۞ مُنِيْبِيْنَ اِلَيْهِ وَاتَّقُوْهُ وَاَقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَلَا تَكُوْنُوْا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَۙ ( الروم: ٣١ )
তাঁর অভিমুখী হও, আর তাঁকে ভয় কর, নামায প্রতিষ্ঠা কর, আর মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
مِنَ الَّذِيْنَ فَرَّقُوْا دِيْنَهُمْ وَكَانُوْا شِيَعًا ۗ كُلُّ حِزْبٍۢ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُوْنَ ( الروم: ٣٢ )
যারা নিজেদের দ্বীনকে বিভক্ত করে ফেলেছে এবং বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে গেছে। প্রত্যেক দল নিজেদের কাছে যা আছে তাই নিয়ে উল্লসিত।
وَاِذَا مَسَّ النَّاسَ ضُرٌّ دَعَوْا رَبَّهُمْ مُّنِيْبِيْنَ اِلَيْهِ ثُمَّ اِذَآ اَذَاقَهُمْ مِّنْهُ رَحْمَةً اِذَا فَرِيْقٌ مِّنْهُمْ بِرَبِّهِمْ يُشْرِكُوْنَۙ ( الروم: ٣٣ )
মানুষকে যখন দুঃখ-বিপদ স্পর্শ করে তখন তারা তাদের প্রতিপালককে ডাকে তাঁর অভিমুখী হয়ে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে নিজ অনুগ্রহ আস্বাদন করান তখন তাদের একদল তাদের প্রতিপালকের অংশীদার সাব্যস্ত করে বসে
لِيَكْفُرُوْا بِمَآ اٰتَيْنٰهُمْۗ فَتَمَتَّعُوْاۗ فَسَوْفَ تَعْلَمُوْنَ ( الروم: ٣٤ )
আমি তাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছি তা অস্বীকার করার জন্য। তাহলে ভোগ করে নাও, শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে!
اَمْ اَنْزَلْنَا عَلَيْهِمْ سُلْطٰنًا فَهُوَ يَتَكَلَّمُ بِمَا كَانُوْا بِهٖ يُشْرِكُوْنَ ( الروم: ٣٥ )
আমি কি তাদের কাছে এমন কোন দলীল অবতীর্ণ করেছি যা তাদেরকে সেগুলোর কথা বলে তারা যেগুলোর শরীক করে?
وَاِذَآ اَذَقْنَا النَّاسَ رَحْمَةً فَرِحُوْا بِهَاۗ وَاِنْ تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ ۢبِمَا قَدَّمَتْ اَيْدِيْهِمْ اِذَا هُمْ يَقْنَطُوْنَ ( الروم: ٣٦ )
আমি যখন মানুষকে অনুগ্রহ আস্বাদন করাই তখন তারা তাতে উল্লসিত হয়, তারপর তাদের হাত যা আগে পাঠিয়েছে তার ফলে দুর্দশা যখন তাদেরকে পেয়ে বসে, তখন তারা হতাশ হয়ে পড়ে।
اَوَلَمْ يَرَوْا اَنَّ اللّٰهَ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَاۤءُ وَيَقْدِرُۗ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّقَوْمٍ يُّؤْمِنُوْنَ ( الروم: ٣٧ )
তারা কি লক্ষ্য করে না যে, আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছে করেন রিযক প্রশস্ত করেন আর (যার জন্য ইচ্ছে) সীমাবদ্ধ করেন? বিশ্বাসী লোকেদের জন্য অবশ্যই এতে বহু নিদর্শন আছে।
فَاٰتِ ذَا الْقُرْبٰى حَقَّهٗ وَالْمِسْكِيْنَ وَابْنَ السَّبِيْلِۗ ذٰلِكَ خَيْرٌ لِّلَّذِيْنَ يُرِيْدُوْنَ وَجْهَ اللّٰهِ ۖوَاُولٰۤىِٕكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ ( الروم: ٣٨ )
কাজেই আত্মীয়দেরকে তাদের ন্যায্য প্রাপ্য দিয়ে দাও আর অভাবগ্রস্ত এবং মুসাফিরদেরকেও। যারা আল্লাহর চেহারা (দর্শন) কামনা করে, এটা তাদের জন্য উত্তম, আর তারাই সফলকাম।
وَمَآ اٰتَيْتُمْ مِّنْ رِّبًا لِّيَرْبُوَا۠ فِيْٓ اَمْوَالِ النَّاسِ فَلَا يَرْبُوْا عِنْدَ اللّٰهِ ۚوَمَآ اٰتَيْتُمْ مِّنْ زَكٰوةٍ تُرِيْدُوْنَ وَجْهَ اللّٰهِ فَاُولٰۤىِٕكَ هُمُ الْمُضْعِفُوْنَ ( الروم: ٣٩ )
মানুষের ধন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তোমরা যে সুদ দিয়ে থাক, আল্লাহর দৃষ্টিতে তা ধন বৃদ্ধি করে না। কিন্তু তোমরা আল্লাহর চেহারা (সন্তুষ্টি) লাভের উদ্দেশ্যে যে যাকাত দাও (তা বৃদ্ধি পায়), তারাই দ্বিগুণ প্রতিদান লাভ করে।
اَللّٰهُ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ ثُمَّ رَزَقَكُمْ ثُمَّ يُمِيْتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيْكُمْۗ هَلْ مِنْ شُرَكَاۤىِٕكُمْ مَّنْ يَّفْعَلُ مِنْ ذٰلِكُمْ مِّنْ شَيْءٍۗ سُبْحٰنَهٗ وَتَعٰلٰى عَمَّا يُشْرِكُوْنَ ࣖ ( الروم: ٤٠ )
আল্লাহ্ই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদেরকে রিযক দিয়েছেন, অতঃপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর তোমাদেরকে জীবিত করবেন। তোমরা যাদেরকে (আল্লাহর) অংশীদার মান্য কর তাদের মধ্যে কেউ আছে কি এ সবের কোন কিছু করতে পারে? তারা যাদেরকে অংশীদার গণ্য করে আল্লাহ তাদের থেকে পবিত্র, বহু ঊর্ধ্বে।