تَبٰرَكَ الَّذِيْ نَزَّلَ الْفُرْقَانَ عَلٰى عَبْدِهٖ لِيَكُوْنَ لِلْعٰلَمِيْنَ نَذِيْرًا ۙ ( الفرقان: ١ )
মহা কল্যাণময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাহর উপর সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী (কিতাব) নাযিল করেছেন যাতে সে বিশ্বজগতের জন্য সতর্ককারী হতে পারে।
ۨالَّذِيْ لَهٗ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَلَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَّلَمْ يَكُنْ لَّهٗ شَرِيْكٌ فِى الْمُلْكِ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْءٍ فَقَدَّرَهٗ تَقْدِيْرًا ( الفرقان: ٢ )
যিনি যমীন ও আসমানের রাজত্বের মালিক, তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, রাজত্বে তাঁর কোন অংশীদার নেই, তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন, আর সেগুলোকে যথাযথ করেছেন পরিমিত অনুপাতে।
وَاتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖٓ اٰلِهَةً لَّا يَخْلُقُوْنَ شَيْـًٔا وَّهُمْ يُخْلَقُوْنَ وَلَا يَمْلِكُوْنَ لِاَنْفُسِهِمْ ضَرًّا وَّلَا نَفْعًا وَّلَا يَمْلِكُوْنَ مَوْتًا وَّلَا حَيٰوةً وَّلَا نُشُوْرًا ( الفرقان: ٣ )
আর তারা তাঁকে বাদ দিয়ে ইলাহরূপে গ্রহণ করেছে অন্য কিছুকে যারা কিছুই সৃষ্টি করে না, বরং তারা নিজেরাই সৃষ্টি হয়েছে। তারা ক্ষমতা রাখে না নিজেদের ক্ষতি বা উপকার করার আর ক্ষমতা রাখে না মৃত্যু, জীবন ও পুনরুত্থানের উপর।
وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْٓا اِنْ هٰذَآ اِلَّآ اِفْكُ ِۨافْتَرٰىهُ وَاَعَانَهٗ عَلَيْهِ قَوْمٌ اٰخَرُوْنَۚ فَقَدْ جَاۤءُوْ ظُلْمًا وَّزُوْرًا ۚ ( الفرقان: ٤ )
কাফিররা বলে- ‘এটা মিথ্যে ছাড়া আর কিছুই নয়, সে তা (অর্থাৎ কুরআন) উদ্ভাবণ করেছে এবং ভিন্ন জাতির লোক এ ব্যাপারে তাকে সাহায্য করেছে।’ আসলে তারা অন্যায় ও মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছে।
وَقَالُوْٓا اَسَاطِيْرُ الْاَوَّلِيْنَ اكْتَتَبَهَا فَهِيَ تُمْلٰى عَلَيْهِ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا ( الفرقان: ٥ )
তারা বলে- ‘এগুলো পূর্ব যুগের কাহিনী যা সে [অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সা.)] লিখিয়ে নিয়েছে আর এগুলোই তার কাছে সকাল-সন্ধ্যা শোনানো হয়।’
قُلْ اَنْزَلَهُ الَّذِيْ يَعْلَمُ السِّرَّ فِى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ اِنَّهٗ كَانَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا ( الفرقان: ٦ )
বল ; ‘তা তিনিই নাযিল করেছেন যিনি আসমান-যমীনের যাবতীয় গোপন বিষয় অবগত আছেন। তিনি বড়ই ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
وَقَالُوْا مَالِ هٰذَا الرَّسُوْلِ يَأْكُلُ الطَّعَامَ وَيَمْشِيْ فِى الْاَسْوَاقِۗ لَوْلَآ اُنْزِلَ اِلَيْهِ مَلَكٌ فَيَكُوْنَ مَعَهٗ نَذِيْرًا ۙ ( الفرقان: ٧ )
তারা বলে- ‘এ কেমন রসূল যে খাবার খায়, আর হাট-বাজারে চলাফেরা করে? তার কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় না কেন যে তার সঙ্গে থাকত সতর্ককারী হয়ে?
اَوْ يُلْقٰىٓ اِلَيْهِ كَنْزٌ اَوْ تَكُوْنُ لَهٗ جَنَّةٌ يَّأْكُلُ مِنْهَاۗ وَقَالَ الظّٰلِمُوْنَ اِنْ تَتَّبِعُوْنَ اِلَّا رَجُلًا مَّسْحُوْرًا ( الفرقان: ٨ )
কিংবা তাকে ধন-ভান্ডার দেয়া হয় না কেন, অথবা তার জন্য একটা বাগান হয় না কেন যাত্থেকে সে আহার করত?’ যালিমরা বলে- ‘তোমরা তো এক যাদুগ্রস্ত লোকেরই অনুসরণ করছ।’
اُنْظُرْ كَيْفَ ضَرَبُوْا لَكَ الْاَمْثَالَ فَضَلُّوْا فَلَا يَسْتَطِيْعُوْنَ سَبِيْلًا ࣖ ( الفرقان: ٩ )
দেখ, তারা তোমার ব্যাপারে কেমন সব উপমা পেশ করছে! যার ফলে তারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে, অতএব তারা কোন ক্রমেই পথ পাবে না।
تَبٰرَكَ الَّذِيْٓ اِنْ شَاۤءَ جَعَلَ لَكَ خَيْرًا مِّنْ ذٰلِكَ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُۙ وَيَجْعَلْ لَّكَ قُصُوْرًا ( الفرقان: ١٠ )
মহা কল্যাণময় তিনি যিনি ইচ্ছে করলে তোমাকে ওগুলোর চেয়েও উৎকৃষ্ট জিনিস দিতে পারেন- বাগ-বাগিচা, যার নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে নির্ঝরিণী, দিতে পারেন তিনি তোমাকে প্রাসাদরাজি।
| القرآن الكريم: | الفرقان |
|---|---|
| আধিপত্য একটি আয়াত (سجدة): | 60 |
| সূরা নাম (latin): | Al-Furqan |
| সূরা না: | 25 |
| আয়াত: | 77 |
| মোট শব্দ: | 892 |
| মোট অক্ষর: | 3730 |
| রুকু সংখ্যা: | 6 |
| অবতীর্ণ: | মক্কা |
| উদ্ঘাটন আদেশ: | 42 |
| শ্লোক থেকে শুরু: | 2855 |