Skip to main content

يَٰٓأَيُّهَا
হে
ٱلَّذِينَ
যারা
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছ
لَا
না
يَسْخَرْ
উপহাস করে (যেন)
قَوْمٌ
কোনো পুরুষ
مِّن
মধ্য থেকে
قَوْمٍ
(অন্য) কোনো পুরুষের
عَسَىٰٓ
হয়তো (যাদের বিদ্রুপ করা হচ্ছে)
أَن
যে
يَكُونُوا۟
তারা হবে
خَيْرًا
উত্তম
مِّنْهُمْ
তাদের চেয়ে
وَلَا
আর না
نِسَآءٌ
মহিলারা
مِّن
মধ্য থেকে
نِّسَآءٍ
(অন্য) মহিলাদের
عَسَىٰٓ
হয়তো
أَن
যে
يَكُنَّ
তারা হবে
خَيْرًا
উত্তম
مِّنْهُنَّۖ
তাদের চেয়ে
وَلَا
এবং না
تَلْمِزُوٓا۟
তোমরা দোষারোপ করো
أَنفُسَكُمْ
তোমাদের নিজেদেরকে
وَلَا
এবং না
تَنَابَزُوا۟
তোমরা ডেকো পরস্পরে
بِٱلْأَلْقَٰبِۖ
(মন্দ) উপনামে
بِئْسَ
অত্যন্ত খারাপ ব্যাপার
ٱلِٱسْمُ
নামযুক্ত হওয়া
ٱلْفُسُوقُ
অন্যায় (কাজে)
بَعْدَ
পরে
ٱلْإِيمَٰنِۚ
ঈমান (গ্রহণের)
وَمَن
এবং যে
لَّمْ
না
يَتُبْ
বিরত থাকে
فَأُو۟لَٰٓئِكَ
তবে ঐসব লোক
هُمُ
তারাই
ٱلظَّٰلِمُونَ
সীমালঙ্ঘঙ্কারী

হে মু’মিনগণ! কোন সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর নারীরা যেন অন্য নারীদেরক ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারিণীদের চেয়ে উত্তম। তোমরা একে অন্যের নিন্দা করো না, একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। ঈমান গ্রহণের পর (ঈমানের আগে কৃত অপরাধকে যা মনে করিয়ে দেয় সেই) মন্দ নাম কতই না মন্দ! (এ সব হতে) যারা তাওবাহ না করে তারাই যালিম।

ব্যাখ্যা

يَٰٓأَيُّهَا
হে
ٱلَّذِينَ
যারা
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছ
ٱجْتَنِبُوا۟
দূরে থাক
كَثِيرًا
অত্যাধিক
مِّنَ
হতে
ٱلظَّنِّ
অনুমান করা
إِنَّ
নিশ্চয়ই
بَعْضَ
কিছু
ٱلظَّنِّ
অনুমান
إِثْمٌۖ
পাপ
وَلَا
এবং না
تَجَسَّسُوا۟
তোমরা দোষ খোঁজ করো
وَلَا
এবং না
يَغْتَب
নিন্দা করো
بَّعْضُكُم
তোমাদের কেউ
بَعْضًاۚ
কাউকে
أَيُحِبُّ
পছন্দ করে কি
أَحَدُكُمْ
তোমাদের কেউ
أَن
যে
يَأْكُلَ
সে খাবে
لَحْمَ
গোশত
أَخِيهِ
তার ভাইয়ের
مَيْتًا
(যে) মৃত
فَكَرِهْتُمُوهُۚ
বস্তুতঃ তা তোমরা ঘৃণাই কর
وَٱتَّقُوا۟
এবং তোমরা ভয় করো
ٱللَّهَۚ
আল্লাহকে
إِنَّ
নিশ্চয়ই
ٱللَّهَ
আল্লাহ
تَوَّابٌ
তওবা কবুলকারী
رَّحِيمٌ
পরম দয়ালু

হে মু’মিনগণ! তোমরা অধিক ধারণা হতে বিরত থাক। কতক ধারণা পাপের অন্তর্ভুক্ত। তোমরা অন্যের দোষ খোঁজাখুঁজি করো না, একে অন্যের অনুপস্থিতিতে দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো সেটাকে ঘৃণাই করে থাক। আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ খুব বেশি তাওবাহ ক্ববূলকারী, অতি দয়ালু।

ব্যাখ্যা

يَٰٓأَيُّهَا
হে
ٱلنَّاسُ
মানুষ
إِنَّا
নিশ্চয়ই
خَلَقْنَٰكُم
আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি
مِّن
হতে
ذَكَرٍ
এক পুরুষ
وَأُنثَىٰ
ও এক মহিলা
وَجَعَلْنَٰكُمْ
এবং আমরা তোমাদেরকে  বিভক্ত করেছি
شُعُوبًا
বিভিন্ন সম্প্রদায়
وَقَبَآئِلَ
ও (বিভিন্ন) গোত্রে
لِتَعَارَفُوٓا۟ۚ
যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পার
إِنَّ
নিশ্চয়ই
أَكْرَمَكُمْ
তোমাদের মধ্যে বেশি মর্যাদাসম্পন্ন
عِندَ
নিকট
ٱللَّهِ
আল্লাহর
أَتْقَىٰكُمْۚ
তোমাদের মধ্যে যে সর্বাধিক মুত্তাকি
إِنَّ
নিশ্চয়ই
ٱللَّهَ
আল্লাহ
عَلِيمٌ
সবকিছু জানেন
خَبِيرٌ
খুব অবহিত

হে মানুষ! তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সেই লোকই অধিক সম্মানীয় যে লোক অধিক মুত্তাক্বী। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সব খবর রাখেন।

ব্যাখ্যা

قَالَتِ
বলে
ٱلْأَعْرَابُ
মরুবাসীরা
ءَامَنَّاۖ
"আমরা ঈমান এনেছি"
قُل
বলো
لَّمْ
"নি
تُؤْمِنُوا۟
তোমরা ঈমান আনো
وَلَٰكِن
বরং
قُولُوٓا۟
তোমরা বলো
أَسْلَمْنَا
"আমরা বশ্যতা স্বীকার করেছি"
وَلَمَّا
এবং এখনও না
يَدْخُلِ
প্রবেশ করেছে
ٱلْإِيمَٰنُ
ঈমান
فِى
মধ্যে
قُلُوبِكُمْۖ
তোমাদের অন্তরসমূহের
وَإِن
এবং যদি
تُطِيعُوا۟
তোমরা আনুগত্য করো
ٱللَّهَ
আল্লাহর
وَرَسُولَهُۥ
ও তাঁর রাসুলের
لَا
না
يَلِتْكُم
তোমাদের কম করবেন (প্রতিফল দানে)
مِّنْ
থেকে
أَعْمَٰلِكُمْ
তোমাদের কর্মসমূহের
شَيْـًٔاۚ
কিছুমাত্র
إِنَّ
নিশ্চয়ই
ٱللَّهَ
আল্লাহ
غَفُورٌ
ক্ষমাশীল
رَّحِيمٌ
পরম দয়ালু

বেদুঈনরা বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’। বল- ‘তোমরা ঈমান আননি, বরং তোমরা বল, ‘আমরা (মৌখিক) আনুগত্য স্বীকার করেছি’, এখন পর্যন্ত তোমাদের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করেনি। তোমরা যদি আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে মান্য কর তাহলে তোমাদের কৃতকর্মের কিছুই কমতি করা হবে না। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

ব্যাখ্যা

إِنَّمَا
প্রকৃতপক্ষে
ٱلْمُؤْمِنُونَ
(তারাই) মু'মিন
ٱلَّذِينَ
যারা
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
بِٱللَّهِ
আল্লাহর উপর
وَرَسُولِهِۦ
ও তাঁর রাসুলের (উপর)
ثُمَّ
পরে
لَمْ
নি
يَرْتَابُوا۟
তারা সন্দেহ করে
وَجَٰهَدُوا۟
এবং তারা জিহাদ করেছে
بِأَمْوَٰلِهِمْ
তাদের ধনসম্পদ দিয়ে
وَأَنفُسِهِمْ
এবং তাদের জানজীবন (দিয়ে)
فِى
মধ্যে
سَبِيلِ
পথের
ٱللَّهِۚ
আল্লাহর
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
هُمُ
তারাই
ٱلصَّٰدِقُونَ
সত্যবাদী"

মু’মিন তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের উপর ঈমান আনে, অতঃপর কোনরূপ সন্দেহ করে না, আর তাদের মাল দিয়ে ও জান দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে; তারাই সত্যবাদী।

ব্যাখ্যা

قُلْ
(হে নবী) বলো
أَتُعَلِّمُونَ
"তোমরা কি জানাচ্ছ
ٱللَّهَ
আল্লাহকে
بِدِينِكُمْ
তোমাদের দীন (পালন) সম্পর্কে
وَٱللَّهُ
অথচ আল্লাহ
يَعْلَمُ
জানেন
مَا
যা কিছু
فِى
মধ্যে (আছে)
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশসমূহের
وَمَا
ও যা কিছু
فِى
মধ্যে (আছে)
ٱلْأَرْضِۚ
পৃথিবীর
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
بِكُلِّ
সম্পর্কে
شَىْءٍ
সব জিনিসের
عَلِيمٌ
খুব জানেন"

বল, ‘তোমরা কি তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে আল্লাহকে অবগত করতে চাও’? আল্লাহ তো জানেন যা আছে আসমানে আর যা আছে যমীনে। আল্লাহ প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে সবিশেষ অবগত।

ব্যাখ্যা

يَمُنُّونَ
তারা অনুগ্রহ প্রকাশ করে
عَلَيْكَ
তোমার প্রতি
أَنْ
যে
أَسْلَمُوا۟ۖ
তারা ইসলাম গ্রহণ করেছে
قُل
বলো
لَّا
"না
تَمُنُّوا۟
তোমরা অনুগ্রহ বলে মনে করো
عَلَىَّ
আমার প্রতি
إِسْلَٰمَكُمۖ
তোমাদের ইসলাম গ্রহণের
بَلِ
বরং
ٱللَّهُ
আল্লাহ
يَمُنُّ
অনুগ্রহ করেছেন
عَلَيْكُمْ
তোমাদের উপর
أَنْ
যে
هَدَىٰكُمْ
তিনি তোমাদেরকে পথ দেখিয়েছেন
لِلْإِيمَٰنِ
ঈমানের দিকে
إِن
যদি
كُنتُمْ
তোমরা হও
صَٰدِقِينَ
সত্যবাদী (ঈমানের দাবিতে)

এই লোকেরা মনে করে যে, তারা ইসলাম কবূল ক’রে তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছে। তাদেরকে বলে দাও, ‘তোমরা তোমাদের ইসলাম কবূলের দ্বারা আমার প্রতি কোন অনুগ্রহ করনি বরং আল্লাহ্ই তোমাদেরকে ঈমানের পথে পরিচালিত ক’রে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, তোমরা যদি (তোমাদের ঈমান আনার দাবীতে) সত্যবাদী হয়েই থাক।

ব্যাখ্যা

إِنَّ
নিশ্চয়ই
ٱللَّهَ
আল্লাহ
يَعْلَمُ
জানেন
غَيْبَ
অদৃশ্য (সম্পর্কে)
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশসমূহের
وَٱلْأَرْضِۚ
ও পৃথিবীর
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
بَصِيرٌۢ
সবকিছু দেখেন
بِمَا
ঐ বিষয়েও যা
تَعْمَلُونَ
তোমরা করছ"

আসমান ও যমীনের গোপন বিষয়ের খবর আল্লাহই জানেন। তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখেন।

ব্যাখ্যা