এটা এজন্য যে, আল্লাহ রাতকে ঢুকিয়ে দেন দিনে, আর দিনকে ঢুকিয়ে দেন রাতে (দুঃখ বেদনার অন্ধকার দূর করে আনন্দের আলো এনে দেন আর আনন্দিত জনকে দুঃখের অাঁধারে ডুবিয়ে দেন)। আর আল্লাহ তো সব কিছু শোনেন, সব কিছু দেখেন।
এজন্য যে, আল্লাহ- তিনিই সত্য, আর তাঁকে বাদ দিয়ে তারা অন্য যাকে ডাকে তা অলীক, অসত্য, আর আল্লাহ, তিনি তো সর্বোচ্চ, সুমহান।
তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, যার ফলে পৃথিবী সবুজে আচ্ছাদিত হয়ে যায়, নিশ্চয় আল্লাহ সূক্ষ্ণদর্শী, সর্ববিষয়ে ওয়াকিফহাল।
আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর, আর আল্লাহ, তিনি যাবতীয় অভাব থেকে মুক্ত, যাবতীয় প্রশংসার অধিকারী।
তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব তিনি তোমাদের কল্যাণ-কাজে লাগিয়ে রেখেছেন। আর নৌযানগুলো সমুদ্রে চলাচল করে তাঁর হুকুমেই? তিনিই আকাশকে স্থির রাখেন যাতে তা পৃথিবীতে পতিত না হয় তাঁর অনুমতি ছাড়া। আল্লাহ মানুষের প্রতি নিশ্চিতই বড়ই করুণাশীল, বড়ই দয়াবান।
তিনিই তোমাদেরকে জীবন দিয়েছেন, অতঃপর তিনিই তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর আবার তোমাদেরকে জীবন দিবেন। মানুষ সত্যিই বড়ই অকৃতজ্ঞ।
প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আমি (‘ইবাদাতের) নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করে দিয়েছি যা তারা অনুসরণ করে। কাজেই তারা যেন এ বিষয়ে তোমার সঙ্গে তর্ক বিতর্ক না করে। তুমি (তাদেরকে) তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক, তুমি অবশ্যই সরল সঠিক পথে আছ।
তারা যদি তোমার সঙ্গে বিতর্ক করে তাহলে বল- তোমরা যা কর আল্লাহ তা ভাল করেই জানেন।
আল্লাহ কিয়ামাতের দিন সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিবেন যে বিষয়ে তোমরা মতভেদ করছ।
তুমি কি জান না যে, আল্লাহ জানেন যা আছে আকাশে আর পৃথিবীতে, এ সবই লিপিতে (রেকর্ডে) আছে। এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।