Skip to main content

فَهَزَمُوهُم
তারা অতঃপর পরাজিত করল তাদেরকে
بِإِذْنِ
অনুমতিক্রমে
ٱللَّهِ
আল্লাহর
وَقَتَلَ
এবং হত্যা করল
دَاوُۥدُ
দাঊদ
جَالُوتَ
জালুতকে
وَءَاتَىٰهُ
এবং তাকে দিয়ে দিয়েছিলেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
ٱلْمُلْكَ
রাজত্ব
وَٱلْحِكْمَةَ
ও প্রজ্ঞা
وَعَلَّمَهُۥ
ও তাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন
مِمَّا
তা থেকে (বিভিন্ন জিনিসের) যা
يَشَآءُۗ
তিনি চেয়েছেন
وَلَوْلَا
এবং যদি না
دَفْعُ
প্রতিহত (করা হত)
ٱللَّهِ
আল্লাহর (পক্ষ হতে)
ٱلنَّاسَ
মানুষের
بَعْضَهُم
তাদের কাউকে
بِبَعْضٍ
(অন্য) কাউকে দিয়ে
لَّفَسَدَتِ
(তাহলে) অবশ্যই বিপর্যস্ত হয়ে যেত
ٱلْأَرْضُ
পৃথিবী
وَلَٰكِنَّ
কিন্তু
ٱللَّهَ
আল্লাহ
ذُو
(অধিকারী)
فَضْلٍ
(অনুগ্রহের)
عَلَى
উপর
ٱلْعَٰلَمِينَ
বিশ্বজগতের

অতঃপর তারা আল্লাহর হুকুমে তাদেরকে (শত্রুদেরকে) পরাজিত করল এবং দাঊদ জ্বালুতকে কতল করল এবং আল্লাহ দাঊদকে রাজ্য ও হেকমত দান করলেন এবং তাকে শিক্ষা দিলেন যা ইচ্ছে। যদি আল্লাহ মানবজাতির একদলকে অন্যদল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তাহলে পৃথিবী বিপর্যস্ত হয়ে যেত, কিন্তু আল্লাহ সর্বজগতের প্রতি কৃপালু।

ব্যাখ্যা

تِلْكَ
এই
ءَايَٰتُ
নিদর্শনাদি
ٱللَّهِ
আল্লাহর
نَتْلُوهَا
তা তিলাওয়াত করছি আমরা
عَلَيْكَ
তোমার কাছে
بِٱلْحَقِّۚ
যথাযথভাবে
وَإِنَّكَ
এবং তুমি নিশ্চয়ই
لَمِنَ
অবশ্যই অর্ন্তভুক্ত
ٱلْمُرْسَلِينَ
রাসূলদের

এসব আল্লাহরই আয়াত, যা আমি সঠিকভাবে তোমাকে পড়িয়ে শুনাচ্ছি এবং নিশ্চয়ই তুমি রসূলদের অন্তর্ভুক্ত।

ব্যাখ্যা

تِلْكَ
এই
ٱلرُّسُلُ
রাসূলগণ
فَضَّلْنَا
আমরা মর্যাদা দিয়েছি
بَعْضَهُمْ
তাদের কাউকে
عَلَىٰ
উপর
بَعْضٍۘ
কারও
مِّنْهُم
তাদের মধ্যে হতে
مَّن
কারও (সাথে)
كَلَّمَ
বলেছেন কথা
ٱللَّهُۖ
আল্লাহ
وَرَفَعَ
এবং উন্নীত করেছেন
بَعْضَهُمْ
তাদের কাউকে
دَرَجَٰتٍۚ
(উচ্চ) মর্যাদায়
وَءَاتَيْنَا
এবং আমরা দিয়েছি
عِيسَى
ঈসাকে
ٱبْنَ
পুত্র
مَرْيَمَ
মারইয়ামের
ٱلْبَيِّنَٰتِ
সুষ্পষ্ট প্রমাণ সমূহ
وَأَيَّدْنَٰهُ
এবং তাকে সাহায্য করেছি আমরা
بِرُوحِ
আত্মা দিয়ে
ٱلْقُدُسِۗ
পবিত্র (অর্থাৎ জিবরাইল)
وَلَوْ
এবং যদি
شَآءَ
চাইতেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
مَا
না
ٱقْتَتَلَ
তারা পরস্পর যুদ্ধ করত
ٱلَّذِينَ
যারা (ছিল)
مِنۢ
থেকে
بَعْدِهِم
তাদের পরে
مِّنۢ
থেকেও
بَعْدِ
এরপর
مَا
যা
جَآءَتْهُمُ
তাদের কাছে এসেছিল
ٱلْبَيِّنَٰتُ
সুষ্পষ্ট নিদর্শনাদি
وَلَٰكِنِ
কিন্তু
ٱخْتَلَفُوا۟
মতবিরোধ করল তারা
فَمِنْهُم
তাদের পরে মধ্যথেকে
مَّنْ
কেউ
ءَامَنَ
ঈমান আনল
وَمِنْهُم
আবার তাদের মধ্যেথেকে
مَّن
কেউ
كَفَرَۚ
অস্বীকার করল
وَلَوْ
এবং যদি
شَآءَ
ইচ্ছা করতেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
مَا
না
ٱقْتَتَلُوا۟
তারা একে অপরে লড়ত
وَلَٰكِنَّ
কিন্তু
ٱللَّهَ
আল্লাহ
يَفْعَلُ
করেন
مَا
যা
يُرِيدُ
তিনি চান

এ রসূলগণ এরূপ যে, তাদের মধ্যে কাউকে অন্য কারও উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কেউ এমন আছে যে, তাদের সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন এবং তাদের কাউকে পদমর্যাদায় উচ্চ করেছেন। আমি মারইয়ামের পুত্র ঈসাকে সুস্পষ্ট দলীলসমূহ প্রদান করেছি, রূহুল কুদুস (জিবরাঈল) দ্বারা সাহায্য করেছি এবং আল্লাহ যদি ইচ্ছে করতেন, তাহলে তাদের পরবর্তীরা তাদের নিকট সুস্পষ্ট দলীল পৌঁছার পর পরস্পর যুদ্ধ বিগ্রহ করত না, কিন্তু তারা পরস্পর মতভেদ সৃষ্টি করল, তাদের কেউ কেউ ঈমান আনল এবং কেউ কেউ কুফরী করল, আল্লাহ যদি ইচ্ছে করতেন, তাহলে তারা যুদ্ধবিগ্রহ করত না, কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছে করেন, তা-ই করে থাকেন।

ব্যাখ্যা

يَٰٓأَيُّهَا
হে
ٱلَّذِينَ
যারা
ءَامَنُوٓا۟
ঈমান এনেছ
أَنفِقُوا۟
তোমরা ব্যয় করো
مِمَّا
তা থেকে যা
رَزَقْنَٰكُم
তোমাদের আমরা জীবিকা দিয়েছি
مِّن
থেকে
قَبْلِ
এর পূর্ব
أَن
যে
يَأْتِىَ
আসবে
يَوْمٌ
দিন
لَّا
না
بَيْعٌ
কেনাবেচা হবে
فِيهِ
তার মধ্যে
وَلَا
আর না
خُلَّةٌ
বন্ধুত্ব
وَلَا
আর না
شَفَٰعَةٌۗ
সুপারিশ (কাজে আসবে)
وَٱلْكَٰفِرُونَ
এবং কাফিররা
هُمُ
তারাই
ٱلظَّٰلِمُونَ
সীমালঙ্ঘনকারী

হে ঈমানদারগণ! আমার দেয়া জীবিকা থেকে খরচ কর সেদিন আসার পূর্বে যেদিন কোন বিক্রয়, বন্ধুত্ব এবং সুপারিশ কাজে আসবে না। বস্তুতঃ কাফিরগণই অত্যাচারী।

ব্যাখ্যা

ٱللَّهُ
আল্লাহ
لَآ
নেই
إِلَٰهَ
কোনো ইলাহ
إِلَّا
ছাড়া
هُوَ
তিনি
ٱلْحَىُّ
চিরঞ্জীব
ٱلْقَيُّومُۚ
সর্বসত্তার ধারক
لَا
না
تَأْخُذُهُۥ
তাকে স্পর্শ করতে পারে
سِنَةٌ
তন্দ্রা
وَلَا
আর না
نَوْمٌۚ
ঘুম
لَّهُۥ
তাঁরই জন্য
مَا
যা কিছু
فِى
মধ্যে (আছে)
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশ সমূহের
وَمَا
এবং যা কিছু
فِى
মধ্যে (আছে)
ٱلْأَرْضِۗ
পৃথিবীর
مَن
কে
ذَا
সে (এমন সম্পন্ন)
ٱلَّذِى
যে
يَشْفَعُ
সুপারিশ করবে
عِندَهُۥٓ
তাঁর কাছে
إِلَّا
ছাড়া
بِإِذْنِهِۦۚ
তাঁর অনুমতি
يَعْلَمُ
তিনি জানেন
مَا
যা (আছে)
بَيْنَ
(মাঝে)
أَيْدِيهِمْ
তাদের সামনে(হাতের)
وَمَا
এবং যা কিছু
خَلْفَهُمْۖ
তাদের পিছনে
وَلَا
এবং না
يُحِيطُونَ
তারা আয়ত্ত করতে পারে
بِشَىْءٍ
সামান্য কিছুও
مِّنْ
হতে
عِلْمِهِۦٓ
তাঁর জ্ঞান
إِلَّا
এছাড়া
بِمَا
যা সে বিষয়ে
شَآءَۚ
তিনি চান
وَسِعَ
পরিব্যাপ্ত করে আছে
كُرْسِيُّهُ
তাঁর (কর্তৃত্ব) আসন
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশ সমূহে
وَٱلْأَرْضَۖ
ও পৃথিবীতে
وَلَا
এবং না
يَـُٔودُهُۥ
তাঁকে ক্লান্ত করে
حِفْظُهُمَاۚ
এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ
وَهُوَ
এবং তিনি
ٱلْعَلِىُّ
সুউচ্চ (সত্তা)
ٱلْعَظِيمُ
সুমহান

আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সর্বদা রক্ষণাবেক্ষণকারী। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, তাঁরই। কে সেই ব্যক্তি যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করে? তিনি লোকদের সমুদয় প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অবস্থা জানেন। পক্ষান্তরে মানুষ তাঁর জ্ঞানের কোনকিছুই আয়ত্ত করতে সক্ষম নয়, তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছে করেন সেটুকু ছাড়া। তাঁর কুরসী আকাশ ও পৃথিবী পরিবেষ্টন করে আছে এবং এ দু’য়ের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না, তিনি উচ্চ মর্যাদাশীল, মহান।

ব্যাখ্যা

لَآ
নেই
إِكْرَاهَ
জবরদস্তি
فِى
মধ্যে
ٱلدِّينِۖ
দীনের
قَد
নিশ্চয়ই
تَّبَيَّنَ
স্পষ্ট হয়েছে
ٱلرُّشْدُ
সত্য পথ
مِنَ
হতে
ٱلْغَىِّۚ
ভ্রান্ত পথ
فَمَن
যে অতঃপর
يَكْفُرْ
অস্বীকার করবে
بِٱلطَّٰغُوتِ
তাগুতের (অসত্য দেবতার) প্রতি
وَيُؤْمِنۢ
ও ঈমান আনবে
بِٱللَّهِ
আল্লাহর উপর
فَقَدِ
তাহলে নিশ্চয়ই
ٱسْتَمْسَكَ
সে ধারণ করল
بِٱلْعُرْوَةِ
রাশি (বা হাতলকে)
ٱلْوُثْقَىٰ
সুদৃঢ় করে
لَا
না
ٱنفِصَامَ
ছিন্ন হওয়ার
لَهَاۗ
যা
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
سَمِيعٌ
সব শুনেন
عَلِيمٌ
সব জানেন

দীনের মধ্যে জবরদস্তির অবকাশ নেই, নিশ্চয় হিদায়াত গোমরাহী হতে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। কাজেই যে ব্যক্তি মিথ্যে মা’বুদদেরকে (তাগুতকে) অমান্য করল এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনল, নিশ্চয়ই সে দৃঢ়তর রজ্জু ধারণ করল যা ছিন্ন হওয়ার নয়। আল্লাহ সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞাতা।

ব্যাখ্যা

ٱللَّهُ
আল্লাহ
وَلِىُّ
অভিভাবক
ٱلَّذِينَ
(তাদের) যারা
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
يُخْرِجُهُم
তিনি তাদের বের করে আনেন
مِّنَ
হতে
ٱلظُّلُمَٰتِ
অন্ধকারগুলো
إِلَى
দিকে
ٱلنُّورِۖ
আলোর
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
كَفَرُوٓا۟
অস্বীকার করেছে
أَوْلِيَآؤُهُمُ
তাদের অভিভাবক
ٱلطَّٰغُوتُ
তাগুত (অসত্য দেবতা)
يُخْرِجُونَهُم
তাদেরকে তারা বের করে নিয়ে যায়
مِّنَ
থেকে
ٱلنُّورِ
আলো
إِلَى
দিকে
ٱلظُّلُمَٰتِۗ
অন্ধকারগুলোর
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐ সব লোক
أَصْحَٰبُ
অধিবাসী
ٱلنَّارِۖ
(জাহান্নামের) আগুনের
هُمْ
তারা
فِيهَا
তার মধ্যে
خَٰلِدُونَ
চিরস্থায়ী হবে

আল্লাহ মু’মিনদের অভিভাবক, তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন এবং কাফিরদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত, সে তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই আগুনের বাসিন্দা, এরা চিরকাল সেখানে থাকবে।

ব্যাখ্যা

أَلَمْ
নি কি
تَرَ
তুমি দেখ
إِلَى
প্রতি
ٱلَّذِى
(তার) যে
حَآجَّ
বিতর্ক করেছিল
إِبْرَٰهِۦمَ
ইবরাহীমের (সাথে)
فِى
সম্বন্ধে
رَبِّهِۦٓ
তার রব
أَنْ
(এজন্য) যে
ءَاتَىٰهُ
তাকে দিয়ে ছিলেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
ٱلْمُلْكَ
রাজত্ব
إِذْ
যখন
قَالَ
বলেছিল
إِبْرَٰهِۦمُ
ইবরাহীম
رَبِّىَ
আমার রব (হচ্ছেন)
ٱلَّذِى
(ঐ সত্তা) যিনি
يُحْىِۦ
জীবিত করেন
وَيُمِيتُ
এবং মৃত্যু ঘটান
قَالَ
সে বলল
أَنَا۠
আমি
أُحْىِۦ
জীবন দান করি
وَأُمِيتُۖ
ও মৃত্যু ঘটাই
قَالَ
বলল
إِبْرَٰهِۦمُ
ইবরাহীম
فَإِنَّ
নিশ্চয়ই তবে
ٱللَّهَ
আল্লাহ
يَأْتِى
আনেন
بِٱلشَّمْسِ
সূর্যকে নিয়ে
مِنَ
হতে
ٱلْمَشْرِقِ
পূর্বদিক
فَأْتِ
তুমি তাহলে আনো
بِهَا
তাকে নিয়ে
مِنَ
হতে
ٱلْمَغْرِبِ
পশ্চিমদিক
فَبُهِتَ
হতবুদ্ধি হয়ে তখন গেল
ٱلَّذِى
যে
كَفَرَۗ
অস্বীকার করেছিল
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
لَا
না
يَهْدِى
সঠিক পথ দেখান
ٱلْقَوْمَ
সম্প্রদায়কে
ٱلظَّٰلِمِينَ
সীমালঙ্ঘনকারী

তুমি কি সেই ব্যক্তির ঘটনা সম্পর্কে চিন্তা কর নি, যে ইবরাহীমের সঙ্গে তার প্রতিপালক সম্বন্ধে তর্ক করেছিল, যেহেতু আল্লাহ তাকে রাজত্ব দান করেছিলেন। ইবরাহীম তাকে যখন বলল, ‘আমার প্রতিপালক তিনিই, যিনি জীবিত করেন এবং মৃত্যু ঘটান’। সে বলল, ‘আমিও জীবিত করি এবং মৃত্যু ঘটাই’। ইবরাহীম বলল, ‘আল্লাহ সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করেন, তুমি তাকে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর’। তখন সেই কাফিরটি হতভম্ব হয়ে গেল। বস্তুতঃ আল্লাহ যালিমদেরকে সুপথ দেখান না।

ব্যাখ্যা

أَوْ
অথবা
كَٱلَّذِى
যে দৃষ্টান্ত (ঐলোকের)
مَرَّ
অতিক্রম করছিল
عَلَىٰ
উপর দিয়ে
قَرْيَةٍ
এক নগরের
وَهِىَ
এমনঅবস্থায় যে তা (ছিল)
خَاوِيَةٌ
ধ্বংসস্তুপ হয়েছিল
عَلَىٰ
উপর
عُرُوشِهَا
তার ছাদগুলোর
قَالَ
সে বলল
أَنَّىٰ
কিরূপে
يُحْىِۦ
জীবিত করবেন
هَٰذِهِ
এটাকে
ٱللَّهُ
আল্লাহ
بَعْدَ
পর
مَوْتِهَاۖ
তার (মৃত্যুর)
فَأَمَاتَهُ
তাকে তখন মৃত্যু দিলেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
مِا۟ئَةَ
একশত
عَامٍ
বছর (পর্যন্ত)
ثُمَّ
এরপর
بَعَثَهُۥۖ
তাকে পুনরুজ্জীবিত করলেন
قَالَ
(তাকে) বললেন
كَمْ
কতকাল
لَبِثْتَۖ
তুমি অবস্থান করেছ
قَالَ
সে বলল
لَبِثْتُ
অবস্থান করেছি আমি
يَوْمًا
একদিন
أَوْ
কিংবা
بَعْضَ
কিছু অংশ
يَوْمٍۖ
দিনের
قَالَ
তিনি বললেন
بَل
বরং
لَّبِثْتَ
তুমি অবস্থান করেছ
مِا۟ئَةَ
একশত
عَامٍ
বছর
فَٱنظُرْ
অতঃপর লক্ষ করো
إِلَىٰ
দিকে
طَعَامِكَ
তোমার খাদ্যের
وَشَرَابِكَ
ও তোমার পানীয়ের (দিকে)
لَمْ
নি
يَتَسَنَّهْۖ
বিকৃত হয়
وَٱنظُرْ
এবং লক্ষ করো তুমি
إِلَىٰ
প্রতি
حِمَارِكَ
তোমার গাধার
وَلِنَجْعَلَكَ
এবং তোমাকে আমরা বানাতে পারি
ءَايَةً
নিদর্শন
لِّلنَّاسِۖ
মানুষের জন্য
وَٱنظُرْ
ও তুমি দেখো
إِلَى
প্রতি
ٱلْعِظَامِ
হাড়গুলোর
كَيْفَ
কীভাবে
نُنشِزُهَا
আমরা তা সংযোজিত করি
ثُمَّ
এরপর
نَكْسُوهَا
তা ঢেকে দিই আমরা
لَحْمًاۚ
গোশত (দিয়ে)
فَلَمَّا
অতঃপর যখন
تَبَيَّنَ
প্রকাশ পেল
لَهُۥ
তার নিকটে
قَالَ
সে বলল
أَعْلَمُ
আমি জানি
أَنَّ
যে
ٱللَّهَ
আল্লাহ
عَلَىٰ
ওপর
كُلِّ
সব
شَىْءٍ
কিছুরই
قَدِيرٌ
সর্বশক্তিমান

কিংবা এমন ব্যক্তির ঘটনা সম্পর্কে (তুমি কি চিন্তা করনি) যে এক নগর দিয়ে এমন অবস্থায় যাচ্ছিল যে তা উজাড় অবস্থায় ছিল। সে বলল, ‘আল্লাহ এ নগরীকে এর মৃত্যুর পরে কীভাবে জীবিত করবেন’? তখন আল্লাহ তাকে একশ’ বছর মৃত রাখলেন। তারপর তাকে জীবিত করে তুললেন ও জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি এ অবস্থায় কতকাল ছিলে’? সে বলল, ‘একদিন ছিলাম কিংবা একদিন হতেও কম’। আল্লাহ বললেন, ‘বরং তুমি একশ’ বছর ছিলে, এক্ষণে তুমি তোমার খাদ্যের ও পানীয়ের দিকে লক্ষ্য কর, এটা পচে যায়নি। আর গাধাটার দিকে তাকিয়ে দেখ, আর এতে উদ্দেশ্য এই যে, আমি তোমাকে মানুষের জন্য উদাহরণ করব। আবার তুমি হাড়গুলোর দিকে লক্ষ্য কর, আমি কীভাবে ওগুলো জোড়া লাগিয়ে দেই, তারপর গোশত দ্বারা ঢেকে দেই। এরপর যখন তার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল, তখন সে বলল, ‘এখন আমি পূর্ণ বিশ্বাস করছি যে, আল্লাহ্ই সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান’।

ব্যাখ্যা

وَإِذْ
এবং যখন
قَالَ
বলল
إِبْرَٰهِۦمُ
ইবরাহীম
رَبِّ
হে আমার রব
أَرِنِى
দেখাও আমাকে
كَيْفَ
কীভাবে
تُحْىِ
তুমি জীবিত কর
ٱلْمَوْتَىٰۖ
মৃতদেরকে
قَالَ
তিনি বললেন
أَوَلَمْ
না কি
تُؤْمِنۖ
তুমি বিশ্বাস কর
قَالَ
সে বলল
بَلَىٰ
হ্যাঁ অবশ্যই
وَلَٰكِن
কিন্তু
لِّيَطْمَئِنَّ
প্রশান্ত লাভ করে
قَلْبِىۖ
আমার অন্তর
قَالَ
তিনি বললেন
فَخُذْ
তুমি তাহলে ধরো
أَرْبَعَةً
চারটি
مِّنَ
থেকে
ٱلطَّيْرِ
পাখি
فَصُرْهُنَّ
তাদেরকে এরপর পোষ মানাও
إِلَيْكَ
তোমার প্রতি
ثُمَّ
এরপর
ٱجْعَلْ
রেখে দাও
عَلَىٰ
উপর
كُلِّ
প্রত্যেক
جَبَلٍ
পাহাড়ের
مِّنْهُنَّ
তাদের থেকে
جُزْءًا
(কর্তিত এক এক) অংশ
ثُمَّ
এরপর
ٱدْعُهُنَّ
তাদেরকে ডাকো
يَأْتِينَكَ
তোমার কাছে আসবে
سَعْيًاۚ
দৌড়ে
وَٱعْلَمْ
এবং তুমি জেনে রাখো
أَنَّ
যে
ٱللَّهَ
আল্লাহ
عَزِيزٌ
পরাক্রমশালী
حَكِيمٌ
মহাবিজ্ঞ

যখন ইবরাহীম বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি মৃতকে কীরূপে জীবিত করবে আমাকে দেখাও’। আল্লাহ বললেন, ‘তুমি কি বিশ্বাস কর না’? সে আরয করল, ‘নিশ্চয়ই, তবে যাতে আমার অন্তঃকরণ স্বস্তি লাভ করে (এজন্য তা দেখতে চাই)’। আল্লাহ বললেন, তাহলে চারটি পাখী নাও এবং তাদেরকে বশীভূত কর। তারপর ওদের এক এক টুকরো প্রত্যেক পাহাড়ের উপর রেখে দাও, অতঃপর সেগুলোকে ডাক দাও, তোমার নিকট দৌড়ে আসবে। জেনে রেখ যে, নিশ্চয় আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

ব্যাখ্যা