ذٰلِكَ بِاَنَّ اللّٰهَ مَوْلَى الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَاَنَّ الْكٰفِرِيْنَ لَا مَوْلٰى لَهُمْ ࣖ ( محمد: ١١ )
এর কারণ এই যে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ তাদের অভিভাবক আর কাফিরদের কোন অভিভাবক নেই।
اِنَّ اللّٰهَ يُدْخِلُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ ۗوَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا يَتَمَتَّعُوْنَ وَيَأْكُلُوْنَ كَمَا تَأْكُلُ الْاَنْعَامُ وَالنَّارُ مَثْوًى لَّهُمْ ( محمد: ١٢ )
যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে আল্লাহ তাদেরকে প্রবিষ্ট করবেন জান্নাতে যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। আর যারা কুফুরী করে তারা ভোগ বিলাসে মত্ত থাকে আর আহার করে যেভাবে আহার করে জন্তু জানোয়াররা। জাহান্নামই তাদের বাসস্থান।
وَكَاَيِّنْ مِّنْ قَرْيَةٍ هِيَ اَشَدُّ قُوَّةً مِّنْ قَرْيَتِكَ الَّتِيْٓ اَخْرَجَتْكَۚ اَهْلَكْنٰهُمْ فَلَا نَاصِرَ لَهُمْ ( محمد: ١٣ )
তোমার যে জনপদ থেকে তারা তোমাকে বের করে দিয়েছে তার অপেক্ষা শক্তিশালী কত জনপদকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি, অতঃপর কেউ ছিল না তাদের সাহায্যকারী।
اَفَمَنْ كَانَ عَلٰى بَيِّنَةٍ مِّنْ رَّبِّهٖ كَمَنْ زُيِّنَ لَهٗ سُوْۤءُ عَمَلِهٖ وَاتَّبَعُوْٓا اَهْوَاۤءَهُمْ ( محمد: ١٤ )
যে ব্যক্তি তার প্রতিপালক থেকে আগত সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত সে কি তার মত যার কাছে তার মন্দ কর্ম সুশোভিত করা হয়েছে আর তারা নিজেদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করে।
مَثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِيْ وُعِدَ الْمُتَّقُوْنَ ۗفِيْهَآ اَنْهٰرٌ مِّنْ مَّاۤءٍ غَيْرِ اٰسِنٍۚ وَاَنْهٰرٌ مِّنْ لَّبَنٍ لَّمْ يَتَغَيَّرْ طَعْمُهٗ ۚوَاَنْهٰرٌ مِّنْ خَمْرٍ لَّذَّةٍ لِّلشّٰرِبِيْنَ ەۚ وَاَنْهٰرٌ مِّنْ عَسَلٍ مُّصَفًّى ۗوَلَهُمْ فِيْهَا مِنْ كُلِّ الثَّمَرٰتِ وَمَغْفِرَةٌ مِّنْ رَّبِّهِمْ ۗ كَمَنْ هُوَ خَالِدٌ فِى النَّارِ وَسُقُوْا مَاۤءً حَمِيْمًا فَقَطَّعَ اَمْعَاۤءَهُمْ ( محمد: ١٥ )
মুত্তাক্বীদেরকে যে জান্নাতের ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তার উপমা হলঃ তাতে আছে নির্মল পানির ঝর্ণা, আর আছে দুধের নদী যার স্বাদ অপরিবর্তনীয়, আছে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু মদের নদী আর পরিশোধিত মধুর নদী। তাদের জন্য সেখানে আছে সব রকম ফলমূল আর তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে ক্ষমা। (এরা কি) তাদের মত যারা চিরকাল থাকবে জাহান্নামে যাদেরকে পান করতে দেয়া হবে গরম পানীয় যা তাদের নাড়িভুঁড়ি ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলবে?
وَمِنْهُمْ مَّنْ يَّسْتَمِعُ اِلَيْكَۚ حَتّٰىٓ اِذَا خَرَجُوْا مِنْ عِنْدِكَ قَالُوْا لِلَّذِيْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ مَاذَا قَالَ اٰنِفًا ۗ اُولٰۤىِٕكَ الَّذِيْنَ طَبَعَ اللّٰهُ عَلٰى قُلُوْبِهِمْ وَاتَّبَعُوْٓا اَهْوَاۤءَهُمْ ( محمد: ١٦ )
তাদের মধ্যে কতক লোক তোমার কথা শুনে, অতঃপর যখন তারা তোমার কাছ থেকে বেরিয়ে যায়, তখন যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদেরকে বলে- এই মাত্র সে কী বলল? এদের অন্তরে আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছেন আর তারা নিজেদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করে।
وَالَّذِيْنَ اهْتَدَوْا زَادَهُمْ هُدًى وَّاٰتٰىهُمْ تَقْوٰىهُمْ ( محمد: ١٧ )
যারা সঠিক পথে চলে আল্লাহ তাদের সৎপথ প্রাপ্তি বৃদ্ধি করে দেন আর তাদেরকে তাক্বওয়া দান করেন।
فَهَلْ يَنْظُرُوْنَ اِلَّا السَّاعَةَ اَنْ تَأْتِيَهُمْ بَغْتَةً ۚ فَقَدْ جَاۤءَ اَشْرَاطُهَا ۚ فَاَنّٰى لَهُمْ اِذَا جَاۤءَتْهُمْ ذِكْرٰىهُمْ ( محمد: ١٨ )
তারা কি শুধু এ অপেক্ষায় আছে যে, ক্বিয়ামত তাদের কাছে অকস্মাৎ এসে পড়ুক? ক্বিয়ামতের লক্ষণগুলো তো এসেই গেছে। কাজেই তা এসে পড়লে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে কেমন করে?
فَاعْلَمْ اَنَّهٗ لَآ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْۢبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنٰتِۚ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ مُتَقَلَّبَكُمْ وَمَثْوٰىكُمْ ࣖ ( محمد: ١٩ )
কাজেই জেনে রেখ, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, ক্ষমা প্রার্থনা কর তোমার ভুলত্রুটির জন্য আর মু’মিন ও মু’মিনাদের জন্য, আল্লাহ তোমাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্পর্কে অবগত।
وَيَقُوْلُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَوْلَا نُزِّلَتْ سُوْرَةٌ ۚفَاِذَآ اُنْزِلَتْ سُوْرَةٌ مُّحْكَمَةٌ وَّذُكِرَ فِيْهَا الْقِتَالُ ۙرَاَيْتَ الَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ يَّنْظُرُوْنَ اِلَيْكَ نَظَرَ الْمَغْشِيِّ عَلَيْهِ مِنَ الْمَوْتِۗ فَاَوْلٰى لَهُمْۚ ( محمد: ٢٠ )
মু’মিনরা বলে- একটি সূরাহ নাযিল হয় না কেন? অতঃপর যখন কোন সুস্পষ্ট অর্থবোধক সূরাহ অবতীর্ণ হয় আর তাতে যুদ্ধের কথা উল্লেখ থাকে, তখন যাদের অন্তরে রোগ আছে তুমি তাদেরকে দেখবে মৃত্যুর ভয়ে জ্ঞানহারা লোকের মত তোমার দিকে তাকাচ্ছে। কাজেই ধ্বংস তাদের জন্য।