Skip to main content

فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ حَتّٰى يُحَكِّمُوْكَ فِيْمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوْا فِيْٓ اَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا   ( النساء: ٦٥ )

But no
فَلَا
অতএব না
by your Lord
وَرَبِّكَ
কসম তোমার রবের
not
لَا
না
will they believe
يُؤْمِنُونَ
তারা মু’মিন হবে
until
حَتَّىٰ
যতক্ষণ না
they make you judge
يُحَكِّمُوكَ
তোমাকে বিচারক মানবে
about what
فِيمَا
সে ক্ষেত্রে (যে বিষয়ে)
arises
شَجَرَ
মতভেদ করে
between them
بَيْنَهُمْ
তাদের মাঝে
then
ثُمَّ
এরপর
not
لَا
না
they find
يَجِدُوا۟
তারা পাবে
in
فِىٓ
মধ্যে
themselves
أَنفُسِهِمْ
তাদের মনের
any discomfort
حَرَجًا
কুণ্ঠাবোধ
about what
مِّمَّا
তা হতে যা
you (have) decided
قَضَيْتَ
তুমি সিদ্ধান্ত দিয়েছ
and submit
وَيُسَلِّمُوا۟
ও তারা আত্মসমর্পণ করবে
(in full) submission
تَسْلِيمًا
পূর্ণ আত্মসমর্পণ

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা মু’মিন হবে না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের বিবাদ-বিসম্বাদের মীমাংসার ভার তোমার উপর ন্যস্ত না করে, অতঃপর তোমার ফয়সালার ব্যাপারে তাদের মনে কিছু মাত্র কুণ্ঠাবোধ না থাকে, আর তারা তার সামনে নিজেদেরকে পূর্ণরূপে সমর্পণ করে।

English Sahih:

But no, by your Lord, they will not [truly] believe until they make you, [O Muhammad], judge concerning that over which they dispute among themselves and then find within themselves no discomfort from what you have judged and submit in [full, willing] submission.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা বিশ্বাসী (মুমিন) হতে পারবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে, অতঃপর তোমার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তঃকরণে তা মেনে নেয়। [১]

[১] এই আয়াতের শানে নুযুলের ব্যাপারে সাধারণতঃ একজন মুসলিম ও একজন ইয়াহুদীর মাঝে বিবাদের ঘটনা বর্ণনা করা হয়। রসূল (সাঃ)-এর কাছ থেকে ফায়সালা হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও মুসলিম উমার (রাঃ)-এর কাছ থেকে ফায়সালা নেওয়ার জন্য যায়। ফলে উমার (রাঃ) এই মুসলিমের শিরচ্ছেদ করেন। কিন্তু সনদের দিক দিয়ে এ ঘটনা সঠিক নয়। ইমাম ইবনে কাসীরও এ (ঘটনা সঠিক না হওয়ার) কথা পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করেছেন। এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার সঠিক কারণ হল, রসূল (সাঃ)-এর ফুফুতো ভাই যুবায়ের (রাঃ) এবং অপর এক ব্যক্তির মধ্যে জমি সেচার নালা ও পানিকে কেন্দ্র করে ঝাগড়ার সৃষ্টি হয়। ব্যাপার নবী করীম (সাঃ) পর্যন্ত পৌঁছে। তিনি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে যে ফায়সালা দিলেন তাতে জিত যুবায়ের (রাঃ)-এরই হল। ফলে দ্বিতীয় ব্যক্তি বলে উঠল যে, রসূল (সাঃ) এই ফায়সালা এই জন্য করলেন যে, যুবায়ের (রাঃ) তাঁর ফুফুতো ভাই হয়। এরই ভিত্তিতে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। (সহীহ বুখারী, তাফসীর সূরা নিসা) আয়াতের অর্থ হল, রসূল (সাঃ)-এর কোন কথা অথবা কোন ফায়সালার ব্যাপারে বিরোধিতা করা তো দূরের কথা সে ব্যাপারে অন্তরে কোন 'কিন্তু' রাখাও ঈমানের পরিপন্থী। কুরআনের এই আয়াত হাদীস অস্বীকারকারীদের জন্য তো বটেই এবং সেই সাথে অন্য এমন লোকদের জন্যও চিন্তা ও চেতনার দ্বার উদ্ঘাটন করে, যাঁরা তাঁদের ইমামের উক্তির মোকাবেলায় সহীহ হাদীসকে মানতে কেবল সংকোচ বোধই করেন না, বরং হয় পরিষ্কার ভাষায় তা মানতে অস্বীকার করেন, নতুবা বিষয়ের সাথে সম্পর্কহীন অপব্যাখ্যা করেন, নতুবা বিশ্বস্ত রাবী (বর্ণনাকারী)-কে যয়ীফ বা দুর্বল আখ্যা দিয়ে হাদীস প্রত্যাখ্যান করার নিন্দনীয় প্রচেষ্টা চালান।