এবং আরো অন্য (সাহায্য, সম্পদ ও বিজয়) যা এখনও তোমাদের অধিকারে আসেনি, আল্লাহ তা স্বীয় আয়ত্তে রেখেছেন, আল্লাহ সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান।
কাফিরগণ যদি তোমাদের সাথে যুদ্ধ বাঁধাত, তাহলে তারা অবশ্যই পিঠ ফিরিয়ে নিত, সে অবস্থায় তারা কোন পৃষ্ঠপোষক ও সাহায্যকারী পেত না।
(এটাই) আল্লাহর বিধান, অতীতেও তাই হয়েছে, তুমি আল্লাহর বিধানে কক্ষনো কোন পরিবর্তন পাবে না।
মক্কা উপত্যকায় তিনিই তাদের হাত তোমাদের থেকে আর তোমাদের হাত তাদের থেকে বিরত রেখেছিলেন তোমাদেরকে তাদের উপর বিজয়ী করার পর। তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ তা দেখেন।
কুফুরী তো তারাই করেছিল আর তোমাদেরকে মাসজিদুল হারাম থেকে বাধা দিয়েছিল। বাধা দিয়েছিল কুরবানীর পশুগুলোকে কুরবানীর স্থানে পৌঁছতে। মু’মিন পুরুষ আর মু’মিন নারীরা যদি (মাক্কায় কাফিরদের মাঝে) না থাকত যাদের সম্পর্কে তোমরা জান না আর অজ্ঞতাবশতই তোমরা তাদেরকে পর্যুদস্ত করে দিবে যার ফলে তোমাদের উপর কলঙ্ক লেপন হবে-এমন সম্ভাবনা না থাকত, তাহলে তোমাদেরকে যুদ্ধের আদেশ দেয়া হত। যুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়নি যাতে আল্লাহ যাকে ইচ্ছে তাঁর রহমাতের মধ্যে শামিল করে নিতে পারেন। (মাক্কায় অনেক মু’মিন আর কাফিররা একত্রিত না থেকে) যদি তারা পৃথক হয়ে থাকত, তাহলে আমি তাদের মধ্যে কাফিরদেরকে ভয়াবহ শাস্তি দিতাম।
কাফিররা যখন তাদের অন্তরে জিদ ও হঠকারিতা জাগিয়ে তুলল- অজ্ঞতার যুগের জিদ ও হঠকারিতা- তখন আল্লাহ তাঁর রসূল ও মু’মিনদের উপর স্বীয় প্রশান্তি অবতীর্ণ করলেন আর তাদের জন্য তাকওয়া অবলম্বনের নির্দেশ-বাণী অপরিহার্য (রূপে পালনীয়) ক’রে দিলেন; আর তারাই ছিল এর সবচেয়ে বেশি হকদার ও যোগ্য অধিকারী। আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বাধিক জ্ঞানের অধিকারী।
আল্লাহ তাঁর রসূলকে প্রকৃত সত্য স্বপ্নই দেখিয়েছিলেন। আল্লাহর ইচ্ছায় তোমরা অবশ্য অবশ্যই মাসজিদে হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে, মস্তক মুন্ডিত অবস্থায় ও চুল কেটে, ভয়ভীতিহীন হয়ে। আল্লাহ জানেন, যা তোমরা জান না। (সেই স্বপ্ন তো পূর্ণ হবেই) তদুপরি তিনি দিলেন (হুদাইবিয়ার চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে) নিকটাসন্ন বিজয়।
তিনিই তাঁর রসূলকে পাঠিয়েছেন হিদায়াত ও সত্য দ্বীন সহকারে সকল দ্বীনের উপর সেটিকে বিজয়ী করার জন্য। (এ ব্যাপারে) সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
মুহাম্মাদ আল্লাহর রসুল। আর যে সব লোক তাঁর সঙ্গে আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর, নিজেদের পরস্পরের প্রতি দয়াশীল। তাদেরকে তুমি দেখবে রুকূ‘ ও সাজদায় অবনত অবস্থায়, তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধানে নিয়োজিত। তাদের চিহ্ন হল, তাদের মুখমন্ডলে সেজদা্র প্রভাব পরিস্ফুট হয়ে আছে। তাদের এমন দৃষ্টান্তের কথা তাওরাতে আছে, তাদের দৃষ্টান্ত ইঞ্জিলেও আছে। (তারা) যেন একটা চারাগাছ তার কচিপাতা বের করে, তারপর তা শক্ত হয়, অতঃপর তা কান্ডের উপর মজবুত হয়ে দাঁড়িয়ে যায়- যা চাষীকে আনন্দ দেয়। (এভাবে আল্লাহ মু’মিনদেরকে দুর্বল অবস্থা থেকে দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় ক’রে দেন) যাতে কাফিরদের অন্তর গোস্বায় জ্বলে যায়। তাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান আনে আর সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।