হে মু’মিনগণ! তোমাদেরকে যখন বলা হয়- ‘বৈঠক প্রশস্ত করে দাও’, তখন তোমরা তা প্রশস্ত করে দিবে, আল্লাহ তোমাদেরকে প্রশস্ততা দান করবেন। আর যখন বলা হয়- ‘তোমরা উঠে যাও’, তখন তোমরা উঠে যাবে। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে আর যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় উচ্চ করবেন। তোমরা যা কর আল্লাহ তার খবর রাখেন।
হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন রসূলের সঙ্গে গোপনে কথা বল, তখন গোপনে কথা বলার আগে সদাক্বাহ দাও, এটাই তোমাদের জন্য উত্তম ও অতি পবিত্র পন্থা। আর যদি সদাক্বাহ জোগাড় করতে না পার, তাহলে আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
তোমরা কি ভয় পেয়ে গেলে যে, তোমাদেরকে (নবীর সঙ্গে) গোপনে কথাবার্তা বলার আগে সদাক্বাহ দিতে হবে? তোমরা যদি তা না কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিলেন, কাজেই তোমরা নামায কায়িম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর। তোমরা যা কর সে বিষয়ে আল্লাহ পুরোপুরি অবগত।
তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা সেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে যেই সম্প্রদায়ের প্রতি আল্লাহ রাগান্বিত? তারা না তোমাদের লোক, আর না তাদের লোক আর তারা জেনে শুনে মিথ্যে শপথ করে।
আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন কঠিন শাস্তি, তারা যা করে তা কতই না মন্দ!
তারা তাদের শপথগুলোকে ঢাল বানিয়ে নিয়েছে, এর সাহায্যে তারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে, এ কারণে তাদের জন্য আছে অপমানজনক শাস্তি।
তাদের ধন-সম্পদ আর সন্তানাদি আল্লাহর শাস্তি থেকে তাদেরকে বাঁচানোর ব্যাপারে কোন কাজে আসবে না, তারা জাহান্নামের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।
আল্লাহ যেদিন তাদের সবাইকে আবার জীবিত করে উঠাবেন, তখন তারা আল্লাহর কাছে ঠিক সে রকম শপথই করবে, যেমন শপথ তারা তোমাদের নিকট করে, আর তারা মনে করে যে, তাদের কিছু (কোন ভিত্তি) আছে। জেনে রেখ, তারা খুবই মিথ্যেবাদী।
শয়ত্বান তাদের উপর প্রভাব খাটিয়ে বসেছে, আর তাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়ত্বানের দল। জেনে রেখ, শয়ত্বানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত।
যারা আল্লাহর ও তাঁর রসূলের বিরোধিতা করে, তারাই সবচেয়ে বেশী লাঞ্ছিতদের অন্তর্ভুক্ত।