আল্লাহ যদি মানুষকে তাদের সীমালঙ্ঘনের জন্য পাকড়াও করতেন, তাহলে যমীনের উপর কোন প্রাণীকেই তিনি রেহাই দিতেন না। কিন্তু তিনি একটা নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তাদেরকে সময় দেন। তাদের সময় এসে গেলে এক মুহূর্তও অগ্র-পশ্চাৎ করা হয় না।
তারা আল্লাহর জন্য তা-ই নির্ধারণ করে যা (নিজেদের জন্য) অপছন্দ করে, আর তাদের জিহবা মিথ্যা বলে যে, কল্যাণ তাদেরই জন্য। কোন সন্দেহ নেই যে, তাদের জন্য আছে আগুন আর সর্বপ্রথম তাদেরকেই সেখানে জলদি পৌঁছে দেয়া হবে।
আল্লাহর কসম! তোমার পূর্বে আমি বহু জাতির কাছে রসূল পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু শয়ত্বান তাদের কাছে তাদের কার্যকলাপকে শোভনীয় করে দিয়েছিল, আর আজ সে-ই তাদের অভিভাবক, তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি।
আমি তোমার প্রতি কিতাব এজন্য নাযিল করেছি যাতে তুমি সে সকল বিষয় স্পষ্ট করে দিতে পার যে বিষয়ে তারা মতভেদ করেছিল, আর (এ কিতাব) বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য পথপ্রদর্শক ও রহমাত স্বরূপ।
আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তার দ্বারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করেন। এতে ঐ সম্প্রদায়ের জন্য বহু নিদর্শন আছে যারা লক্ষ্য করে শুনে।
তোমাদের জন্য গবাদি পশুতেও অবশ্যই শিক্ষা নিহিত আছে। তোমাদেরকে পান করাই ওদের পেটের গোবর আর রক্তের মাঝ থেকে বিশুদ্ধ দুগ্ধ যা পানকারীদের জন্য খুবই উপাদেয়।
আর খেজুর ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা মদ ও উত্তম খাদ্য প্রস্তুত কর, জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।
তোমার প্রতিপালক মৌমাছির প্রতি এলহাম করেছেন যে, পাহাড়ে, বৃক্ষে আর উঁচু চালে বাসা তৈরি কর।
অতঃপর প্রত্যেক ফল থেকে আহার কর, অতঃপর তোমার প্রতিপালকের (শিখানো) সহজ পদ্ধতি অনুসরণ কর। এর পেট থেকে রং-বেরং এর পানীয় বের হয়। এতে মানুষের জন্য আছে আরোগ্য। চিন্তাশীল মানুষের জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে।
আল্লাহ্ই তোমাদেরকে পয়দা করেছেন, অতঃপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন। তোমাদের কাউকে অকর্মণ্য বয়সে ফিরিয়ে দেয়া হয়, যাতে জ্ঞান লাভ করার পরেও আর কোন কিছুর জ্ঞান থাকে না। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী, সর্বাপেক্ষা শক্তিমান।