وَلَوْ اَنَّ قُرْاٰنًا سُيِّرَتْ بِهِ الْجِبَالُ اَوْ قُطِّعَتْ بِهِ الْاَرْضُ اَوْ كُلِّمَ بِهِ الْمَوْتٰىۗ بَلْ لِّلّٰهِ الْاَمْرُ جَمِيْعًاۗ اَفَلَمْ يَا۟يْـَٔسِ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْٓا اَنْ لَّوْ يَشَاۤءُ اللّٰهُ لَهَدَى النَّاسَ جَمِيْعًاۗ وَلَا يَزَالُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا تُصِيْبُهُمْ بِمَا صَنَعُوْا قَارِعَةٌ اَوْ تَحُلُّ قَرِيْبًا مِّنْ دَارِهِمْ حَتّٰى يَأْتِيَ وَعْدُ اللّٰهِ ۗاِنَّ اللّٰهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيْعَادَ ࣖ ( الرعد: ٣١ )
কুরআন দিয়ে পর্বতকে যদি গতিশীল করা যেত, কিংবা যমীনকে দীর্ণ করা যেত কিংবা তা দিয়ে মৃত মানুষকে কথা বলানো যেত (তবুও তারা তাতে বিশ্বাস করত না)। (আলৌকিক কিছু করা মানুষের সাধ্যাতীত) বরং সমস্ত কিছুই আল্লাহর ক্ষমতাভুক্ত। যারা ঈমান এনেছে তারা কি জানে না যে, আল্লাহ ইচ্ছে করলে সকল মানুষকে সৎ পথে পরিচালিত করতে পারতেন। যারা কুফুরী করে তাদের কার্যকলাপের কারণে তাদের উপর কোন না কোন বিপদ আসতেই থাকে কিংবা তাদের ঘরের আশেপাশেই নাযিল হতে থাকে, যতক্ষণ না আল্লাহর ও‘য়াদা পূর্ণ হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ ওয়াদার ব্যতিক্রম করেন না।
وَلَقَدِ اسْتُهْزِئَ بِرُسُلٍ مِّنْ قَبْلِكَ فَاَمْلَيْتُ لِلَّذِيْنَ كَفَرُوْا ثُمَّ اَخَذْتُهُمْ فَكَيْفَ كَانَ عِقَابِ ( الرعد: ٣٢ )
তোমার আগেও বহু রসূলকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা হয়েছিল, তখন আমি কাফিরদেরকে (ইচ্ছেমত কাজ চালিয়ে যাওয়ার) অবকাশ দিয়েছিলাম, অবশেষে তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম। কেমন (ভয়াবহ) ছিল আমার শাস্তি!
اَفَمَنْ هُوَ قَاۤىِٕمٌ عَلٰى كُلِّ نَفْسٍۢ بِمَا كَسَبَتْۚ وَجَعَلُوْا لِلّٰهِ شُرَكَاۤءَ ۗ قُلْ سَمُّوْهُمْۗ اَمْ تُنَبِّـُٔوْنَهٗ بِمَا لَا يَعْلَمُ فِى الْاَرْضِ اَمْ بِظَاهِرٍ مِّنَ الْقَوْلِ ۗبَلْ زُيِّنَ لِلَّذِيْنَ كَفَرُوْا مَكْرُهُمْ وَصُدُّوْا عَنِ السَّبِيْلِ ۗوَمَنْ يُّضْلِلِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ هَادٍ ( الرعد: ٣٣ )
প্রত্যেক প্রাণীর উপার্জনের প্রতি যিনি দৃষ্টি রাখেন (তিনি কি তাদের অক্ষম ইলাহদের মত?) অথচ তারা আল্লাহর শরীক নির্দিষ্ট করে রেখেছে। বল, ‘তাদের নাম বল (যাদেরকে তোমরা আল্লাহর অংশীদার মনে কর), তোমরা কি পৃথিবীর এমন কোন সংবাদ তাঁকে দিতে চাও যা তিনি জানেন না। নাকি এগুলো কেবল কথার প্রদর্শনী? প্রকৃত ব্যাপার হল, কাফিরদের নিকট তাদের কলা কৌশলকে আকর্ষণীয় করে দেয়া হয়েছে আর তাদেরকে সৎ পথ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। আল্লাহ যাকে গুমরাহ করেন তাঁকে পথ দেখানোর কেউ নেই।
لَهُمْ عَذَابٌ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَلَعَذَابُ الْاٰخِرَةِ اَشَقُّۚ وَمَا لَهُمْ مِّنَ اللّٰهِ مِنْ وَّاقٍ ( الرعد: ٣٤ )
দুনিয়ার জীবনে তাদের জন্য আছে শাস্তি, আর আখেরাতের শাস্তি অবশ্যই আরো বেশি কঠিন। আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচানোর তাদের কেউ নেই।
۞ مَثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِيْ وُعِدَ الْمُتَّقُوْنَۗ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُۗ اُكُلُهَا دَاۤىِٕمٌ وَّظِلُّهَاۗ تِلْكَ عُقْبَى الَّذِيْنَ اتَّقَوْا ۖوَّعُقْبَى الْكٰفِرِيْنَ النَّارُ ( الرعد: ٣٥ )
মুত্তাকীদেরকে যে জান্নাতের ওয়া‘দা দেয়া হয়েছে তার দৃষ্টান্ত এই যে, তার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তার ফলফলাদি চিরস্থায়ী আর তার ছায়াও। যারা তাক্ওয়া অবলম্বন করে তাদের পরিণাম হবে এই। আর কাফিরদের পরিণতি হবে জাহান্নামের আগুন।
وَالَّذِيْنَ اٰتَيْنٰهُمُ الْكِتٰبَ يَفْرَحُوْنَ بِمَآ اُنْزِلَ اِلَيْكَ وَمِنَ الْاَحْزَابِ مَنْ يُّنْكِرُ بَعْضَهٗ ۗ قُلْ اِنَّمَآ اُمِرْتُ اَنْ اَعْبُدَ اللّٰهَ وَلَآ اُشْرِكَ بِهٖ ۗاِلَيْهِ اَدْعُوْا وَاِلَيْهِ مَاٰبِ ( الرعد: ٣٦ )
আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছিলাম তারা তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে উৎফুল্ল, কিন্তু কতক দল তার কোন কোন কথা মানে না। বল, ‘আমি আল্লাহর ‘ইবাদাত করার জন্য এবং তাঁর সাথে কোন কিছু শারীক না করার জন্য নির্দেশপ্রাপ্ত হয়েছি, আমি তাঁর দিকেই আহবান জানাই, আর আমার প্রত্যাবর্তন তাঁর দিকেই।
وَكَذٰلِكَ اَنْزَلْنٰهُ حُكْمًا عَرَبِيًّاۗ وَلَىِٕنِ اتَّبَعْتَ اَهْوَاۤءَهُمْ بَعْدَمَا جَاۤءَكَ مِنَ الْعِلْمِۙ مَا لَكَ مِنَ اللّٰهِ مِنْ وَّلِيٍّ وَّلَا وَاقٍ ࣖ ( الرعد: ٣٧ )
এভাবে আমি একে বিধানরূপে নাযিল করেছি আরবী ভাষায়। তোমার কাছে জ্ঞান আসার পরেও তুমি যদি তাদের খাহেশের অনুসরণ কর, তবে আল্লাহর মোকাবালায় তোমার কোন অভিভাবক থাকবে না, থাকবে না কোন রক্ষাকারী।
وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا رُسُلًا مِّنْ قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ اَزْوَاجًا وَّذُرِّيَّةً ۗوَمَا كَانَ لِرَسُوْلٍ اَنْ يَّأْتِيَ بِاٰيَةٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللّٰهِ ۗلِكُلِّ اَجَلٍ كِتَابٌ ( الرعد: ٣٨ )
আমি তোমার পূর্বেও রসূলগণকে পাঠিয়েছিলাম, আর তাদেরকে দিয়েছিলাম স্ত্রী ও সন্তানাদি, আল্লাহর হুকুম ব্যতীত নিদর্শন হাজির করার শক্তি কোন রসূলের নেই। যাবতীয় বিষয়ের নির্দিষ্ট সময় লিপিবদ্ধ আছে।
يَمْحُوا اللّٰهُ مَا يَشَاۤءُ وَيُثْبِتُ ۚوَعِنْدَهٗٓ اُمُّ الْكِتٰبِ ( الرعد: ٣٩ )
আল্লাহ যা ইচ্ছে করেন নিশ্চিহ্ন করে দেন আর যা ইচ্ছে প্রতিষ্ঠিত রাখেন, উম্মুল কিতাব তাঁর নিকটই রক্ষিত।
وَاِنْ مَّا نُرِيَنَّكَ بَعْضَ الَّذِيْ نَعِدُهُمْ اَوْ نَتَوَفَّيَنَّكَ فَاِنَّمَا عَلَيْكَ الْبَلٰغُ وَعَلَيْنَا الْحِسَابُ ( الرعد: ٤٠ )
আমি তাদেরকে যে শাস্তি দেয়ার ওয়া‘দা করেছি তার কিছু যদি তোমাকে দেখাই কিংবা (দেখানোর পূর্বেই) তোমার মৃত্যু ঘটাই, (উভয় অবস্থাতেই) তোমার দায়িত্ব হল প্রচার করে দেয়া, আর হিসেব নেয়ার কাজ হল আমার।