তুমি কি দেখ না আল্লাহ আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ করেন আর তা ঝর্ণা ধারায় যমীনে প্রবাহিত করেন, অতঃপর তা দিয়ে বিচিত্র রঙের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, তখন তোমরা তা হলুদ বর্ণ দেখ, শেষ পর্যন্ত তিনি ওগুলোকে খড়-ভুষিতে পরিণত করেন। এতে জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেদের জন্য অবশ্যই নসীহত আছে।
ইসলামের জন্য আল্লাহ যার বক্ষ উন্মোচিত করে দিয়েছেন, যার ফলে সে তার প্রতিপালকের দেয়া আলোর উপর রয়েছে (সে কি তার সমান যে কঠোর হৃদয়ের)? ধ্বংস তাদের জন্য যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরণের ব্যাপারে আরো শক্ত হয়ে গেছে। তারা আছে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে।
আল্লাহ সর্বোত্তম বাণী অবতীর্ণ করেছেন- এমন কিতাব যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার বিষয়াবলী পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাদের গা এতে শিউরে উঠে। তখন তাদের দেহ-মন আল্লাহর স্মরণের প্রতি বিনম্র হয়ে যায়। এ হল আল্লাহর হিদায়াত, যাকে ইচ্ছে তদ্দ্বারা হিদায়াত করেন। আর আল্লাহ যাকে পথহারা করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।
ক্বিয়ামতের দিন যে ব্যক্তি তার (হাত পা বাঁধা থাকার কারণে) মুখমন্ডলের সাহায্যে ভয়ানক ‘আযাবের আঘাত ঠেকাতে চাইবে (সে কি তার মত যে এসব থেকে নিরাপদ)? যালিমদেরকে বলা হবে- তোমরা যা অর্জন করেছ তার স্বাদ গ্রহণ কর।
তাদের পূর্ববর্তীরাও (নুবুওয়াতকে) অস্বীকার করেছিল। অতঃপর তাদের কাছে এমন দিক থেকে ‘আযাব এসেছিল যা তারা একটু টেরও পায়নি।
কাজেই আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ার জিন্দেগিতেই লাঞ্ছনার স্বাদ ভোগ করালেন। আর অবশ্যই আখিরাতের শাস্তি সবচেয়ে কঠিন। তারা যদি জানত!
আমি এ কুরআনে মানুষের জন্য সব রকমের দৃষ্টান্ত ও উপমা উপস্থিত করেছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
আরবী ভাষায় (অবতীর্ণ) কুরআন, এতে নেই কোন বক্রতা (পেচানো কথা), যাতে তারা (অন্যায় অপকর্ম হতে) বেঁচে চলতে পারে।
আল্লাহ একটা দৃষ্টান্ত দিচ্ছেনঃ এক ব্যক্তি যার মুনিব অনেক- যারা পরস্পরের বিরোধী। আরেক ব্যক্তি যার সম্পূর্ণ মালিকানা একজনের (উপর ন্যস্ত), তুলনায় এ দু’জন কি সমান? যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহরই (যে তিনি আমাদেরকে নানান দেবদেবীর কবল থেকে রক্ষা ক’রে একমাত্র তাঁরই সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন), কিন্তু মানুষদের অধিকাংশ (এ আসল সত্যটা) জানে না।
তুমিও মরবে আর তারাও মরবে।