তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যাকে জাহান্নাম অতিক্রম করতে হবে না, এটা তোমার প্রতিপালকের অনিবার্য ফয়সালা।
অতঃপর মুত্তাকীদেরকে আমি রক্ষা করব আর যালিমদেরকে তার মধ্যে নতজানু অবস্থায় রেখে দেব।
আমার স্পষ্ট আয়াত যখন তাদের নিকট আবৃত্তি করা হয় তখন কাফিররা মু’মিনদেরকে বলে, ‘দু’টি দলের মধ্যে মর্যাদায় কোনটি শ্রেষ্ঠ আর মজলিস হিসেবে অধিক উত্তম?’
আমি তাদের পূর্বে বহু মানব বংশকে ধ্বংস করেছি যারা উপায় উপকরণে আর বাইরের চাকচিক্যে তাদের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ছিল।
বল, যারা গুমরাহীতে পড়ে আছে, দয়াময় তাদের জন্য (রশি) ঢিল দিয়ে দেন, যে পর্যন্ত না তারা দেখতে পাবে যার ওয়া‘দা তাদেরকে দেয়া হচ্ছে- তা শাস্তিই হোক কিংবা ক্বিয়ামতই হোক।’ তখন তারা জানতে পারবে মর্যাদায় কে নিকৃষ্ট আর জনবলে দুর্বল।
যারা সৎপথ সন্ধান করে আল্লাহ তাদেরকে অধিক হিদায়াত দান করেন। আর স্থায়ী সৎকর্মসমূহ তোমার পালনকর্তার নিকট সাওয়াবের দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ আর প্রতিদান হিসেবেও শ্রেষ্ঠ।
তুমি কি লক্ষ্য করেছ সে ব্যক্তিকে যে আমার নিদর্শনসমূহকে প্রত্যাখ্যান করেছে আর সে বলে, ‘আমাকে অবশ্য অবশ্যই সম্পদ আর সন্তানাদি দেয়া হবে।’
সে কি অদৃশ্য বিষয় জেনে ফেলেছে, নাকি দয়াময়ের নিকট থেকে প্রতিশ্রুতি লাভ করেছে?
কক্ষনো না, তারা যা বলে আমি তা লিখে রাখব আর আমি তার শাস্তি বাড়াতেই থাকব, বাড়াতেই থাকব।
সে যে বিষয়ের কথা বলে (তার সম্পদ-সরঞ্জাম ও জনবলের গর্ব করে) তা থাকবে আমার অধিকারে আর সে আমার কাছে আসবে নিঃসঙ্গ, একাকী।