(ইবরাহীমের) স্ত্রী দাঁড়িয়েছিল, সে হেসে ফেলল। তখন আমি তাকে ইসহাকের আর ইসহাকের পর ইয়া‘কূবের সুসংবাদ দিলাম।
সে বলল, ‘হায় আমার কপাল! সন্তান হবে আমার, আমি তো অতি বুড়ি আর আমার এই স্বামীও বৃদ্ধ, এতো এক আশ্চর্য ব্যাপার।’
তারা বলল, ‘আল্লাহর কাজে তুমি আশ্চর্য হচ্ছ, ওহে (ইবরাহীমের) পরিবারবর্গ! তোমাদের উপর রয়েছে আল্লাহর দয়া ও বরকতসমূহ, তিনি বড়ই প্রশংসিত, বড়ই মহান।’
পরে যখন ইবরাহীমের আতঙ্ক দূর হল, আর তার কাছে সুসংবাদ আসল, তখন সে লূত জাতির ব্যাপারে আমার সাথে ঝগড়া করল।
অবশ্যই ইবরাহীম ছিল বড়ই সহিষ্ণু, কোমল হৃদয় আর আল্লাহমুখী।
‘হে ইবরাহীম! এথেকে তুমি নিবৃত্ত হও, তোমার প্রতিপালকের নির্দেশ এসে গেছে, তাদের প্রতি শাস্তি আসবেই যা রদ হবার নয়।
আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লূতের কাছে আসলো, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদেরকে রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল, আর বলল, ‘আজ বড়ই বিপদের দিন।
তার কওমের লোকেরা হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে আসলো, আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! এই আমার (নিজের বা জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে কর), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত করো না, তোমাদের মধ্যে কি ভাল মানুষ একটিও নেই?’
তারা বলল, ‘তোমার তো জানাই আছে যে, তোমার (নিজের বা জাতির) কন্যাদের আমাদের কোন দরকার নেই, আমরা কী চাই তাতো তুমি অবশ্যই জান।’
সে বলল, ‘তোমাদেরকে দমন করার ক্ষমতা আমার যদি থাকত! অথবা কোন মজবুত আশ্রয়ে যদি আশ্রয় নিতে পারতাম!’