وَاُزْلِفَتِ الْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِيْنَ غَيْرَ بَعِيْدٍ ( ق: ٣١ )
মুত্তাক্বীদের জন্য জান্নাতকে নিকটে আনা হবে- তা মোটেই দূরে থাকবে না।
هٰذَا مَا تُوْعَدُوْنَ لِكُلِّ اَوَّابٍ حَفِيْظٍۚ ( ق: ٣٢ )
(বলা হবে) ‘এ হল তাই যার ও‘য়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল- প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী ও (গুনাহ থেকে) খুব বেশি হিফাযাতকারীর জন্য।
مَنْ خَشِيَ الرَّحْمٰنَ بِالْغَيْبِ وَجَاۤءَ بِقَلْبٍ مُّنِيْبٍۙ ( ق: ٣٣ )
যে না দেখেই দয়াময় (আল্লাহকে) ভয় করত, আর আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য বিনয়ে অবনত অন্তর নিয়ে উপস্থিত হত।
ۨادْخُلُوْهَا بِسَلٰمٍ ۗذٰلِكَ يَوْمُ الْخُلُوْدِ ( ق: ٣٤ )
(তাদেরকে বলা হবে) ‘শান্তির সঙ্গে এতে প্রবেশ কর, এটা চিরস্থায়ী জীবনের দিন।’
لَهُمْ مَّا يَشَاۤءُوْنَ فِيْهَا وَلَدَيْنَا مَزِيْدٌ ( ق: ٣٥ )
সেখানে তাদের জন্য তা-ই আছে যা তারা ইচ্ছে করবে, আর আমার কাছে (তাছাড়াও) আরো বেশি আছে।
وَكَمْ اَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِّنْ قَرْنٍ هُمْ اَشَدُّ مِنْهُمْ بَطْشًا فَنَقَّبُوْا فِى الْبِلَادِۗ هَلْ مِنْ مَّحِيْصٍ ( ق: ٣٦ )
তাদের পূর্বে আমি কত জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি যারা শক্তিতে ছিল তাদের চেয়ে প্রবল, যার ফলে তারা দুনিয়া চষে বেড়াত; তারা পালানোর কোন জায়গা পেয়েছিল কি?
اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَذِكْرٰى لِمَنْ كَانَ لَهٗ قَلْبٌ اَوْ اَلْقَى السَّمْعَ وَهُوَ شَهِيْدٌ ( ق: ٣٧ )
এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে তার জন্য যার আছে (বোধশক্তিসম্পন্ন) অন্তর কিংবা যে খুব মন দিয়ে কথা শুনে।
وَلَقَدْ خَلَقْنَا السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِيْ سِتَّةِ اَيَّامٍۖ وَّمَا مَسَّنَا مِنْ لُّغُوْبٍ ( ق: ٣٨ )
আকাশ, যমীন আর এ দু’য়ের মাঝে যা আছে তা আমি ছ’ দিনে সৃষ্টি করেছি; ক্লান্তি আমাকে স্পর্শ করেনি। (আমি সকল মানুষকে বিচারের জন্য হাজির করবই)।
فَاصْبِرْ عَلٰى مَا يَقُوْلُوْنَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوْعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ الْغُرُوْبِ ( ق: ٣٩ )
কাজেই তারা (মিথ্যা, উপহাসপূর্ণ ও অপমানজনক কথা) যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর আর সূর্যোদয়ের পূর্বে আর সূর্যাস্তের পূর্বে তোমার প্রতিপালকের মহিমা ও প্রশংসা ঘোষণা কর।
وَمِنَ الَّيْلِ فَسَبِّحْهُ وَاَدْبَارَ السُّجُوْدِ ( ق: ٤٠ )
আর তাঁর প্রশংসা ঘোষণা কর রাত্রির একাংশে আর নামাযের পরে।