Skip to main content

وَلَقَدْ رَاوَدُوْهُ عَنْ ضَيْفِهٖ فَطَمَسْنَآ اَعْيُنَهُمْ فَذُوْقُوْا عَذَابِيْ وَنُذُرِ   ( القمر: ٣٧ )

And certainly
وَلَقَدْ
এবং নিশ্চয়ই
they demanded from him
رَٰوَدُوهُ
তারা তাকে ফুঁসলিয়েছিল
they demanded from him
عَن
সম্পর্কে
his guests
ضَيْفِهِۦ
তার মেহমান (দের)
so We blinded
فَطَمَسْنَآ
আমরা তখন নিষ্প্রভ করেছিলাম
their eyes
أَعْيُنَهُمْ
তাদের চোখগুলোকে
"So taste
فَذُوقُوا۟
"তোমরা এখন স্বাদ নাও
My punishment
عَذَابِى
আমার শাস্তির
and My warnings"
وَنُذُرِ
ও আমার সতর্কবাণীর"

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা লূতকে তার মেহমানদের রক্ষণাবেক্ষণ থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম ‘আমার ‘আযাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ কর।’

English Sahih:

And they had demanded from him his guests, but We obliterated their eyes, [saying], "Taste My punishment and warning."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তারা তার নিকট হতে তার মেহমানদের ব্যাপারে ফুসলাতে লাগল,[১] তখন আমি তাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিলাম[২] (এবং বললাম,) আস্বাদন কর আমার শাস্তি এবং সতর্কবাণীর পরিণাম!

[১] বা প্ররোচিত করতে লাগল কিংবা লূত (আঃ)-এর নিকট তাঁর মেহমানদেরকে চাইতে লাগল। অর্থাৎ, যখন লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায় জানতে পারল যে, তাঁর কাছে কিছু সুন্দর সুন্দর নব যুবক এসেছে (যাঁরা প্রকৃতপক্ষে ফিরিশতা ছিলেন এবং তাদেরকে আযাব দেওয়ার জন্যই তাঁরা এসেছিলেন), তখন তারা লূত (আঃ)-এর কাছে দাবী করল যে, ঐ অতিথিদেরকে আমাদের হাওয়ালা করে দেওয়া হোক। যাতে আমরা আমাদের বিকৃত যৌনক্ষুধা তাদের দ্বারা নিবৃত্ত করি।

[২] বলা হয় যে, এই ফিরিশতাগণ ছিলেন জিবরীল, মীকাঈল এবং ইস্রাফীল (আলাইহিমুসসালাম)। যখন তারা কুকর্ম করার উদ্দেশ্যে ফিরিশতাদের (অতিথিদের)-কে সঙ্গে নেওয়ার জন্য বেশী পীড়াপীড়ি করতে লাগল, তখন জিবরীল (আঃ) তাঁর ডানার একটি অংশ তাদের উপর মারলেন; যার ফলে তাদের চোখ বেরিয়ে গেল। কেউ কেউ বলেছেন, শুধু চোখের দৃষ্টি নষ্ট হয়েছিল। যাই হোক ব্যাপক আযাব আসার পূর্বে বিশেষ এই আযাব তাদের উপর এসেছিল, যারা কুমতলব নিয়ে লূত (আঃ)-এর নিকট এসেছিল। চোখ থেকে বা দৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়ে তারা বাড়ী পৌঁছে ছিল। অতঃপর ভোর সকালে সেই ব্যাপক আযাবে ধ্বংস হয়ে গেল, যা সমগ্র জাতির জন্য এসেছিল। (তাফসীর ইবনে কাসীর)