وَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰى عَلَى اللّٰهِ كَذِبًا اَوْ كَذَّبَ بِاٰيٰتِهٖۗ اِنَّهٗ لَا يُفْلِحُ الظّٰلِمُوْنَ ( الأنعام: ٢١ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তার থেকে বড় যালিম আর কে আছে যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যে রচনা করে অথবা তাঁর নিদর্শনসমূহকে প্রত্যাখ্যান করে? যালিমরা কক্ষনো সফলকাম হবে না।
English Sahih:
And who is more unjust than one who invents about Allah a lie or denies His verses? Indeed, the wrongdoers will not succeed.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আর যে ব্যক্তি আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে অথবা তাঁর আয়াতসমূহকে মিথ্যাজ্ঞান করে, তার থেকে অধিক যালেম (অত্যাচারী) আর কে? [১] যালেমরা অবশ্যই সফলকাম হবে না। [২]
[১] অর্থাৎ, যেমন আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপকারী (অর্থাৎ, নবী হওয়ার মিথ্যা দাবীদার) সবচেয়ে বড় যালেম, অনুরূপ সে ব্যক্তিও বড় যালেম, যে আল্লাহর নিদর্শনাবলী এবং তাঁর সত্য রসূলকে মিথ্যা মনে করে। নবী হওয়ার মিথ্যা দাবীদারদের উপর এত কঠোর হুমকি আসা সত্ত্বেও এটা বাস্তব যে, প্রত্যেক যুগে একাধিক ব্যক্তি নবী হওয়ার মিথ্যা দাবী উত্থাপন করেছে এবং এইভাবে নবী করীম (সাঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণীও বাস্তবে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, "ত্রিশজন মিথ্যুক দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে এবং তারা প্রত্যেকে দাবী করবে যে, সে নবী।" বিগত শতাব্দীতেও কাদিয়ানের (গুলাম আহমাদ নামক) এক ব্যক্তি নবী হওয়ার দাবী করেছিল। আর বর্তমানে তার অনুসারীরা তাকে সত্য নবী এবং কেউ কেউ 'প্রতিশ্রুত মসীহ' এই জন্য মনে করে যে, অল্প সংখ্যক কিছু লোক তাকে নবী বলে স্বীকার করে। অথচ কিছু মানুষের কোন মিথ্যুককে সত্যবাদী মনে করে নেওয়া, তার সত্যবাদী হওয়ার দলীল হতে পারে না। সত্যতার জন্য তো কুরআন ও হাদীসের সুস্পষ্ট দলীলের প্রয়োজন।
[২] যেহেতু এরা উভয়েই যালেম, তাই না সে সফল হবে, যে মিথ্যা রচনা করে, আর না সে, যে মিথ্যাজ্ঞান করে। কাজেই প্রয়োজন হল প্রত্যেকেই যেন নিজেদের পরিণামের ব্যাপারে ভালভাবে চিন্তা-ভাবনা করে।