وَاَمَّا الَّذِيْنَ كَفَرُوْاۗ اَفَلَمْ تَكُنْ اٰيٰتِيْ تُتْلٰى عَلَيْكُمْ فَاسْتَكْبَرْتُمْ وَكُنْتُمْ قَوْمًا مُّجْرِمِيْنَ ( الجاثية: ٣١ )
আর যারা কুফরী করেছিল তাদেরকে বলা হবে- আমার আয়াতগুলো কি তোমাদের কাছে পাঠ করা হয়নি? তখন তোমরা অহঙ্কার করেছিলে আর তোমরা ছিলে এক অপরাধী জাতি।
وَاِذَا قِيْلَ اِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّالسَّاعَةُ لَا رَيْبَ فِيْهَا قُلْتُمْ مَّا نَدْرِيْ مَا السَّاعَةُۙ اِنْ نَّظُنُّ اِلَّا ظَنًّا وَّمَا نَحْنُ بِمُسْتَيْقِنِيْنَ ( الجاثية: ٣٢ )
যখন বলা হয়- আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য আর ক্বিয়ামতের আগমনে কোনই সন্দেহ নেই, তখন তোমরা বলতে- ‘আমরা জানি না ক্বিয়ামত কী? আমরা মনে করি তা শুধু ধারণা মাত্র, আর (তাতে) আমরা নিশ্চিত বিশ্বাসী নই’।
وَبَدَا لَهُمْ سَيِّاٰتُ مَا عَمِلُوْا وَحَاقَ بِهِمْ مَّا كَانُوْا بِهٖ يَسْتَهْزِءُوْنَ ( الجاثية: ٣٣ )
তারা যে সব মন্দ কাজ করত সেগুলো তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়বে আর তারা যা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করত তা তাদেরকে ঘিরে ফেলবে।
وَقِيْلَ الْيَوْمَ نَنْسٰىكُمْ كَمَا نَسِيْتُمْ لِقَاۤءَ يَوْمِكُمْ هٰذَاۙ وَمَأْوٰىكُمُ النَّارُ وَمَا لَكُمْ مِّنْ نّٰصِرِيْنَ ( الجاثية: ٣٤ )
আর বলা হবে- ‘আজ আমি তোমাদেরকে ভুলে যাব যেমন করে তোমরা এ দিনের সাক্ষাৎকে ভুলে গিয়েছিলে। তোমাদের বাসস্থান হবে জাহান্নাম আর তোমাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না।
ذٰلِكُمْ بِاَنَّكُمُ اتَّخَذْتُمْ اٰيٰتِ اللّٰهِ هُزُوًا وَّغَرَّتْكُمُ الْحَيٰوةُ الدُّنْيَا ۚفَالْيَوْمَ لَا يُخْرَجُوْنَ مِنْهَا وَلَا هُمْ يُسْتَعْتَبُوْنَ ( الجاثية: ٣٥ )
এটা এজন্য যে, তোমরা আল্লাহর আয়াতগুলোকে ঠাট্টা বিদ্রূপের বিষয় বানিয়ে নিয়েছিলে, আর দুনিয়ার জীবন তোমাদেরকে ধোঁকায় ফেলে রেখেছিল। কাজেই আজ তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে না আর তাওবাহ করার সুযোগ দেয়া হবে না।
فَلِلّٰهِ الْحَمْدُ رَبِّ السَّمٰوٰتِ وَرَبِّ الْاَرْضِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ ( الجاثية: ٣٦ )
অতএব প্রশংসা আল্লাহরই জন্য যিনি আসমানের প্রতিপালনকারী, যমীনের প্রতিপালনকারী, বিশ্বজগতের প্রতিপালনকারী ।
وَلَهُ الْكِبْرِيَاۤءُ فِى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ۗوَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ ࣖ ۔ ( الجاثية: ٣٧ )
আকাশ ও যমীনে তাঁরই শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রাধান্য, আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।