Skip to main content

اِنَّهُمْ عَنِ السَّمْعِ لَمَعْزُوْلُوْنَ ۗ   ( الشعراء: ٢١٢ )

innahum
إِنَّهُمْ
Indeed they
নিশ্চয়ই তাদেরকে
ʿani
عَنِ
from
হ'তে
l-samʿi
ٱلسَّمْعِ
the hearing
শোনা
lamaʿzūlūna
لَمَعْزُولُونَ
(are) surely banished
অবশ্যই দূরে রাখা হয়েছে

Innahum 'anis sam'i lama'zooloon (aš-Šuʿarāʾ ২৬:২১২)

English Sahih:

Indeed they, from [its] hearing, are removed. (Ash-Shu'ara [26] : 212)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তাদেরকে এটা শোনা থেকে অবশ্যই দূরে রাখা হয়েছে। (আশ-শো'আরা [২৬] : ২১২)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

অবশ্যই ওদেরকে শ্রবণ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। [১]

[১] এই আয়াতসমূহে কুরআন যে শয়তানের হস্তক্ষেপ হতে সংরক্ষিত, তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমতঃ শয়তানের কুরআন নিয়ে অবতীর্ণ হওয়ার যোগ্যতাই নেই। কারণ তার উদ্দেশ্য হল, ফিৎনা-ফাসাদ ও নোংরামী প্রচার-প্রসার করা। পক্ষান্তরে কুরআনের উদ্দেশ্য হল কল্যাণ ও পুণ্যের আদেশ ও তার প্রচার-প্রসার করা এবং পাপ ও অন্যায়ের দরজা চিরতরে বন্ধ করা। অর্থাৎ, উভয়ের উদ্দেশ্য এক অপরের বিপরীত ও পরস্পর-বিরোধী। দ্বিতীয়তঃ শয়তান এর শক্তি রাখে না। তৃতীয়তঃ কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার সময় শয়তানকে তা শোনা হতে দূরে ও বঞ্চিত রাখা হয়। আকাশে উল্কাসমূহকে তার প্রহরী হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। যখনই কোন শয়তান উপরে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখনই এ সব উল্কা তার উপর বজ্রের ন্যায় আচমকা আঘাত হানে এবং তাকে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলে। এভাবে মহান আল্লাহ কুরআন সংরক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।