اَمْ حَسِبَ الَّذِيْنَ اجْتَرَحُوا السَّيِّاٰتِ اَنْ نَّجْعَلَهُمْ كَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ سَوَاۤءً مَّحْيَاهُمْ وَمَمَاتُهُمْ ۗسَاۤءَ مَا يَحْكُمُوْنَ ࣖࣖ ( الجاثية: ٢١ )
যারা অন্যায় কাজ করে তারা কি এ কথা ভেবে নিয়েছে যে, আমি তাদেরকে আর ঈমান গ্রহণকারী সৎকর্মশীলদেরকে সমান গণ্য করব যার ফলে তাদের উভয় দলের জীবন ও মৃত্যু সমান হয়ে যাবে? কতই না মন্দ তাদের ফয়সালা!
وَخَلَقَ اللّٰهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ بِالْحَقِّ وَلِتُجْزٰى كُلُّ نَفْسٍۢ بِمَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُوْنَ ( الجاثية: ٢٢ )
আল্লাহ আকাশ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন এক সত্যিকার লক্ষ্যে যাতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কৃতকর্ম অনুযায়ী প্রতিফল দেয়া যেতে পারে, আর তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না।
اَفَرَءَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ اِلٰهَهٗ هَوٰىهُ وَاَضَلَّهُ اللّٰهُ عَلٰى عِلْمٍ وَّخَتَمَ عَلٰى سَمْعِهٖ وَقَلْبِهٖ وَجَعَلَ عَلٰى بَصَرِهٖ غِشٰوَةًۗ فَمَنْ يَّهْدِيْهِ مِنْۢ بَعْدِ اللّٰهِ ۗ اَفَلَا تَذَكَّرُوْنَ ( الجاثية: ٢٣ )
তুমি কি লক্ষ্য করেছ তার প্রতি যে তার খেয়াল-খুশিকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? আল্লাহ জেনে শুনেই তাকে পথভ্রষ্ট করেছেন আর তার কানে ও দিলে মোহর মেরে দিয়েছেন আর তার চোখের উপর টেনে দিয়েছেন পর্দা। অতঃপর আল্লাহর পর আর কে (আছে যে) তাকে সঠিক পথ দেখাবে? এরপরও কি তোমরা শিক্ষাগ্রহণ করবে না?
وَقَالُوْا مَا هِيَ اِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوْتُ وَنَحْيَا وَمَا يُهْلِكُنَآ اِلَّا الدَّهْرُۚ وَمَا لَهُمْ بِذٰلِكَ مِنْ عِلْمٍۚ اِنْ هُمْ اِلَّا يَظُنُّوْنَ ( الجاثية: ٢٤ )
তারা বলে- জীবন বলতে তো শুধু আমাদের এ দুনিয়ারই জীবন, আমরা মরি আর বেঁচে থাকি (এখানেই)। কালের প্রবাহ ছাড়া অন্য কিছুই আমাদেরকে ধ্বংস করে না। আসলে এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞানই নেই। তারা শুধু ধারণা করে।
وَاِذَا تُتْلٰى عَلَيْهِمْ اٰيٰتُنَا بَيِّنٰتٍ مَّا كَانَ حُجَّتَهُمْ اِلَّآ اَنْ قَالُوا ائْتُوْا بِاٰبَاۤىِٕنَآ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِيْنَ ( الجاثية: ٢٥ )
তাদের সামনে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতগুলো পাঠ করা হয়, তখন তাদের কাছে এ কথা বলা ছাড়া আর কোন যুক্তি থাকে না যে, তোমরা যদি সত্যবাদীই হয়ে থাক, তাহলে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে হাজির কর।
قُلِ اللّٰهُ يُحْيِيْكُمْ ثُمَّ يُمِيْتُكُمْ ثُمَّ يَجْمَعُكُمْ اِلٰى يَوْمِ الْقِيٰمَةِ لَارَيْبَ فِيْهِ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ ࣖ ( الجاثية: ٢٦ )
বল- আল্লাহই তোমাদেরকে জীবন দান করেন অতঃপর তোমাদের মৃত্যু ঘটান। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে ক্বিয়ামতের দিন একত্রিত করবেন যাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।
وَلِلّٰهِ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ وَيَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَةُ يَوْمَىِٕذٍ يَّخْسَرُ الْمُبْطِلُوْنَ ( الجاثية: ٢٧ )
আকাশ ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই, যে দিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন মিথ্যার অনুসারীরা ধ্বংস হয়ে যাবে।
وَتَرٰى كُلَّ اُمَّةٍ جَاثِيَةً ۗ كُلُّ اُمَّةٍ تُدْعٰٓى اِلٰى كِتٰبِهَاۗ اَلْيَوْمَ تُجْزَوْنَ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ( الجاثية: ٢٨ )
আর প্রত্যেক সম্প্রদায়কে দেখবে নতজানু হয়ে আছে। প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তার ‘আমালনামার পানে আহবান করা হবে। (আর বলা হবে) তোমরা যা করতে আজ তার প্রতিফল দেয়া হবে।
هٰذَا كِتٰبُنَا يَنْطِقُ عَلَيْكُمْ بِالْحَقِّ ۗاِنَّا كُنَّا نَسْتَنْسِخُ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ( الجاثية: ٢٩ )
আমার এ কিতাব তোমাদের ব্যাপারে সত্য কথাই বলবে, তোমরা যা করতে আমি তাই-ই লিখে রাখতাম।
فَاَمَّا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَيُدْخِلُهُمْ رَبُّهُمْ فِيْ رَحْمَتِهٖۗ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْمُبِيْنُ ( الجاثية: ٣٠ )
যারা ঈমান আনে আর সৎকর্ম করে তাদের প্রতিপালক তাদেরকে তাঁর রহমাতের মধ্যে দাখিল করবেন। ওটাই সুস্পষ্ট সাফল্য।