وَفِيْٓ اَنْفُسِكُمْ ۗ اَفَلَا تُبْصِرُوْنَ ( الذاريات: ٢١ )
আর (নিদর্শন আছে) তোমাদের মাঝেও, তোমরা কি দেখ না?
وَفِى السَّمَاۤءِ رِزْقُكُمْ وَمَا تُوْعَدُوْنَ ( الذاريات: ٢٢ )
এবং আকাশে আছে তোমাদের রিযক আর আছে যার ও‘য়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে।
فَوَرَبِّ السَّمَاۤءِ وَالْاَرْضِ اِنَّهٗ لَحَقٌّ مِّثْلَ مَآ اَنَّكُمْ تَنْطِقُوْنَ ࣖ ( الذاريات: ٢٣ )
আকাশ ও যমীনের প্রতিপালকের শপথ! এ সব অবশ্যই সত্য, এমনই দৃঢ় সত্য যেমন তোমরা (যে কথাবার্তা) বলে থাক (সেই কথাবার্তা বলার ব্যাপারটা যেমন নিঃসন্দেহে সত্য)।
هَلْ اَتٰىكَ حَدِيْثُ ضَيْفِ اِبْرٰهِيْمَ الْمُكْرَمِيْنَۘ ( الذاريات: ٢٤ )
তোমার কাছে ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের খবর পৌঁছেছে কি?
اِذْ دَخَلُوْا عَلَيْهِ فَقَالُوْا سَلٰمًا ۗقَالَ سَلٰمٌۚ قَوْمٌ مُّنْكَرُوْنَ ( الذاريات: ٢٥ )
যখন তারা তার সামনে উপস্থিত হল তখন বলল, ‘সালাম’। সে উত্তর দিল- ‘সালাম’। (ইবরাহীম মনে মনে ভাবল এদেরকে তো দেখছি) অপরিচিত লোক।
فَرَاغَ اِلٰٓى اَهْلِهٖ فَجَاۤءَ بِعِجْلٍ سَمِيْنٍۙ ( الذاريات: ٢٦ )
তখন সে তাড়াতাড়ি তার ঘরের লোকেদের নিকট চলে গেল এবং একটি মোটাতাজা (ভাজা) বাছুর নিয়ে আসল।
فَقَرَّبَهٗٓ اِلَيْهِمْۚ قَالَ اَلَا تَأْكُلُوْنَ ( الذاريات: ٢٧ )
অতঃপর সেটিকে তাদের সামনে রেখে দিল এবং বলল- ‘তোমরা খাচ্ছ না কেন?’
فَاَوْجَسَ مِنْهُمْ خِيْفَةً ۗقَالُوْا لَا تَخَفْۗ وَبَشَّرُوْهُ بِغُلٰمٍ عَلِيْمٍ ( الذاريات: ٢٨ )
(যখন তারা খেল না) তখন সে তাদের ব্যাপারে মনে ভয় পেয়ে গেল। তারা বলল- ‘তুমি ভয় পেও না’, অতঃপর তারা তাকে এক জ্ঞানবান পুত্রের সুসংবাদ দিল।
فَاَقْبَلَتِ امْرَاَتُهٗ فِيْ صَرَّةٍ فَصَكَّتْ وَجْهَهَا وَقَالَتْ عَجُوْزٌ عَقِيْمٌ ( الذاريات: ٢٩ )
তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসল। সে নিজের কপালে আঘাত করে বলল ‘(আমি) এক বৃদ্ধা, বন্ধ্যা’ (আমার কীভাবে সন্তান হবে?)
قَالُوْا كَذٰلِكِۙ قَالَ رَبُّكِ ۗاِنَّهٗ هُوَ الْحَكِيْمُ الْعَلِيْمُ ۔ ( الذاريات: ٣٠ )
তারা বলল- ‘‘তোমার প্রতিপালক এ রকমই বলেছেন, তিনি মহা প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ"।