আর (বলা হল) ‘তোমার লাঠি নিক্ষেপ কর।’ অতঃপর যখন সে সেটাকে দেখল ছুটাছুটি করতে যেন ওটা একটা সাপ, তখন পেছনের দিকে দৌড় দিল, ফিরেও তাকাল না। (তখন তাকে বলা হল) ‘ওহে মূসা! সামনে এসো, ভয় করো না, তুমি নিরাপদ।’
তোমার হাত তোমার বগলে রাখ, তা দোষমুক্ত জ্যোতির্ময় হয়ে বেরিয়ে আসবে, ভয় থেকে রক্ষার্থে তোমার হাত তোমার উপর চেপে ধর। এ দু’টি হল ফেরাউন ও তার পারিষদবর্গের জন্য তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রমাণ, নিশ্চয় তারা পাপাচারী সম্প্রদায়।’
মূসা বলল- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তাদের একজনকে হত্যা করেছি, কাজেই আমি আশঙ্কা করছি তারা আমাকে হত্যা করবে।’
আর আমার ভাই হারূন আমার চেয়ে প্রাঞ্জলভাষী, কাজেই তাকে তুমি সাহায্যকারীরূপে আমার সঙ্গে প্রেরণ কর, সে আমাকে সমর্থন জানাবে। আমি আশঙ্কা করছি তারা আমাকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করবে।’
আল্লাহ বললেন- ‘আমি তোমার ভ্রাতার মাধ্যমে তোমার হাতকে শক্তিশালী করব এবং তোমাদেরকে প্রমাণপঞ্জি দান করব, যার ফলে তারা তোমাদের কাছে পৌঁছতেই পারবে না। আমার নিদর্শন বলে তোমরা এবং তোমাদের অনুসারীরাই বিজয়ী থাকবে।
মূসা যখন তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে আসল, তারা বলল- এতো অলীক যাদু মাত্র, আমাদের পূর্বপুরুষদের যামানায় এ সবের কথা তো শুনিনি।
মূসা বলল- ‘আমার প্রতিপালক বেশ ভাল ক’রেই জানেন কে তাঁর নিকট থেকে পথ নির্দেশ নিয়ে এসেছে এবং কার পরিণাম আখিরাতে শুভ হবে। যালিমরা কক্ষনো সাফল্য লাভ করবে না।’
ফিরআউন বলল- ‘হে পারিষদবর্গ! আমি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ আছে বলে আমি জানি না। কাজেই ওহে হামান! তুমি আমার জন্য ইট পোড়াও, অতঃপর আমার জন্য একটি প্রাসাদ নির্মাণ কর যাতে আমি মূসার ইলাহকে দেখতে পারি, আমার নিশ্চিত ধারণা যে, সে একজন মিথ্যেবাদী।’
ফেরাউন ও তার বাহিনী অকারণে পৃথিবীতে অহংকার করেছিল আর তারা ভেবেছিল যে, তাদেরকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনা হবে না।
কাজেই আমি তাকে ও তার বাহিনীকে পাকড়াও করলাম, অতঃপর তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। এখন দেখ, যালিমদের পরিণতি কী হয়েছিল।