اِنَّآ اَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ صَيْحَةً وَّاحِدَةً فَكَانُوْا كَهَشِيْمِ الْمُحْتَظِرِ ( القمر: ٣١ )
আমি তাদের উপর পাঠিয়েছিলাম একটি মাত্র প্রচন্ড ধ্বনি। ফলে তারা খোঁয়াড়ওয়ালাদের (নির্মিত) ভেঙ্গে চুরে যাওয়া শুকনা ডালপালার মত গুঁড়িয়ে গেল।
وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْاٰنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُّدَّكِرٍ ( القمر: ٣٢ )
আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, উপদেশ গ্রহণের কেউ আছে কি?
كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوْطٍ ۢبِالنُّذُرِ ( القمر: ٣٣ )
লূতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল,
اِنَّآ اَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ حَاصِبًا اِلَّآ اٰلَ لُوْطٍ ۗنَجَّيْنٰهُمْ بِسَحَرٍۙ ( القمر: ٣٤ )
আমি তাদের উপর পাঠিয়েছিলাম প্রস্তরবর্ষী প্রচন্ড বাতাস, (যা তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিল) লূতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদেরকে রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম।
نِّعْمَةً مِّنْ عِنْدِنَاۗ كَذٰلِكَ نَجْزِيْ مَنْ شَكَرَ ( القمر: ٣٥ )
আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দেই যে কৃতজ্ঞ হয়।
وَلَقَدْ اَنْذَرَهُمْ بَطْشَتَنَا فَتَمَارَوْا بِالنُّذُرِ ( القمر: ٣٦ )
লূত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাক বিতন্ডা করেছিল।
وَلَقَدْ رَاوَدُوْهُ عَنْ ضَيْفِهٖ فَطَمَسْنَآ اَعْيُنَهُمْ فَذُوْقُوْا عَذَابِيْ وَنُذُرِ ( القمر: ٣٧ )
তারা লূতকে তার মেহমানদের রক্ষণাবেক্ষণ থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম ‘আমার ‘আযাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ কর।’
وَلَقَدْ صَبَّحَهُمْ بُكْرَةً عَذَابٌ مُّسْتَقِرٌّۚ ( القمر: ٣٨ )
অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করল।
فَذُوْقُوْا عَذَابِيْ وَنُذُرِ ( القمر: ٣٩ )
তখন আমি বললাম- ‘আমার শাস্তি ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ কর।
وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْاٰنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُّدَّكِرٍ ࣖ ( القمر: ٤٠ )
আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য। উপদেশ গ্রহণের কেউ আছে কি?