Skip to main content

لَا يَحِلُّ لَكَ النِّسَاۤءُ مِنْۢ بَعْدُ وَلَآ اَنْ تَبَدَّلَ بِهِنَّ مِنْ اَزْوَاجٍ وَّلَوْ اَعْجَبَكَ حُسْنُهُنَّ اِلَّا مَا مَلَكَتْ يَمِيْنُكَۗ وَكَانَ اللّٰهُ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ رَّقِيْبًا ࣖ   ( الأحزاب: ٥٢ )

لَّا
(It is) not
নয়
yaḥillu
يَحِلُّ
lawful
বৈধ
laka
لَكَ
for you
তোমার জন্যে
l-nisāu
ٱلنِّسَآءُ
(to marry) women
(অন্য) মহিলারা
min
مِنۢ
after (this)
থেকে
baʿdu
بَعْدُ
after (this)
এরপর
walā
وَلَآ
and not
আর না (এটাও)
an
أَن
to
যে
tabaddala
تَبَدَّلَ
exchange
তুমি পরিবর্তন করবে
bihinna
بِهِنَّ
them
তাদের বিনিময়ে (কাউকে)
min
مِنْ
for
মধ্যে হ'তে
azwājin
أَزْوَٰجٍ
(other) wives
(তোমার) স্ত্রীদের
walaw
وَلَوْ
even if
এবং যদিও
aʿjabaka
أَعْجَبَكَ
pleases you
তোমাকে মুগ্ধ করে
ḥus'nuhunna
حُسْنُهُنَّ
their beauty
তাদের সৌন্দর্য
illā
إِلَّا
except
(তবে) ব্যতিক্রম
مَا
whom
যা
malakat
مَلَكَتْ
you rightfully possess
মালিক হয়েছে
yamīnuka
يَمِينُكَۗ
you rightfully possess
ডানহাত তোমার (অর্থাৎ দাসী)
wakāna
وَكَانَ
And Allah is
এবং হলেন
l-lahu
ٱللَّهُ
And Allah is
আল্লাহ
ʿalā
عَلَىٰ
over
উপরে
kulli
كُلِّ
all
সব
shayin
شَىْءٍ
things
কিছুর
raqīban
رَّقِيبًا
an Observer
সজাগ দৃষ্টিবান

Laa yahillu lakan nisaaa'u mim ba'du wa laaa an tabaddala bihinna min azwaajinw wa law ajabaka husnuhunna illaa maa malakat yameenukk; wa kaanal laahu 'alaa kulli shai'ir Raqeeba (al-ʾAḥzāb ৩৩:৫২)

English Sahih:

Not lawful to you, [O Muhammad], are [any additional] women after [this], nor [is it] for you to exchange them for [other] wives, even if their beauty were to please you, except what your right hand possesses. And ever is Allah, over all things, an Observer. (Al-Ahzab [33] : 52)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

অতঃপর আর কোন নারী তোমার জন্য বৈধ নয়। আর তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের সৌন্দর্য তোমাকে চমৎকৃত করে। তবে তোমার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপারে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। আল্লাহ সব বিষয়ের উপর দৃষ্টি রাখেন। (আল আহযাব [৩৩] : ৫২)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

এরপর তোমার জন্য কোন নারী বৈধ নয় এবং তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয়; যদিও ওদের রূপ-সৌন্দর্য তোমাকে মোহিত করে।[১] তবে তোমার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপারে এ বিধান প্রযোজ্য নয়।[২] আল্লাহ সমস্ত কিছুর উপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন।

[১] এখতিয়ারের আয়াত নাযিল হওয়ার পর নবী পত্নীগণ দুনিয়ার আয়েশ-আরামের সামগ্রীর পরিবর্তে সানন্দ চিত্তে নবী (সাঃ)-এর সাথে বসবাস করাকে পছন্দ করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা তার বদলা এই দিলেন যে, নবী (সাঃ)-কে সেই স্ত্রীগণ ছাড়া (সে সময় তাঁরা নয় জন ছিলেন) অন্য কোন মহিলাকে বিবাহ করা বা তাঁদের কাউকে তালাক দিয়ে তাঁর পরিবর্তে অন্য কাউকে বিবাহ করতে নিষেধ করে দিলেন। অনেকে বলেন, পরে নবী (সাঃ)-কে তার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি আর কোন বিবাহ করেননি। (ইবনে কাসীর)

[২] অর্থাৎ, ক্রীতদাসী রাখার ব্যাপারে কোন বাধা নেই। অনেকে আয়াতের ব্যাপক নির্দেশ থেকে দলীল নিয়ে বলেন যে, নবী (সাঃ)-কে কাফের ক্রীতদাসী রাখারও অনুমতি দেওয়া ছিল। আবার অনেকে (ولاَ تُمْسِكُوا بِعِصَمِ الْكَوَافِرِ) "তোমরা অবিশ্বাসী নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না" (মুমতাহিনা ১০) আয়াতের ভিত্তিতে বলেন, নবী (সাঃ)-এর জন্য কাফের ক্রীতদাসী হালাল ছিল না। (ফাতহুল ক্বাদীর)