تَنْزِيْلُ الْكِتٰبِ مِنَ اللّٰهِ الْعَزِيْزِ الْحَكِيْمِ ( الأحقاف: ٢ )
কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে মহা পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহর নিকট হতে।
مَا خَلَقْنَا السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَآ اِلَّا بِالْحَقِّ وَاَجَلٍ مُّسَمًّىۗ وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا عَمَّآ اُنْذِرُوْا مُعْرِضُوْنَ ( الأحقاف: ٣ )
আমি আকাশ, যমীন ও এ দু’য়ের মাঝে যা আছে তা প্রকৃত উদ্দেশ্যে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছি। কিন্তু কাফিরগণ, যে বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয় তাত্থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
قُلْ اَرَءَيْتُمْ مَّا تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَرُوْنِيْ مَاذَا خَلَقُوْا مِنَ الْاَرْضِ اَمْ لَهُمْ شِرْكٌ فِى السَّمٰوٰتِ ۖائْتُوْنِيْ بِكِتٰبٍ مِّنْ قَبْلِ هٰذَآ اَوْ اَثٰرَةٍ مِّنْ عِلْمٍ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِيْنَ ( الأحقاف: ٤ )
বল- তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক, তাদের বিষয়ে চিন্তা করে দেখেছ কি? দেখাও আমাকে তারা যমীনে কী সৃষ্টি করেছে অথবা আকাশমন্ডলে তাদের কোন অংশীদারিত্ব আছে কি? এর আগের কোন কিতাব অথবা পরম্পরাগত কোন জ্ঞান আমার কাছে উপস্থিত কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
وَمَنْ اَضَلُّ مِمَّنْ يَّدْعُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَنْ لَّا يَسْتَجِيْبُ لَهٗٓ اِلٰى يَوْمِ الْقِيٰمَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَاۤىِٕهِمْ غٰفِلُوْنَ ( الأحقاف: ٥ )
তার চেয়ে অধিক গুমরাহ কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাকে সাড়া দেবে না, আর তাদের ডাকাডাকি সম্পর্কেও তারা (একদম) বেখবর?
وَاِذَا حُشِرَ النَّاسُ كَانُوْا لَهُمْ اَعْدَاۤءً وَّكَانُوْا بِعِبَادَتِهِمْ كٰفِرِيْنَ ( الأحقاف: ٦ )
ক্বিয়ামতের দিন মানুষকে যখন একত্রিত করা হবে, তখন ঐগুলো (অর্থাৎ উপাস্যরা) হবে মানুষের শত্রু আর মানুষ যে তাদের ‘ইবাদাত করেছিল তা তারা অস্বীকার করবে।
وَاِذَا تُتْلٰى عَلَيْهِمْ اٰيٰتُنَا بَيِّنٰتٍ قَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لِلْحَقِّ لَمَّا جَاۤءَهُمْۙ هٰذَا سِحْرٌ مُّبِيْنٌۗ ( الأحقاف: ٧ )
তাদের কাছে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াত আবৃত্তি করা হয় আর সত্য যখন তাদের কাছে উপস্থিত হয়, তখন কাফিররা বলে- এটাতো প্রকাশ্য যাদু।
اَمْ يَقُوْلُوْنَ افْتَرٰىهُ ۗ قُلْ اِنِ افْتَرَيْتُهٗ فَلَا تَمْلِكُوْنَ لِيْ مِنَ اللّٰهِ شَيْـًٔا ۗهُوَ اَعْلَمُ بِمَا تُفِيْضُوْنَ فِيْهِۗ كَفٰى بِهٖ شَهِيْدًا ۢ بَيْنِيْ وَبَيْنَكُمْ ۗ وَهُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ ( الأحقاف: ٨ )
তারা কি বলতে চায় যে, রসূল নিজেই তা রচনা করেছে? বল, তা যদি আমি রচনা করে থাকি তাহলে তোমরা আল্লাহর শাস্তি হতে আমাকে কিছুতেই বাঁচাতে পারবে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন যে বিষয়ে তোমরা মত্ত আছ। আমার আর তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে তিনিই যথেষ্ট, আর তিনি বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
قُلْ مَا كُنْتُ بِدْعًا مِّنَ الرُّسُلِ وَمَآ اَدْرِيْ مَا يُفْعَلُ بِيْ وَلَا بِكُمْۗ اِنْ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا يُوْحٰٓى اِلَيَّ وَمَآ اَنَا۠ اِلَّا نَذِيْرٌ مُّبِيْنٌ ( الأحقاف: ٩ )
বল, আমি রসূলদের মধ্যে নতুন নই, আর আমি এও জানি না যে, আমার সঙ্গে কী ব্যবহার করা হবে আর তোমাদের সঙ্গেইবা কেমন (ব্যবহার করা হবে), আমি কেবল তাই মেনে চলি যা আমার প্রতি ওয়াহী করা হয়। আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।
قُلْ اَرَءَيْتُمْ اِنْ كَانَ مِنْ عِنْدِ اللّٰهِ وَكَفَرْتُمْ بِهٖ وَشَهِدَ شَاهِدٌ مِّنْۢ بَنِيْٓ اِسْرَاۤءِيْلَ عَلٰى مِثْلِهٖ فَاٰمَنَ وَاسْتَكْبَرْتُمْۗ اِنَّ اللّٰهَ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الظّٰلِمِيْنَ ࣖ ( الأحقاف: ١٠ )
বল- তোমরা কি ভেবে দেখেছ যদি এ (কুরআন) আল্লাহর পক্ষ থেকে এসে থাকে আর তা তোমরা প্রত্যাখ্যান কর অথচ এ ধরনের কালাম সম্পর্কে বানী ইসরাঈলের একজন [‘আবদুল্লাহ বিন সালাম (রাযি.)] সাক্ষ্যও দিয়েছে। সে ঈমান আনল আর তোমরা অহঙ্কার করলে? আল্লাহ যালিম লোকদেরকে সঠিক পথ দেখান না।
| القرآن الكريم: | الأحقاف |
|---|---|
| আধিপত্য একটি আয়াত (سجدة): | - |
| সূরা নাম (latin): | Al-Ahqaf |
| সূরা না: | 46 |
| আয়াত: | 35 |
| মোট শব্দ: | 44 |
| মোট অক্ষর: | 2595 |
| রুকু সংখ্যা: | 4 |
| অবতীর্ণ: | মক্কা |
| উদ্ঘাটন আদেশ: | 66 |
| শ্লোক থেকে শুরু: | 4510 |