فَاِذَا نُفِخَ فِى الصُّوْرِ فَلَآ اَنْسَابَ بَيْنَهُمْ يَوْمَىِٕذٍ وَّلَا يَتَسَاۤءَلُوْنَ ( المؤمنون: ١٠١ )
অতঃপর যখন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে সেদিন তাদের পরস্পরের মাঝে আত্মীয় বন্ধন থাকবে না। একে অপরের কাছে জিজ্ঞেসও করবে না।
فَمَنْ ثَقُلَتْ مَوَازِيْنُهٗ فَاُولٰۤىِٕكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ ( المؤمنون: ١٠٢ )
যাদের (সৎ কাজের) পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে সফলকাম।
وَمَنْ خَفَّتْ مَوَازِيْنُهٗ فَاُولٰۤىِٕكَ الَّذِيْنَ خَسِرُوْٓا اَنْفُسَهُمْ فِيْ جَهَنَّمَ خٰلِدُوْنَ ۚ ( المؤمنون: ١٠٣ )
যাদের পাল্লা হালকা হবে তারাই ওরা যারা নিজেদের ক্ষতিসাধন করেছে, জাহান্নামে তারা চিরস্থায়ী হবে।
تَلْفَحُ وُجُوْهَهُمُ النَّارُ وَهُمْ فِيْهَا كَالِحُوْنَ ( المؤمنون: ١٠٤ )
আগুন তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে আর তারা বীভৎস চেহারা নিয়ে তার ভিতরে দাঁত কটমট করতে থাকবে।
اَلَمْ تَكُنْ اٰيٰتِيْ تُتْلٰى عَلَيْكُمْ فَكُنْتُمْ بِهَا تُكَذِّبُوْنَ ( المؤمنون: ١٠٥ )
(তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমাদের নিকট কি আমার আয়াতগুলো আবৃত্তি করা হত না? তোমরা সেগুলোকে মিথ্যে জেনে প্রত্যাখ্যান করেছিলে।
قَالُوْا رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَيْنَا شِقْوَتُنَا وَكُنَّا قَوْمًا ضَاۤلِّيْنَ ( المؤمنون: ١٠٦ )
তারা বলবে- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! দুর্ভাগ্য আমাদেরকে পরাস্ত করেছিল, আর আমরা ছিলাম এক পথভ্রষ্ট জাতি।
رَبَّنَآ اَخْرِجْنَا مِنْهَا فَاِنْ عُدْنَا فَاِنَّا ظٰلِمُوْنَ ( المؤمنون: ١٠٧ )
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এত্থেকে বের করে নাও, আমরা যদি আবার কুফুরী করি তাহলে আমরা তো যালিম হিসেবে পরিগণিত হব।
قَالَ اخْسَـُٔوْا فِيْهَا وَلَا تُكَلِّمُوْنِ ( المؤمنون: ١٠٨ )
আল্লাহ বলবেন- ‘তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই পড়ে থাক, আমার সঙ্গে কোন কথা বল না।’
اِنَّهٗ كَانَ فَرِيْقٌ مِّنْ عِبَادِيْ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَآ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَاَنْتَ خَيْرُ الرّٰحِمِيْنَ ۚ ( المؤمنون: ١٠٩ )
আমার বান্দাহদের একদল বলত- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
فَاتَّخَذْتُمُوْهُمْ سِخْرِيًّا حَتّٰٓى اَنْسَوْكُمْ ذِكْرِيْ وَكُنْتُمْ مِّنْهُمْ تَضْحَكُوْنَ ( المؤمنون: ١١٠ )
কিন্তু তাদেরকে নিয়ে তোমরা হাসি তামাশা করতে এমনকি তা তোমাদেরকে আমার কথা ভুলিয়ে দিয়েছিল, তোমরা তাদেরকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টাই করতে।