে ওজর আছে, তাকে অনুমতি দেওয়ার অধিকার তোমার রয়েছে।