اِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِالذِّكْرِ لَمَّا جَاۤءَهُمْ ۗوَاِنَّهٗ لَكِتٰبٌ عَزِيْزٌ ۙ ( فصلت: ٤١ )
যারা তাদের কাছে উপদেশ বাণী আসার পর তা প্রত্যাখ্যান করে (তারা আমার থেকে লুক্কায়িত নয়)। এটা হল অবশ্যই এক মহা শক্তিশালী গ্রন্থ।
لَّا يَأْتِيْهِ الْبَاطِلُ مِنْۢ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهٖ ۗتَنْزِيْلٌ مِّنْ حَكِيْمٍ حَمِيْدٍ ( فصلت: ٤٢ )
মিথ্যা এর কাছে না এর সামনে দিয়ে আসতে পারে, না এর পিছন দিয়ে। এটা অবতীর্ণ হয়েছে মহাজ্ঞানী, সকল প্রশংসার যোগ্য (আল্লাহ)’র পক্ষ হতে।
مَا يُقَالُ لَكَ اِلَّا مَا قَدْ قِيْلَ لِلرُّسُلِ مِنْ قَبْلِكَ ۗاِنَّ رَبَّكَ لَذُوْ مَغْفِرَةٍ وَّذُوْ عِقَابٍ اَلِيْمٍ ( فصلت: ٤٣ )
তোমাকে তা-ই বলা হচ্ছে যা বলা হত তোমার পূর্ববর্তী রসূলদেরকে। তোমার প্রতিপালক অবশ্যই ক্ষমার অধিকারী, আর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিদাতা।
وَلَوْ جَعَلْنٰهُ قُرْاٰنًا اَعْجَمِيًّا لَّقَالُوْا لَوْلَا فُصِّلَتْ اٰيٰتُهٗ ۗ ءَاَ۬عْجَمِيٌّ وَّعَرَبِيٌّ ۗ قُلْ هُوَ لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا هُدًى وَّشِفَاۤءٌ ۗوَالَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ فِيْٓ اٰذَانِهِمْ وَقْرٌ وَّهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًىۗ اُولٰۤىِٕكَ يُنَادَوْنَ مِنْ مَّكَانٍۢ بَعِيْدٍ ࣖ ( فصلت: ٤٤ )
আমি যদি একে অনারব ভাষায় (অবতীর্ণ) কুরআন করতাম তাহলে তারা অবশ্যই বলত- এর আয়াতগুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হল না কেন? আশ্চর্য ব্যাপার! কিতাব হল অনারব দেশীয় আর শ্রোতারা হল আরবীভাষী। বল- যারা ঈমান আনে তাদের জন্য এ কুরআন সঠিক পথের দিশারী ও আরোগ্য (লাভের উপায়)। যারা ঈমান আনে না তাদের কানে আছে বধিরতা, আর এ কুরআন তাদের জন্য অন্ধত্ব। (যেন) বহু দূর থেকে তাদেরকে ডাকা হচ্ছে।
وَلَقَدْ اٰتَيْنَا مُوْسَى الْكِتٰبَ فَاخْتُلِفَ فِيْهِ ۗوَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِنْ رَّبِّكَ لَقُضِيَ بَيْنَهُمْ ۗوَاِنَّهُمْ لَفِيْ شَكٍّ مِّنْهُ مُرِيْبٍ ( فصلت: ٤٥ )
(ইতোপূর্বে) মূসাকে আমি কিতাব দিয়েছিলাম, কিন্তু তাতে মতভেদ করা হয়েছিল। তোমার প্রতিপালক যদি পূর্বেই একটি কথা ঘোষণা করে না দিতেন, তাহলে তাদের মধ্যে (মতভেদের ব্যাপারে) ফয়সালা করেই দিতেন। তারা এ ব্যাপারে এক অস্থিরতাপূর্ণ সন্দেহে লিপ্ত।
مَنْ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفْسِهٖ ۙوَمَنْ اَسَاۤءَ فَعَلَيْهَا ۗوَمَا رَبُّكَ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيْدِ ۔ ( فصلت: ٤٦ )
যে সৎকাজ করবে নিজের কল্যাণেই করবে. যে অসৎ কাজ করবে তার পরিণতি তাকেই ভোগ করতে হবে। তোমার প্রতিপালক বান্দাদের প্রতি যালিম নন।
۞ اِلَيْهِ يُرَدُّ عِلْمُ السَّاعَةِ ۗوَمَا تَخْرُجُ مِنْ ثَمَرٰتٍ ِمّنْ اَكْمَامِهَا وَمَا تَحْمِلُ مِنْ اُنْثٰى وَلَا تَضَعُ اِلَّا بِعِلْمِهٖ ۗوَيَوْمَ يُنَادِيْهِمْ اَيْنَ شُرَكَاۤءِيْۙ قَالُوْٓا اٰذَنّٰكَ مَا مِنَّا مِنْ شَهِيْدٍ ۚ ( فصلت: ٤٧ )
ক্বিয়ামত কখন সংঘটিত হবে সে সম্পর্কিত জ্ঞান একমাত্র তাঁর কাছেই আছে। কোন ফলই তার আবরণ থেকে বেরিয়ে আসে না, এবং কোন নারী গর্ভধারণ করে না আর সন্তান প্রসব করে না তাঁর অজ্ঞাতে। যে দিন তিনি তাদেরকে ডেকে বলবেন- আমার শরীকরা কোথায় (তোমরা যেগুলো বানিয়ে নিয়েছিলে)? তারা বলবে- আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, (আজ) আমাদের কেউ (আপনার শরীক থাকার ব্যাপারে) সাক্ষ্য দাতা হবে না।
وَضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَدْعُوْنَ مِنْ قَبْلُ وَظَنُّوْا مَا لَهُمْ مِّنْ مَّحِيْصٍ ( فصلت: ٤٨ )
পূর্বে তারা যাদেরকে ডাকত তারা তাদের থেকে উধাও হয়ে যাবে, আর তারা বুঝতে পারবে যে, তাদের পালানোর কোন জায়গা নেই।
لَا يَسْـَٔمُ الْاِنْسَانُ مِنْ دُعَاۤءِ الْخَيْرِۖ وَاِنْ مَّسَّهُ الشَّرُّ فَيَـُٔوْسٌ قَنُوْطٌ ( فصلت: ٤٩ )
মানুষ নিজের কল্যাণ কামনায় দু‘আ প্রার্থনা করতে ক্লান্ত হয় না, আর মন্দ যখন তাকে স্পর্শ করে, তখন সে নৈরাশ্যে ডুবে যায়।
وَلَىِٕنْ اَذَقْنٰهُ رَحْمَةً مِّنَّا مِنْۢ بَعْدِ ضَرَّاۤءَ مَسَّتْهُ لَيَقُوْلَنَّ هٰذَا لِيْۙ وَمَآ اَظُنُّ السَّاعَةَ قَاۤىِٕمَةًۙ وَّلَىِٕنْ رُّجِعْتُ اِلٰى رَبِّيْٓ اِنَّ لِيْ عِنْدَهٗ لَلْحُسْنٰىۚ فَلَنُنَبِّئَنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِمَا عَمِلُوْاۖ وَلَنُذِيْقَنَّهُمْ مِّنْ عَذَابٍ غَلِيْظٍ ( فصلت: ٥٠ )
দুঃখ-বিপদ মানুষকে স্পর্শ করার পর আমি যখন তাকে আমার অনুগ্রহ আস্বাদন করাই তখন সে অবশ্য অবশ্যই বলে- এটা আমার ন্যায্য পাওনা। ক্বিয়ামত যে সংঘটিত হবে আমি মোটেই তা মনে করি না। আর যদি আমাকে আমার প্রতিপালকের নিকট ফিরিয়ে নেয়া হয়ই, তবে তাঁর কাছে আমার জন্য অবশ্যই কল্যাণ আছে। অতঃপর আমি কাফিরদেরকে অবশ্য অবশ্যই জানিয়ে দেব তারা (দুনিয়াতে) কী কাজ করেছিল। আর অবশ্য অবশ্যই তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি আস্বাদন করাব।