وَجَعَلُوْا بَيْنَهٗ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا ۗوَلَقَدْ عَلِمَتِ الْجِنَّةُ اِنَّهُمْ لَمُحْضَرُوْنَۙ ( الصافات: ١٥٨ )
Wa ja'aloo bainahoo wa bainal jinnati nasabaa; wa laqad 'alimatil jinnatu innahum lamuhdaroon (aṣ-Ṣāffāt ৩৭:১৫৮)
English Sahih:
And they have made [i.e., claimed] between Him and the jinn a lineage, but the jinn have already known that they [who made such claims] will be brought [to punishment]. (As-Saffat [37] : 158)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তারা আল্লাহ ও জ্বিন জাতির মাঝে একটা বংশ সম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জ্বিনেরা ভালভাবে জানে যে, তাদেরকেও শাস্তির জন্য অবশ্যই হাজির করা হবে। (আস-সাফফাত [৩৭] : ১৫৮)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
ওরা আল্লাহ এবং জ্বিন জাতির মধ্যে বংশীয় সম্পর্ক স্থির করেছে,[১] অথচ জ্বিনেরা জানে যে, তাদেরকেও (শাস্তির জন্য) উপস্থিত করা হবে।[২]
[১] এখানে মুশরিকদের ঐ বিশ্বাসের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, যাতে তারা মনে করে যে, আল্লাহ ও জ্বিনদের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল, যার ফলে কন্যাসন্তান জন্ম গ্রহণ করে। এরাই আল্লাহর মেয়ে, ফিরিশতা। এইভাবে আল্লাহ ও জ্বিনদের মাঝে (বৈবাহিক সম্বন্ধ ) আত্মীয়তার বন্ধন স্থাপিত হয়েছে!
[২] অথচ এই উক্তি কিভাবে সত্য হতে পারে? যদি তাই হতো, তাহলে জ্বিনদেরকে আল্লাহ তাআলা শাস্তি দিতেন কেন? তিনি কি আপন আত্মীয়তার খেয়াল রাখতেন না? আর যদি তা না হয়, বরং খোদ জ্বিনরাও ভালভাবে অবগত আছে যে, তাদেরকেও (অবাধ্যতার কারণে) আল্লাহর শাস্তি ভোগ করার জন্য অবশ্যই জাহান্নামে যেতে হবে, তাহলে আল্লাহ এবং জ্বিনদের মাঝে আত্মীয়তা কিভাবে হতে পারে?