আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন বিপদ আসে না। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, আল্লাহ তার অন্তরকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ সকল বিষয়ের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী।
তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর ও রসূলের আনুগত্য কর। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে লও (তাহলে তোমাদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য জোর জবরদস্তি করা হবে না) কেননা, আমার রসূলের দায়িত্ব কেবল (আমার বাণী) স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া।
আল্লাহ তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই। কাজেই মু’মিনরা আল্লাহরই উপর নির্ভর করুক।
হে মু’মিনগণ! তোমাদের স্ত্রী আর সন্তানদের মধ্যে কতক তোমাদের শত্রু। কাজেই তোমরা তাদের হতে সতর্ক হও। তোমরা যদি তাদের প্রতি ক্ষমাসুলভ আচরণ কর, তাদের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা কর, আর তাদেরকে ক্ষমা কর, তাহলে (তোমাদের সে কাজ হবে আল্লাহর নিকট পছন্দীয় কারণ) আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
তোমাদের ধন-সম্পদ আর সন্তানাদি পরীক্ষা (’র বস্তু) মাত্র (যারা এ দু’টিকে সঠিকভাবে ব্যবহার ক’রে আল্লাহর পথে অটল থাকবে তারা কৃতকার্য হবে, আর যারা এ দু’টিকে আল্লাহর চেয়ে অধিক ভালবাসবে তারা ব্যর্থ হয়ে যাবে)। আর আল্লাহ এমন যাঁর কাছে আছে মহা পুরস্কার।
কাজেই তোমরা আল্লাহকে তোমাদের সাধ্যমত ভয় কর, তোমরা (তাঁর বাণী) শুন, তোমরা (তাঁর) আনুগত্য কর এবং (তাঁর পথে) ব্যয় কর, এটা তোমাদের নিজেদেরই জন্য কল্যাণকর। যারা অন্তরের সংকীর্ণতা থেকে রক্ষা পেল, তারাই সফলকাম।
তোমরা যদি আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও, তবে তিনি তা তোমাদের জন্য দ্বিগুণ করে দেবেন, আর তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন, আল্লাহ (কারো কাজের) অতি মর্যাদাদানকারী, সহনশীল।
তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, মহাপরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞানী।