كُلُوْا مِنْ طَيِّبٰتِ مَا رَزَقْنٰكُمْۙ وَلَا تَطْغَوْا فِيْهِ فَيَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبِيْۚ وَمَنْ يَّحْلِلْ عَلَيْهِ غَضَبِيْ فَقَدْ هَوٰى ( طه: ٨١ )
তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তাত্থেকে উত্তমগুলো আহার কর, আর এতে বাড়াবাড়ি করো না, করলে তোমাদের উপর আমার ‘আযাব সাব্যস্ত হয়ে যাবে। আর আমার ‘আযাব যার উপর সাব্যস্ত হয় সে তো ধ্বংসই হয়ে যায়।
وَاِنِّي لَغَفَّارٌ لِّمَنْ تَابَ وَاٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدٰى ( طه: ٨٢ )
আর যে তাওবাহ করে, ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আর সৎপথে অটল থাকে, আমি তার জন্য অবশ্যই অতি ক্ষমাশীল।
۞ وَمَآ اَعْجَلَكَ عَنْ قَوْمِكَ يٰمُوْسٰى ( طه: ٨٣ )
‘হে মূসা! তোমার সম্প্রদায়কে পেছনে ফেলে (তূর পাহাড়ে আসতে) তুমি জলদি করলে কেন?’
قَالَ هُمْ اُولَاۤءِ عَلٰٓى اَثَرِيْ وَعَجِلْتُ اِلَيْكَ رَبِّ لِتَرْضٰى ( طه: ٨٤ )
মূসা বলল, ‘এই তো তারা আমার পদচিহ্ন ধরে আসছে, আমি আপনার কাছে জলদি এলাম, হে আমার প্রতিপালক! যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন।’
قَالَ فَاِنَّا قَدْ فَتَنَّا قَوْمَكَ مِنْۢ بَعْدِكَ وَاَضَلَّهُمُ السَّامِرِيُّ ( طه: ٨٥ )
তিনি বললেন, ‘তোমার অনুপস্থিতিতে আমি তোমার সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি আর সামিরী তাদেরকে গুমরাহ্ করেছে।
فَرَجَعَ مُوْسٰٓى اِلٰى قَوْمِهٖ غَضْبَانَ اَسِفًا ەۚ قَالَ يٰقَوْمِ اَلَمْ يَعِدْكُمْ رَبُّكُمْ وَعْدًا حَسَنًا ەۗ اَفَطَالَ عَلَيْكُمُ الْعَهْدُ اَمْ اَرَدْتُّمْ اَنْ يَّحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ فَاَخْلَفْتُمْ مَّوْعِدِيْ ( طه: ٨٦ )
তখন মূসা রাগে-দুঃখে তার জাতির কাছে ফিরে গেল। সে বলল, ‘হে আমার জাতি! তোমাদের প্রতিপালক কি তোমাদের সঙ্গে ও‘য়াদা করেননি, এক উত্তম ওয়া‘দা। ওয়া‘দা (পূরণের সময় আসতে) কি তোমাদের নিকট সুদীর্ঘ মনে হয়েছে, নাকি তোমরা চেয়েছ যে, তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের শাস্তি নেমে আসুক, যে কারণে তোমরা আমার কাছে দেয়া তোমাদের ওয়া‘দা ভঙ্গ করলে?’
قَالُوْا مَآ اَخْلَفْنَا مَوْعِدَكَ بِمَلْكِنَا وَلٰكِنَّا حُمِّلْنَآ اَوْزَارًا مِّنْ زِيْنَةِ الْقَوْمِ فَقَذَفْنٰهَا فَكَذٰلِكَ اَلْقَى السَّامِرِيُّ ۙ ( طه: ٨٧ )
তারা বলল, ‘আমাদের সাধ্য থাকা পর্যন্ত আমরা তোমার প্রতি দেয়া আমাদের ওয়া‘দা ভঙ্গ করিনি, কিন্তু আমাদের উপর লোকেদের অলঙ্কারের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল, আর আমরা তা নিক্ষেপ করেছিলাম (আগুনে), এমনিভাবে সামিরীও নিক্ষেপ করেছিল।
فَاَخْرَجَ لَهُمْ عِجْلًا جَسَدًا لَّهٗ خُوَارٌ فَقَالُوْا هٰذَآ اِلٰهُكُمْ وَاِلٰهُ مُوْسٰى ەۙ فَنَسِيَ ۗ ( طه: ٨٨ )
তখন সে (আগুন থেকে) গো-বৎসের প্রতিকৃতি বের করল, মনে হত সেটা যেন হাম্বা রব করছে। অতঃপর তারা বলল, ‘এটাই তোমাদের ইলাহ আর মূসারও ইলাহ, কিন্তু মূসা ভুলে গেছে।’
اَفَلَا يَرَوْنَ اَلَّا يَرْجِعُ اِلَيْهِمْ قَوْلًا ەۙ وَّلَا يَمْلِكُ لَهُمْ ضَرًّا وَّلَا نَفْعًا ࣖ ( طه: ٨٩ )
তারা কি ভেবে দেখে না যে, তা তাদের কথার জবাব দেয় না, আর তা তাদের কোন ক্ষতি বা উপকার করার সামর্থ্যও রাখে না?
وَلَقَدْ قَالَ لَهُمْ هٰرُوْنُ مِنْ قَبْلُ يٰقَوْمِ اِنَّمَا فُتِنْتُمْ بِهٖۚ وَاِنَّ رَبَّكُمُ الرَّحْمٰنُ فَاتَّبِعُوْنِيْ وَاَطِيْعُوْٓا اَمْرِيْ ( طه: ٩٠ )
হারূন তাদেরকে আগেই বলেছিল, ‘হে আমার জাতির লোকেরা! এর (অর্থাৎ গো-বৎসের) দ্বারা তোমাদেরকে পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে, তোমাদের প্রতিপালক হলেন দয়াময় (আল্লাহ), কাজেই তোমরা আমার অনুসরণ কর আর আমার কথা মান্য কর।