আল ইমরান আয়াত ৫৮
ذٰلِكَ نَتْلُوْهُ عَلَيْكَ مِنَ الْاٰيٰتِ وَالذِّكْرِ الْحَكِيْمِ ( آل عمران: ٥٨ )
Zaalika natloohu 'alaika minal Aayaati wa Zikril Hakeem (ʾĀl ʿImrān ৩:৫৮)
English Sahih:
This is what We recite to you, [O Muhammad], of [Our] verses and the precise [and wise] message [i.e., the Quran]. (Ali 'Imran [3] : 58)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
এসব আমি তোমাকে পড়ে শুনাচ্ছি আয়াতসমষ্টি ও জ্ঞানগর্ভ বাণী হতে। (আল ইমরান [৩] : ৫৮)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
যা আমি তোমার কাছে পাঠ করছি, তা হল আয়াত (নিদর্শনাবলী) ও বিজ্ঞানময় উপদেশ।
2 Tafsir Abu Bakr Zakaria
এটা আমরা আপনার নিকট তেলাওয়াত করছি আয়াতসমূহ ও হেকমতপূর্ণ বাণী থেকে।
3 Tafsir Bayaan Foundation
এটি আমি তোমার উপর তিলাওয়াত করছি, আয়াতসমূহ ও প্রজ্ঞাপূর্ণ উপদেশ থেকে।
4 Muhiuddin Khan
আমি তোমাদেরকে পড়ে শুনাই এ সমস্ত আয়াত এবং নিশ্চিত বর্ণনা।
5 Zohurul Hoque
এটিই যা আমি তোমার কাছে বর্ণনা করছি নির্দেশবাণী ও জ্ঞানময় স্মারক থেকে।
6 Mufti Taqi Usmani
(হে নবী!) এসব এমন আয়াত ও সারগর্ভ উপদেশ, যা আমি তোমাকে পড়ে শোনাচ্ছি।
7 Mujibur Rahman
আমি তোমার প্রতি বিজ্ঞানময় বর্ণনা ও নিদর্শনাবলী হতে এটা আবৃত্তি করছি।
8 Tafsir Fathul Mazid
Please check ayah 3:60 for complete tafsir.
9 Fozlur Rahman
আয়াতসমূহ ও প্রজ্ঞাময় বাণী থেকে এটা তোমাকে আবৃত্তি করে শোনাচ্ছি।
10 Mokhtasar Bangla
৫৮. হে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! ‘ঈসা (আলাইহিস-সালাম) সম্পর্কিত এই নিদর্শনাবলীর বৃত্তান্ত ও জ্ঞানগর্ব আলোচনা যা আমি তোমাকে শুনাচ্ছি তা তোমার উপর নাযিলকৃত বিধানের সত্যতা প্রমাণ করে এমন সুস্পষ্ট প্রমাণ। এমনকি তা মুত্তাকীদের জন্য বিশেষ উপদেশও বটে। এ প্রমাণাদি এতোই পাকাপোক্ত যে, তাতে বাতিলের লেশমাত্রও নেই।
11 Tafsir Ibn Kathir
৫৫-৫৮ নং আয়াতের তাফসীর:
হযরত কাতাদাহ (রঃ) প্রভৃতি ব্যাখ্যা দানকারীগণের মতে এর ভাবার্থ হচ্ছে- ‘আমি তোমাকে আমার নিকট উঠিয়ে নেবো, অতঃপর তোমাকে মৃত্যুদান করবো। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে‘আমি তোমাকে মত্যুদানকারী’। হযরত অহাব ইবনে মুনাব্বাহ (রঃ) বলেন যে, আল্লাহ তা'আলা হযরত ঈসা (আঃ)-কে উঠাবার সময় দিনের প্রথমভাগে তিন ঘন্টা পর্যন্ত মৃত্যু দান করেছিলেন। হযরত ইবনে ইসহাক (রঃ) বলেন যে, খ্রষ্টানদের ধারণায় আল্লাহ তা'আলা তাকে সাত ঘন্টা পর্যন্ত মৃত্যুর অবস্থায় রেখেছিলেন। পরে তাকে জীবিত করে উঠিয়ে নেন। হযরত অহাব (রঃ) বলেন যে, তিন দিন পর্যন্ত তিনি মৃত ছিলেন। পরে আল্লাহ পাক তাকে জীবন দান করে উঠিয়ে নেন।
হযরত মাতরুল ওয়ারাক (রঃ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে- ‘আমি তোমাকে দুনিয়া হতে উত্তোলনকারী। এখানে وَفَاتْ শব্দের ভাবার্থ মৃত্যু নয়।' অনুরূপভাবে ইবনে জারীর (রঃ) বলেন যে, এখানে تَوَفِّىْ শব্দের অর্থ হচ্ছে উঠিয়ে নেয়া। অধিকাংশ তাফসীরকারকের মতে এখানে وَفَاتْ শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে নিদ্রা। যেমন কুরআন হাকীমের মধ্যে অন্য জায়গায় রয়েছেঃ هُوَ الَّذِیْ یَتَوَفّٰىكُمْ بِالَّیْلِ অর্থাৎ তিনি সেই আল্লাহ যিনি রাত্রে তোমাদেরকে নিদ্রা দিয়ে থাকেন। (৬:৬০) আর এক স্থানে রয়েছেঃ اَللّٰهُ یَتَوَفَّى الْاَنْفُسَ حِیْنَ مَوْتِهَا وَ الَّتِیْ لَمْ تَمُتْ فِیْ مَنَامِهَا অর্থাৎ আল্লাহ প্রাণকে তার মৃত্যুর সময় উঠিয়ে নেন এবং যে প্রাণ মরে যায় তাকে তার নিদ্রার সময় (উঠিয়ে নেন)।' (৩৯: ৪২) রাসূলুল্লাহ (সঃ) নিদ্রা হতে জাগরিত হয়ে বলতেনঃ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ اَحْيَانَا بَعْدَ مَا اَمَاتَنَا অর্থাৎ সেই আল্লাহর সমুদয় প্রশংসা যিনি আমাদেরকে মৃত্যুদান করার পর পুনরায় জীবিত করলেন। আল্লাহ তাআলা এক জায়গায় বলেনঃ ‘তাদের অবিশ্বাসের কারণে এবং হযরত মারইয়াম (আঃ)-এর উপর বড় অপবাদ দেয়ার ফলে এবং এই কারণে যে, তারা বলে- আমরা মারইয়াম নন্দন ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি, অথচ তারা তাকে হত্যাও করেনি এবং শূলীও দেয়নি বরং তাদের জন্যে তার প্রতিরূপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। তারা নিশ্চিতরূপে তাকে হত্যা করেনি’ এ পর্যন্ত। বরং আল্লাহ তাকে তাঁর নিকট উঠিয়ে নিয়েছেন এবং তিনি মহাপরাক্রমশালী, বিজ্ঞানময়। আহলে কিতাবের প্রত্যেকেই তার মৃত্যুর পূর্বে তাঁর উপর ঈমান আনবে এবং সে কিয়ামতের দিন তাদের উপর সাক্ষী হবে। مَوْتِهٖ শব্দের ه সর্বনামটি হযরত ঈসা (আঃ)-এর দিকে ফিরেছে। অর্থাৎ যখন হযরত ঈসা (আঃ) কিয়ামতের পূর্বে পৃথিবীতে অবতরণ করবেন তখন কিতাবী সবাই তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে। এর বিস্তারিত বিবরণ ইনশাআল্লাহ অতিসত্বরই আসছে। সে সময় সমস্ত আহলে কিতাব তার উপর ঈমান আনয়ন করবে। কেননা, না তিনি জিজিয়া কর গ্রহণ করবেন, না ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু সমর্থন করবেন। মুসনাদ-ই-ইবনে আবি হাতিমের মধ্যে হযরত হাসান বসরী (রঃ) হতে اِنِّىْ مُتَوَفِّيْكَ-এর তাফসীরে বর্ণিত আছে যে, হযরত ঈসা (আঃ)-এর উপর ঘুম চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং সে অবস্থাতেই তাঁকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল। এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “আমি তোমাকে আমার নিকট উঠিয়ে নিয়ে কাফিরদের হাত হতে পবিত্র করবো এবং কিয়ামত পর্যন্ত তোমার অনুসারীদেরকে কাফিরদের উপর জয়যুক্ত করবো। বাস্তবে হয়েছিলও তাই। যখন আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আঃ)-কে আকাশে উঠিয়ে নেন তখন তার পরে তার সঙ্গী সাথীদের কয়েকটি দল হয়ে যায়। একটি দল হযরত ঈসা (আঃ)-এর নবুওয়াতের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাঁকে আল্লাহর বান্দা ও রাসূল বলে স্বীকার করে, আর তারা একথাও স্বীকার করে যে, তিনি মহান আল্লাহর এক দাসীর পুত্র। তাদের মধ্যে আর একটি দল সীমা অতিক্রম করে বসে এবং তারা বলে, হযরত ঈসা (আঃ) আল্লাহ পুত্র। (নাউজুবিল্লাহ) অন্য একটি দল স্বয়ং তাকেই আল্লাহ বলে। আবার একদল তিন আল্লাহর মধ্যে তাকে এক আল্লাহ বলে। আল্লাহ তা'আলা তাদের এ বিশ্বাসের কথা পবিত্র কুরআনে বর্ণনা করেছেন, অতঃপর তা খণ্ডনও করেছেন। তিনশ বছর পর্যন্ত এ অবস্থায়ই থাকে। তারপর গ্রীক রাজাদের মধ্যে কুসতুনতান নামক একজন রাজা, যে একজন দার্শনিক ছিল, বলা হয় যে, শুধুমাত্র হযরত ঈসা (আঃ)-এর দ্বীনকে পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যেই এক কৌশল অবলম্বন করতঃ কপটতার আশ্রয় নিয়ে এ ধর্মের মধ্যে প্রবেশ করে। মোটকথা সে সময় ঈসা (আঃ)-এর ধর্মকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে ফেলেছিল। সে ওর ভেতর হ্রাস বৃদ্ধিও আনয়ন করেছিল। সে বহু আইন কানুন আবিষ্কার করেছিল। ‘আমান-ই-কুবরা’ও তারই আবিষ্কার, যা প্রকৃতপক্ষে জঘন্যতম বিশ্বাস ভঙ্গতা। সে তার যুগে শূকরকে বৈধ করে নিয়েছিল। তারই আদেশে খ্রীষ্টানগণ পূর্বমুখী হয়ে নামায পড়তে থাকে। সে-ই গীর্জা, উপাসনালয় প্রভৃতির মধ্যে ছবি বানিয়ে নেয় এবং নিজের এক পাপের কারণে রোযার মধ্যে দশটি রোযা বেশী করে। মোটকথা তার যুগে হযরত ঈসা (আঃ)-এর ধর্ম ঈসায়ী ধর্মরূপে অবশিষ্ট ছিল না বরং ওটা ‘দ্বীন-ই-কুতুনতীনে পরিণত হয়েছিল। সে বাহ্যিক যথেষ্ট আঁকজমক এনেছিল, যেমন সে বারো হাজারেরও বেশী উপাসনালয় নির্মাণ করেছিল এবং নিজের নামে একটি শহর বসিয়েছিল। মালেকিয়্যাহ দলটি তার সমস্ত কথা মেনে নিয়েছিল। কিন্তু এসব জঘন্য কার্য সত্ত্বেও তারা ইয়াহূদীদের উপর বিজয় লাভ করেছিল। কেননা, প্রকৃতপক্ষে তারা সবাই কাফির হলেও তুলানামূলকভাবে ঐ খ্রীষ্টানরাই সত্য ও ন্যায়ের বেশী নিকটবর্তী ছিল। তাদের সবারই উপর আল্লাহ তাআলার অভিসম্পাত বর্ষিত হোক। আল্লাহ তা'আলা যখন হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে তার মনোনীত রাসূল করে দুনিয়ায় পাঠালেন তখন জনগণ তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। তাদের ঈমান ছিল আল্লাহর সত্তার উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, কিতাব সমূহের উপর এবং তার সমস্ত রাসূলের উপর। সুতরাং প্রকৃতপক্ষে নবীগণের (আঃ) সত্যানুসারী এরাই ছিল অর্থাৎ উম্মতে মুহাম্মদী (সঃ)। কেননা, এরা নিরক্ষর, আরবী, সর্বশেষ নবী (সঃ)-এর উপর ঈমান এনেছিল যিনি ছিলেন বানী আদমের নেতা। আর রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর শিক্ষা ছিল সমস্ত সত্যকে স্বীকার করে নেয়ার শিক্ষা এবং প্রকৃতপক্ষে প্রত্যেক নবীর সত্যানুসারীদেরকে আমার উম্মত’ বলার দাবীদার ছিলেন তিনিই। কারণ, যারা নিজেদেরকে হযরত ঈসা (আঃ)-এর উম্মত বলে দাবী করতো তারা ধর্মকে সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করে দিয়েছিল। তা ছাড়া শেষ নবী (সঃ)-এর ধর্মও ছিল পূর্বের সমস্ত শরীয়তকে রহিতকারী। এ ধর্ম কিয়ামত পর্যন্ত রক্ষিত থাকবে এবং একটি ক্ষুদ্র অংশও পরিবর্তিত হবে না। এ জন্যই এ আয়াতের অঙ্গীকার অনুসারে মহান আল্লাহ এ উম্মতকে কাফিরদের উপর বিজয়ী করেন এবং এরা পূর্ব হতে পশ্চিম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
এ উম্মতে মুহাম্মদী'ই বহু দেশ পদদলিত করে, বড় বড় অত্যাচারী ও শক্তিশালী কাফিরদের মস্তক ছিন্ন করে। অর্থ-সম্পদ তাদের পদতলে গড়িয়ে পড়ে। বিজয় ও গানিমত তাদের পদ-চুম্বন করে। বহু যুগের পুরাতন সাম্রাজ্যের সিংহাসনগুলো এরা পরিবর্তন করে দেয়। পারস্য সম্রাট কিসরার আঁকজমক পূর্ণ সাম্রাজ্য এবং তার সুন্দর সুন্দর উপাসনাগারগুলো এদের হাতে বিদ্ধস্ত হয়ে যায়। রোমান সম্রাট কায়সারের মুকুট ও সিংহাসন এ মুসলিমবাহিনীর আক্রমণে ভেঙ্গে খান খান হয়ে পড়ে। এরাই ঐ খ্রীষ্টানদেরকে মাসীহ পূজার স্বাদ গ্রহণ করিয়ে দেয়। তাদের ধন-ভাণ্ডার মুসলমানেরা ছিনিয়ে নিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সত্য নবী (সঃ)-এর ধর্মের প্রসার কার্যে প্রাণ খুলে খরচ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ)-এর অঙ্গীকার মানুষ উদীয়মান সূর্য ও পূর্ণিমার চন্দ্রের ঔজ্জ্বল্যের ন্যয় সত্যরূপে প্রত্যক্ষ করে। হযরত ঈসা (আঃ)-এর দুর্নামকারীরা এবং তাঁর নামে শয়তানের পূজারীরা বাধ্য হয়ে সিরিয়ার শ্যামল উদ্যানসমূহ এবং কোলাহলময় শরহগুলো এক আল্লাহর বন্দেগীকারীদের হাতে সমপর্ণ করতঃ অসহায় অবস্থায় পালিয়ে গিয়ে রোমক সাম্রাজ্যে বসতি স্থাপন করে। কিন্তু পরে তথা হতে তাদেরকে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করে বের করে দেয়া হয় এবং অবশেষে তারা স্বীয় বাদশাহর বিশেষ শহর কনস্টান্টিনোপলে পৌছে। অতঃপর সেখান হতেও তাদেরকে অপদস্থ করে তাড়িয়ে দেয়া হয় এবং ইনশাআল্লাহ মুসলমানেরা কিয়ামত পর্যন্ত তাদের উপর বিজয়ীই থাকবে। সমস্ত সত্যবাদীর নেতা যার সত্যবাদিতার উপর মহান আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছেন। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সঃ) সংবাদ দিয়েই দিয়েছেন যা চিরদিন অটল থাকবে, তিনি বলেন যে, তাঁর উম্মত কনস্টান্টিনোপল জয় করবে এবং তথাকার সমস্ত ধন-ভাণ্ডার তাদের অধিকারে এসে যাবে। রোমকদের সঙ্গেও তাদের এমন ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হবে যার তুলনা দুনিয়ায় নেই। আমি এগুলো একটি পৃথক পুস্তকে সন্নিবেশিত করেছি।
আল্লাহ তা'আলার পরবর্তী উক্তির প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, যেসব ইয়াহূদী হযরত ঈসা (আঃ)-কে অবিশ্বাস করেছিল এবং যেসব খ্রীষ্টান তাঁর সম্পর্কে অশোভনীয় কথা বলেছিল, দুনিয়ায় তাদেরকে হত্যা ও বন্দী করা হয়েছে এবং তাদের ধন-মাল ও সাম্রাজ্য ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এভাবে তাদের উপর পার্থিব শাস্তি নেমে এসেছে। আর পরকালে তাদের জন্যে যেসব শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে সেগুলো সম্বন্ধেও তাদের চিন্তা করা উচিত। যেখানে তাদেরকে না কেউ রক্ষা করতে পারবে, কেউ কোন সাহায্য করতে পারবে। পক্ষান্তরে মুসলমানদেরকে আল্লাহ তা'আলা পূর্ণ প্রতিদান প্রদান করবেন। দুনিয়াতেও তাদেরকে বিজয়, সাহায্য ও সম্মান দান করবেন এবং পরকালেও তারা তাঁর বিশেষ অনুগ্রহ প্রাপ্ত হবে। আল্লাহ তা'আলা অত্যাচারীদেরকে ভালবাসে না ।
অতঃপর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “হে নবী (সঃ)! হযরত ঈসা (আঃ) এবং তাঁর জন্মের প্রাথমিক অবস্থার প্রকৃত রহস্য এটাই ছিল যা আল্লাহ তা'আলা লওহে মাহফুয হতে অহীর মাধ্যমে তোমার নিকট অবতীর্ণ করেছেন এবং এতে কোন সংশয় ও সন্দেহ নেই। যেমন সূরা-ই-মারইয়ামে বলেছেনঃ ‘এটাই ঈসা ইবনে মারইয়াম, এটাই প্রকৃত রহস্য যে ব্যাপারে তুমি সন্দেহ পোষণ করছিলে, তাঁর (আল্লাহর) সন্তান হওয়া মোটেই শশাভনীয় নয়। তিনি এটা হতে সম্পূর্ণ পবিত্র। তিনি যখন কোন কিছু করার ইচ্ছে করেন তখন শুধু বলেন, 'হও' আর তেমনই হয়ে যায়।
এখানেও আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ