وَلَآ اَقُوْلُ لَكُمْ عِنْدِيْ خَزَاۤىِٕنُ اللّٰهِ وَلَآ اَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَآ اَقُوْلُ اِنِّيْ مَلَكٌ وَّلَآ اَقُوْلُ لِلَّذِيْنَ تَزْدَرِيْٓ اَعْيُنُكُمْ لَنْ يُّؤْتِيَهُمُ اللّٰهُ خَيْرًا ۗ اَللّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا فِيْٓ اَنْفُسِهِمْ ۚاِنِّيْٓ اِذًا لَّمِنَ الظّٰلِمِيْنَ ( هود: ٣١ )
আমি তো তোমাদেরকে এ কথা বলছি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধন-ভান্ডারসমূহ আছে। আর আমি অদৃশ্যের খবরও জানি না। আর আমি এ কথাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি এ কথাও বলি না যে, তোমাদের চোখ যে সব লোককে অবজ্ঞা করে, আল্লাহ কক্ষনো তাদের কল্যাণ করবেন না। তাদের অন্তরে কী আছে আল্লাহ্ই তা বেশী জানেন। (এ রকম কথা বললে) আমি তো যালিমদের শামিল হয়ে যাবো।
قَالُوْا يٰنُوْحُ قَدْ جَادَلْتَنَا فَاَ كْثَرْتَ جِدَالَنَا فَأْتِنَا بِمَا تَعِدُنَآ اِنْ كُنْتَ مِنَ الصّٰدِقِيْنَ ( هود: ٣٢ )
তারা বলল, ‘হে নূহ! তুমি আমাদের সাথে ঝগড়া করেছ, খুব বেশি বেশি ঝগড়া করেছ, এখন যার ভয় আমাদেরকে দেখাচ্ছ তা আমাদের কাছে নিয়ে এসো, যদি তুমি সত্যবাদী হও।’
قَالَ اِنَّمَا يَأْتِيْكُمْ بِهِ اللّٰهُ اِنْ شَاۤءَ وَمَآ اَنْتُمْ بِمُعْجِزِيْنَ ( هود: ٣٣ )
নূহ বলল, ‘‘আল্লাহই তা তোমাদের কাছে নিয়ে আসবেন যদি তিনি চান, তোমরা ব্যর্থ করতে পারবে না।
وَلَا يَنْفَعُكُمْ نُصْحِيْٓ اِنْ اَرَدْتُّ اَنْ اَنْصَحَ لَكُمْ اِنْ كَانَ اللّٰهُ يُرِيْدُ اَنْ يُّغْوِيَكُمْ ۗهُوَ رَبُّكُمْ ۗوَاِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَۗ ( هود: ٣٤ )
আমি তোমাদের কোন কল্যাণ করতে চাইলেও আমার কল্যাণ কামনা তোমাদের কোন উপকারে আসবে না যদি আল্লাহ তোমাদেরকে পথহারা করতে চান। তিনিই তোমাদের রবব, আর তাঁর কাছেই তোমরা ফিরে যাবে।’’
اَمْ يَقُوْلُوْنَ افْتَرٰىهُۗ قُلْ اِنِ افْتَرَيْتُهٗ فَعَلَيَّ اِجْرَامِيْ وَاَنَا۠ بَرِيْۤءٌ مِّمَّا تُجْرِمُوْنَ ࣖ ( هود: ٣٥ )
তারা কি বলে যে, এ লোকই এ সব রচনা করেছে? বল, আমি যদি তা রচনা করে থাকি, তাহলে আমার অপরাধের দায়িত্ব আমার উপর। তোমরা যে অপরাধ করেছ তাত্থেকে আমি মুক্ত।
وَاُوْحِيَ اِلٰى نُوْحٍ اَنَّهٗ لَنْ يُّؤْمِنَ مِنْ قَوْمِكَ اِلَّا مَنْ قَدْ اٰمَنَ فَلَا تَبْتَىِٕسْ بِمَا كَانُوْا يَفْعَلُوْنَۖ ( هود: ٣٦ )
নূহের কাছে ওয়াহী পাঠানো হয়েছিল যে, যারা ঈমান এনেছে তারা ছাড়া তোমার সম্প্রদায়ের আর কোন লোক কক্ষনো ঈমান আনবে না, কাজেই তারা যা করছে তার জন্য তুমি হা-হুতাশ করো না।
وَاصْنَعِ الْفُلْكَ بِاَعْيُنِنَا وَوَحْيِنَا وَلَا تُخَاطِبْنِيْ فِى الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا ۚاِنَّهُمْ مُّغْرَقُوْنَ ( هود: ٣٧ )
অতএব আমার পর্যবেক্ষণের অধীনে আর আমার ওয়াহী অনুসারে তুমি নৌকা তৈরি কর, আর যারা বাড়াবাড়ি করেছে তাদের ব্যাপারে আমার কাছে কোন আবেদন করো না, তারা অবশ্যই ডুববে।
وَيَصْنَعُ الْفُلْكَۗ وَكُلَّمَا مَرَّ عَلَيْهِ مَلَاٌ مِّنْ قَوْمِهٖ سَخِرُوْا مِنْهُ ۗقَالَ اِنْ تَسْخَرُوْا مِنَّا فَاِنَّا نَسْخَرُ مِنْكُمْ كَمَا تَسْخَرُوْنَۗ ( هود: ٣٨ )
নূহ নৌকা তৈরি করছিল, আর যখনই তার জাতির প্রধান ব্যক্তিরা তার নিকট দিয়ে যাচ্ছিল, তারা তাকে ঠাট্টা করছিল। সে বলল, ‘তোমরা যদি আমাদেরকে ঠাট্টা কর, তাহলে আমরাও তোমাদেরকে (ভবিষ্যতে) ঠাট্টা করব যেমনভাবে তোমরা (এখন) ঠাট্টা করছ,
فَسَوْفَ تَعْلَمُوْنَۙ مَنْ يَّأْتِيْهِ عَذَابٌ يُّخْزِيْهِ وَيَحِلُّ عَلَيْهِ عَذَابٌ مُّقِيْمٌ ( هود: ٣٩ )
তোমরা (শীঘ্রই) জানতে পারবে কার উপর লাঞ্ছনাকর ‘আযাব আসে আর কার উপর আসে স্থায়ী ‘আযাব।
حَتّٰىٓ اِذَا جَاۤءَ اَمْرُنَا وَفَارَ التَّنُّوْرُۙ قُلْنَا احْمِلْ فِيْهَا مِنْ كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ وَاَهْلَكَ اِلَّا مَنْ سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ وَمَنْ اٰمَنَ ۗوَمَآ اٰمَنَ مَعَهٗٓ اِلَّا قَلِيْلٌ ( هود: ٤٠ )
শেষে যখন আমার নির্দেশ এসে গেল, আর তন্দুর (পানিতে) উথলে উঠল, আমি বললাম, ‘প্রত্যেক শ্রেণীর যুগলের দু’টি তাতে তুলে নাও আর তোমার পরিবার পরিজনকে, তাদের ছাড়া যাদের ব্যাপারে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকেও (তুলে নাও)। তার সঙ্গে ঈমান এনেছিল খুব অল্প কয়েকজনই।