وَقَالَتْ لِاُخْتِهٖ قُصِّيْهِۗ فَبَصُرَتْ بِهٖ عَنْ جُنُبٍ وَّهُمْ لَا يَشْعُرُوْنَ ۙ ( القصص: ١١ )
মূসার মা মূসার বোনকে বলল- ‘তার পিছনে পিছনে যাও।’ সে দূর থেকে তাকে দেখছিল কিন্তু তারা টের পায়নি।
۞ وَحَرَّمْنَا عَلَيْهِ الْمَرَاضِعَ مِنْ قَبْلُ فَقَالَتْ هَلْ اَدُلُّكُمْ عَلٰٓى اَهْلِ بَيْتٍ يَّكْفُلُوْنَهٗ لَكُمْ وَهُمْ لَهٗ نَاصِحُوْنَ ( القصص: ١٢ )
আগে থেকে আমি তাকে ধাত্রী-স্তন্য পান থেকে বিরত রেখেছিলাম। মূসার বোন বলল- ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন একটা পরিবারের খোঁজ দেব যারা তাকে তোমাদের পক্ষে লালন পালন করবে আর তারা হবে তার হিতাকাঙ্ক্ষী।’
فَرَدَدْنٰهُ اِلٰٓى اُمِّهٖ كَيْ تَقَرَّ عَيْنُهَا وَلَا تَحْزَنَ وَلِتَعْلَمَ اَنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّلٰكِنَّ اَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ ࣖ ( القصص: ١٣ )
এভাবে আমি তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে আনলাম যাতে তার চোখ জুড়ায়, সে দুঃখ না করে আর জানতে পারে যে, আল্লাহর ও‘য়াদা সত্য; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।
وَلَمَّا بَلَغَ اَشُدَّهٗ وَاسْتَوٰىٓ اٰتَيْنٰهُ حُكْمًا وَّعِلْمًاۗ وَكَذٰلِكَ نَجْزِى الْمُحْسِنِيْنَ ( القصص: ١٤ )
মূসা যখন যৌবনে পদার্পণ করল আর পূর্ণ পরিণত হল, তখন আমি তাকে হিকমত ও জ্ঞান দান করলাম; আমি সৎকর্মশীলদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত করে থাকি।
وَدَخَلَ الْمَدِيْنَةَ عَلٰى حِيْنِ غَفْلَةٍ مِّنْ اَهْلِهَا فَوَجَدَ فِيْهَا رَجُلَيْنِ يَقْتَتِلٰنِۖ هٰذَا مِنْ شِيْعَتِهٖ وَهٰذَا مِنْ عَدُوِّهٖۚ فَاسْتَغَاثَهُ الَّذِيْ مِنْ شِيْعَتِهٖ عَلَى الَّذِيْ مِنْ عَدُوِّهٖ ۙفَوَكَزَهٗ مُوْسٰى فَقَضٰى عَلَيْهِۖ قَالَ هٰذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطٰنِۗ اِنَّهٗ عَدُوٌّ مُّضِلٌّ مُّبِيْنٌ ( القصص: ١٥ )
সে শহরে প্রবেশ করল যখন সেখানের লোকেরা অসতর্ক অবস্থায় ছিল। তখন সে দু’জন লোককে সংঘর্ষরত অবস্থায় পেল। একজন তার দলের, অপরজন তার শত্রুদলের। তখন তার দলের লোকটি তার শত্রুদলের লোকটির বিরুদ্ধে তার কাছে সাহায্যের আবেদন জানালো। তখন মূসা তাকে ঘুসি মারল এবং হত্যা করে ফেলল। মূসা বলল- ‘এটা শয়ত্বানের কাজ। সে নিশ্চয় প্রকাশ্য শত্রু, গুমরাহকারী।’
قَالَ رَبِّ اِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ فَغَفَرَ لَهٗ ۗاِنَّهٗ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ ( القصص: ١٦ )
সে বলল- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি নিজের আত্মার উপর যুলম করেছি, অতএব আমাকে ক্ষমা কর।’ অতঃপর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন, অবশ্যই তিনি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
قَالَ رَبِّ بِمَآ اَنْعَمْتَ عَلَيَّ فَلَنْ اَكُوْنَ ظَهِيْرًا لِّلْمُجْرِمِيْنَ ( القصص: ١٧ )
মূসা বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি যেহেতু আমার উপর অনুগ্রহ করেছ, কাজেই আমি কক্ষনো পাপীদের সাহায্যকারী হব না।’
فَاَصْبَحَ فِى الْمَدِيْنَةِ خَاۤىِٕفًا يَّتَرَقَّبُ فَاِذَا الَّذِى اسْتَنْصَرَهٗ بِالْاَمْسِ يَسْتَصْرِخُهٗ ۗقَالَ لَهٗ مُوْسٰٓى اِنَّكَ لَغَوِيٌّ مُّبِيْنٌ ( القصص: ١٨ )
শহরে তার সকাল হল ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়। হঠাৎ সে শুনল যে লোকটি গতকাল তার কাছে সাহায্য চেয়েছিল (আবার) সে সাহায্যের জন্য চীৎকার করছে। মূসা তাকে বলল- ‘তুমি প্রকাশ্যই একজন বেওকুফ লোক।
فَلَمَّآ اَنْ اَرَادَ اَنْ يَّبْطِشَ بِالَّذِيْ هُوَ عَدُوٌّ لَّهُمَاۙ قَالَ يٰمُوْسٰٓى اَتُرِيْدُ اَنْ تَقْتُلَنِيْ كَمَا قَتَلْتَ نَفْسًاۢ بِالْاَمْسِۖ اِنْ تُرِيْدُ اِلَّآ اَنْ تَكُوْنَ جَبَّارًا فِى الْاَرْضِ وَمَا تُرِيْدُ اَنْ تَكُوْنَ مِنَ الْمُصْلِحِيْنَ ( القصص: ١٩ )
অতঃপর মূসা যখন উভয়ের শত্রুকে ধরতে উদ্যত হল, তখন সে বলল- ‘ওহে মূসা! তুমি কি আমাকে হত্যা করতে চাও যেভাবে গতকাল একটা লোককে হত্যা করেছ, তুমি তো পৃথিবীতে স্বেচ্ছাচারী হতে চাচ্ছ, সংশোধনকারীদের মধ্যে গণ্য হতে চাচ্ছ না।’
وَجَاۤءَ رَجُلٌ مِّنْ اَقْصَى الْمَدِيْنَةِ يَسْعٰىۖ قَالَ يٰمُوْسٰٓى اِنَّ الْمَلَاَ يَأْتَمِرُوْنَ بِكَ لِيَقْتُلُوْكَ فَاخْرُجْ اِنِّيْ لَكَ مِنَ النّٰصِحِيْنَ ( القصص: ٢٠ )
নগরের প্রান্ত হতে এক লোক ছুটে আসল। সে বলল- ‘হে মূসা! পারিষদগণ তোমাকে হত্যার পরামর্শ করছে, কাজেই তুমি বাইরে চলে যাও, আমি তোমার হিতাকাঙ্ক্ষী।