কাফিরদেরকে দলে দলে জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। শেষে যখন তারা সেখানে পোঁছবে, তখন তার দরজাগুলো খুলে দেয়া হবে। তখন জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে- তোমাদের কাছে তোমাদেরই ভিতর থেকে কি রসূলগণ আসেননি যারা তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের আয়াত পড়ে শোনাতেন আর তোমাদেরকে যে এ দিনের সাক্ষাৎ করতে হবে এ সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করতেন? তারা বলবে- হাঁ, এসেছিল। কিন্তু (এ স্বীকারোক্তি সত্ত্বেও) কাফিরদের প্রতি শাস্তির ফয়সালা অবধারিত হয়ে গেছে।
তাদেরকে বলা হবে- জাহান্নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ কর, তোমাদেরকে চিরকাল এখানে থাকতে হবে। অহংকারীদের আবাসস্থল কতই না নিকৃষ্ট!
যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা সেখানে এসে পৌঁছবে, জান্নাতের দরজাগুলো (পূর্ব থেকেই) উন্মুক্ত (দেখতে পাবে)। জান্নাতের দ্বার রক্ষীরা বলবে- তোমাদের উপর শান্তি (বর্ষিত হোক), চমৎকার কাজ করেছ তোমরা, কাজেই চিরকালের জন্য এতে প্রবেশ কর।
(জান্নাতে প্রবেশ করে) তারা বলবে- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি তাঁর ও‘য়াদাকে সত্যিকারভাবে পূর্ণ করেছেন, আর আমাদেরকে (জান্নাতের) যমীনের অধিকারী বানিয়ে দিয়েছেন। আমরা জান্নাতের যেথায় ইচ্ছে বসবাসের জায়গা ক’রে নিতে পারি। সৎকর্মশীলদের প্রতিফল কতই না উত্তম!
তুমি ফেরেশতাদেরকে ‘আরশের চারপাশ ঘিরে তাদের প্রতিপালকের মাহাত্ম্য ঘোষণা ও প্রশংসা করতে দেখতে পাবে। মানুষের মাঝে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে বিচার-ফয়সালা করা হবে। আর ঘোষণা দেয়া হবে যে, যাবতীয় প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের জন্য।