وَاِنَّهٗ لَعِلْمٌ لِّلسَّاعَةِ فَلَا تَمْتَرُنَّ بِهَا وَاتَّبِعُوْنِۗ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيْمٌ ( الزخرف: ٦١ )
‘ঈসা (’র দুনিয়াতে পুনরায় আগমন) ক্বিয়ামতের একটি নিশ্চিত নিদর্শন। অতএব তোমরা ক্বিয়ামতে সন্দেহ পোষণ করো না আর আমার অনুসরণ কর, এটাই সরল সঠিক পথ।
وَلَا يَصُدَّنَّكُمُ الشَّيْطٰنُۚ اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ ( الزخرف: ٦٢ )
শয়ত্বান তোমাদেরকে (সৎ পথে চলতে) কিছুতেই যেন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সে তোমাদের খোলাখুলি দুশমন।
وَلَمَّا جَاۤءَ عِيْسٰى بِالْبَيِّنٰتِ قَالَ قَدْ جِئْتُكُمْ بِالْحِكْمَةِ وَلِاُبَيِّنَ لَكُمْ بَعْضَ الَّذِيْ تَخْتَلِفُوْنَ فِيْهِۚ فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَاَطِيْعُوْنِ ( الزخرف: ٦٣ )
‘ঈসা যখন স্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিল তখন সে বলেছিল- আমি তোমাদের কাছে হিকমত নিয়ে এসেছি আর এসেছি কতকগুলো বিষয় স্পষ্ট করার জন্য যাতে তোমরা মতভেদ করছ। কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আর আমার কথা মান্য কর।
اِنَّ اللّٰهَ هُوَ رَبِّيْ وَرَبُّكُمْ فَاعْبُدُوْهُۗ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيْمٌ ( الزخرف: ٦٤ )
আল্লাহ তিনি তো আমারও রব্ব আর তোমাদেরও রব্ব, কাজেই তোমরা তাঁরই ‘ইবাদাত কর, এটাই সরল সঠিক পথ।
فَاخْتَلَفَ الْاَحْزَابُ مِنْۢ بَيْنِهِمْ ۚفَوَيْلٌ لِّلَّذِيْنَ ظَلَمُوْا مِنْ عَذَابِ يَوْمٍ اَلِيْمٍ ( الزخرف: ٦٥ )
অতঃপর তাদের বিভিন্ন দল নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য করল। কাজেই যালিমদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক দিনের ‘আযাবের দুর্ভোগ।
هَلْ يَنْظُرُوْنَ اِلَّا السَّاعَةَ اَنْ تَأْتِيَهُمْ بَغْتَةً وَّهُمْ لَا يَشْعُرُوْنَ ( الزخرف: ٦٦ )
তারা কি তাদের উপর ক্বিয়ামত অকস্মাৎ এসে পড়ার অপেক্ষা করছে যা তারা টেরও পাবে না।
اَلْاَخِلَّاۤءُ يَوْمَىِٕذٍۢ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ اِلَّا الْمُتَّقِيْنَ ۗ ࣖ ( الزخرف: ٦٧ )
বন্ধুরা সেদিন হয়ে যাবে একজন আরেকজনের দুশমন, তবে মুত্তাকীরা ছাড়া।
يٰعِبَادِ لَاخَوْفٌ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ وَلَآ اَنْتُمْ تَحْزَنُوْنَۚ ( الزخرف: ٦٨ )
(মুত্তাকীদেরকে বলা হবে) হে আমার বান্দাগণ! আজ তোমাদের কোন ভয় নেই আর তোমরা দুঃখিতও হবে না-
اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِاٰيٰتِنَا وَكَانُوْا مُسْلِمِيْنَۚ ( الزخرف: ٦٩ )
তোমরা যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করেছিলে এবং অনুগত ছিলে।
اُدْخُلُوا الْجَنَّةَ اَنْتُمْ وَاَزْوَاجُكُمْ تُحْبَرُوْنَ ( الزخرف: ٧٠ )
সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর তোমরা আর তোমাদের স্ত্রীরা।