Skip to main content

اَوَمَنْ يُّنَشَّؤُا فِى الْحِلْيَةِ وَهُوَ فِى الْخِصَامِ غَيْرُ مُبِيْنٍ   ( الزخرف: ١٨ )

awaman
أَوَمَن
Then (is one) who
কি (আল্লাহর ভাগে সে সন্তান) যে
yunasha-u
يُنَشَّؤُا۟
is brought up
লালিত পালিত হয়
فِى
in
মধ্যে
l-ḥil'yati
ٱلْحِلْيَةِ
ornaments
অলংকারের
wahuwa
وَهُوَ
and he
এবং সে
فِى
in
মধ্যে
l-khiṣāmi
ٱلْخِصَامِ
the dispute
বিতর্কের
ghayru
غَيْرُ
(is) not
নয়
mubīnin
مُبِينٍ
clear
সুস্পষ্ট

Awa mai yunashsha'u fil hilyati wa huwa fil khisaami ghairu mubeen (az-Zukhruf ৪৩:১৮)

English Sahih:

So is one brought up in ornaments while being during conflict unevident [attributed to Allah]? (Az-Zukhruf [43] : 18)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা কি আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে এমন সন্তান যে অলংকারে লালিত পালিত হয়, আর বিতর্ককালে বক্তব্যকে স্পষ্ট করতে অসমর্থ? (যুখরুফ [৪৩] : ১৮)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

(ওরা কি আল্লাহর প্রতি এমন সন্তান আরোপ করে,) যে অলংকারে লালিত-পালিত হয় এবং তর্ক-বিতর্ক কালে স্পষ্ট যুক্তি দানে অসমর্থ ? [১]

[১] يُنَشَّؤُ শব্দ نُشُوءٌ থেকে গঠিত। অর্থ, তরবিয়ত ও লালন-পালন। মহিলাদের দু'টি গুণ বিশেষ করে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। (ক) এদের লালন-পালন হয় অলংকারে ও সাজ-সজ্জায়। অর্থাৎ, সাবালিকা হওয়ার সাথে সাথেই সুন্দর ও মনোরম জিনিসের প্রতি তাদের মনের আকর্ষণ সৃষ্টি হয় (এবং নিজ দেহের সৌনদর্য ও সাজ-সজ্জা নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আর তাদের ভরণ-পোষণ করতে হয় পুরুষকে)। এ কথা বলার উদ্দেশ্য হল, যাদের অবস্থা হল এই, তারা তো তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপারও ঠিক করে নেওয়ার যোগ্যতা রাখে না। (খ) যদি কারো সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়ে যায়, তবে তারা না তাদের কথা (প্রকৃতিগত পর্দা; কোমলতা ও লজ্জাশীলতার কারণে) ভালভাবে ব্যক্ত করতে পারে, আর না বিপক্ষের দলীলাদির খন্ডন করতে পারে। এই হল মহিলাদের দু'টি স্বভাবগত দুর্বলতা যার কারণে তাদের উপর পুরুষদের একধাপ বেশী শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আলোচ্য আয়াতের পূর্বাপর বাগধারা থেকেও এই শ্রেষ্ঠত্বের কথা পরিষ্কার হয়। কারণ, আলোচনা এই ব্যাপারেই হচ্ছে। অর্থাৎ, পুরুষ ও মহিলার মধ্যে স্বভাবগত এই তফাতের কারণেই মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের জন্মকে বেশী পছন্দ করা হয়।