Skip to main content

হা-মীম সেজদাহ শ্লোক ৪৭

۞ اِلَيْهِ يُرَدُّ عِلْمُ السَّاعَةِ ۗوَمَا تَخْرُجُ مِنْ ثَمَرٰتٍ ِمّنْ اَكْمَامِهَا وَمَا تَحْمِلُ مِنْ اُنْثٰى وَلَا تَضَعُ اِلَّا بِعِلْمِهٖ ۗوَيَوْمَ يُنَادِيْهِمْ اَيْنَ شُرَكَاۤءِيْۙ قَالُوْٓا اٰذَنّٰكَ مَا مِنَّا مِنْ شَهِيْدٍ ۚ   ( فصلت: ٤٧ )

To Him
إِلَيْهِ
তাঁরই কাছে
is referred
يُرَدُّ
ন্যস্ত রয়েছে
(the) knowledge
عِلْمُ
জ্ঞান
(of) the Hour
ٱلسَّاعَةِۚ
ক্বিয়ামাতের (অর্থাৎ তিনিই জানেন কখন তা হবে)
And not
وَمَا
এবং না
comes out
تَخْرُجُ
বের হয়
any
مِن
কোনো
fruits
ثَمَرَٰتٍ
ফলসমূহ
from
مِّنْ
হ'তে
their coverings
أَكْمَامِهَا
তার আবরণ
and not
وَمَا
আর না
bears
تَحْمِلُ
গর্ভধারণ করে
any
مِنْ
কোন
female
أُنثَىٰ
নারী
and not
وَلَا
আর না
gives birth
تَضَعُ
প্রসব করে সে
except
إِلَّا
এ ব্যতীত
with His knowledge
بِعِلْمِهِۦۚ
তাঁর জানা (আছে)
And (the) Day
وَيَوْمَ
এবং যে দিন
He will call them
يُنَادِيهِمْ
তাদের তিনি ডেকে বলবেন
"Where (are)
أَيْنَ
"কোথায়
My partners
شُرَكَآءِى
আমার শরিকরা
They will say
قَالُوٓا۟
তারা বলবে
"We announce (to) You
ءَاذَنَّٰكَ
"আপনাকে নিবেদন করছি
not
مَا
(আজ) নেই
among us
مِنَّا
আমাদের মধ্যে
any
مِن
কোনো
witness"
شَهِيدٍ
সাক্ষী (শরিকের পক্ষে)"

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

ক্বিয়ামত কখন সংঘটিত হবে সে সম্পর্কিত জ্ঞান একমাত্র তাঁর কাছেই আছে। কোন ফলই তার আবরণ থেকে বেরিয়ে আসে না, এবং কোন নারী গর্ভধারণ করে না আর সন্তান প্রসব করে না তাঁর অজ্ঞাতে। যে দিন তিনি তাদেরকে ডেকে বলবেন- আমার শরীকরা কোথায় (তোমরা যেগুলো বানিয়ে নিয়েছিলে)? তারা বলবে- আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, (আজ) আমাদের কেউ (আপনার শরীক থাকার ব্যাপারে) সাক্ষ্য দাতা হবে না।

English Sahih:

To Him [alone] is attributed knowledge of the Hour. And fruits emerge not from their coverings nor does a female conceive or give birth except with His knowledge. And the Day He will call to them, "Where are My 'partners'?" they will say, "We announce to You that there is [no longer] among us any witness [to that]."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর নিকটই আছে,[১] তাঁর অজ্ঞাতসারে কোন ফল আবরণ মুক্ত হয় না, কোন নারী গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব করে না।[২] যেদিন আল্লাহ ওদেরকে ডেকে বলবেন, ‘আমার অংশীদাররা কোথায়?’ তখন ওরা বলবে, ‘আমরা আপনার নিকট নিবেদন করেছি যে, (এ ব্যাপারে) আমাদের মধ্যে কেউ সাক্ষী নয়।’ [৩]

[১] অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার সময়-জ্ঞান কারো কাছে নেই। এই জন্য যখন জিবরীল (আঃ) নবী (সাঃ)-কে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তা কখন ঘটবে?' তখন উত্তরে তিনি বললেন, "এ ব্যাপারে আমার অতটাই জ্ঞান আছে, যতটা জ্ঞান তোমার আছে।" অন্য স্থানে আল্লাহ তাআলা বলেন, "এর চরম জ্ঞান তো তোমার পালনকর্তার কাছে।" (সূরা নাযিআত ৭৯;৪৪ আয়াত) তিনি আরো বলেন, "তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, 'কিয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে?' বলে দাও, 'এই দিনের খবর তো আমার পালনকর্তার কাছেই রয়েছে।" (সূরা আরাফ ৭;১৮৭ আয়াত)

[২] এখানে আল্লাহর পরিপূর্ণ ও সর্বব্যাপী জ্ঞানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর এই জ্ঞান-বৈশিষ্ট্যে কেউ অংশীদার নেই। অর্থাৎ, এইরূপ পরিপূর্ণ ও সর্বব্যাপী জ্ঞান তিনি ছাড়া আর কারো কাছে নেই। নবীদের কাছেও নেই। তাঁরা সেই পরিমাণ জ্ঞান লাভ করে থাকেন, যে পরিমাণ আল্লাহ তাআলা তাঁদেরকে অহী মারফত দান করে থাকেন। আবার তাঁদের এই অহীলব্ধ জ্ঞানও নবুঅতের মর্যাদা ও তার দায়িত্ব পালনের সাথে সম্পৃক্ত; অন্যান্য বিদ্যা ও বিষয়ের সাথে নয়। এই জন্য কোন নবী বা রসূল -- চাহে তিনি যত বড়ই মর্যাদাবান হন না কেন -- তাঁর জন্য এ কথা বলা বা বিশ্বাস রাখা বৈধ নয় যে, সৃষ্টিজগতে যা ঘটেছে এবং ঘটবে, তিনি সব জানেন। কারণ, এ গুণ ও বৈশিষ্ট্য একমাত্র মহান আল্লাহর। যে বাপারে অন্য কাউকে শরীক করা হল শিরক।

[৩] অর্থাৎ, বর্তমানে আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি এটা মানার জন্য প্রস্তুত নয় যে, তোমার কোন শরীক আছে।