Skip to main content

وَإِذَا
এবং যখন
ضَرَبْتُمْ
তোমরা সফর কর
فِى
(মধ্যে)
ٱلْأَرْضِ
জমিনে
فَلَيْسَ
নাই তখন
عَلَيْكُمْ
তোমাদের উপর
جُنَاحٌ
কোন গুনাহ
أَن
যে
تَقْصُرُوا۟
তোমরা কসর করবে
مِنَ
থেকে
ٱلصَّلَوٰةِ
সলাতে
إِنْ
যদি
خِفْتُمْ
তোমরা ভয় কর
أَن
যে
يَفْتِنَكُمُ
তোমাদের বিপদে ফেলবে
ٱلَّذِينَ
যারা
كَفَرُوٓا۟ۚ
কুফরী করেছে
إِنَّ
নিশ্চয়ই
ٱلْكَٰفِرِينَ
কাফিররা
كَانُوا۟
হলো
لَكُمْ
তোমাদের জন্য
عَدُوًّا
শত্রু
مُّبِينًا
প্রকাশ্য

যখন তোমরা দেশে-বিদেশে সফর কর, তখন নামায কসর করাতে তোমাদের কিছুমাত্র দোষ নেই, যদি তোমরা ভয় কর যে, কাফিরগণ তোমাদেরকে বিপদগ্রস্ত করবে। নিঃসন্দেহে কাফিরগণ তো তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

ব্যাখ্যা

وَإِذَا
এবং (হে নবী) যখন
كُنتَ
তুমি হও
فِيهِمْ
তাদের মধ্যে
فَأَقَمْتَ
তুমি অতঃপর কায়েম করবে
لَهُمُ
তাদের জন্য
ٱلصَّلَوٰةَ
সলাত
فَلْتَقُمْ
দাঁড়ায় যেন তখন
طَآئِفَةٌ
একদল
مِّنْهُم
তাদের মধ্য হতে
مَّعَكَ
তোমার সাথে
وَلْيَأْخُذُوٓا۟
এবং তারা যেন রাখে
أَسْلِحَتَهُمْ
তাদের অস্ত্র (তাদের কাছে)
فَإِذَا
অতঃপর যখন
سَجَدُوا۟
তারা সিজদা করে ফেলে
فَلْيَكُونُوا۟
তারা তখন হবে
مِن
(থেকে)
وَرَآئِكُمْ
তোমাদের পিছনে
وَلْتَأْتِ
এবং আসে যেন
طَآئِفَةٌ
দল
أُخْرَىٰ
অন্য (যারা)
لَمْ
নাই
يُصَلُّوا۟
সলাত পড়ে
فَلْيُصَلُّوا۟
তারা পড়ে যেন তখন
مَعَكَ
তোমার সাথে
وَلْيَأْخُذُوا۟
ও তারাও রাখে যেন
حِذْرَهُمْ
সতর্কতা তাদের
وَأَسْلِحَتَهُمْۗ
ও তাদের অস্ত্রশস্ত্র (তাদের কাছে)
وَدَّ
কামনা করে
ٱلَّذِينَ
যারা
كَفَرُوا۟
কুফরী করেছে
لَوْ
যদি
تَغْفُلُونَ
গাফিল হও তোমরা
عَنْ
হতে
أَسْلِحَتِكُمْ
তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র
وَأَمْتِعَتِكُمْ
ও সাজসরঞ্জাম (হতে)
فَيَمِيلُونَ
তারা তবে আক্রমণ করবে
عَلَيْكُم
তোমাদের উপর
مَّيْلَةً
আক্রমণ
وَٰحِدَةًۚ
একবারই
وَلَا
এবং না (হবে)
جُنَاحَ
গুনাহ
عَلَيْكُمْ
তোমাদের উপর
إِن
যদি
كَانَ
হয়
بِكُمْ
তোমাদের
أَذًى
কষ্ট
مِّن
হতে
مَّطَرٍ
বৃষ্টি
أَوْ
অথবা
كُنتُم
তোমরা হও
مَّرْضَىٰٓ
অসুস্থ
أَن
(যে)
تَضَعُوٓا۟
তোমাদের সংবরণ করায়
أَسْلِحَتَكُمْۖ
তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র
وَخُذُوا۟
কিন্তু তোমরা অবলম্বন করবে
حِذْرَكُمْۗ
তোমাদের সতর্কতা
إِنَّ
নিশ্চয়ই
ٱللَّهَ
আল্লাহ্‌
أَعَدَّ
প্রস্তুত করে রেখেছেন
لِلْكَٰفِرِينَ
কাফিরদের জন্য
عَذَابًا
আজাব
مُّهِينًا
লাঞ্ছনাকর

এবং যখন তুমি মু’মিনদের মাঝে অবস্থান করবে আর তাদের সঙ্গে নামায কায়িম করবে তখন তাদের একটি দল যেন তোমার সঙ্গে দাঁড়ায় এবং সশস্ত্র থাকে, তাদের সাজদাহ করা হলে তারা যেন তোমাদের পশ্চাতে অবস্থান করে এবং অপর যে দলটি নামায আদায় করেনি তারা যেন তোমার সঙ্গে নামায আদায় করে এবং সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে; কাফিরগণ কামনা করে যে, তোমরা যেন তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জামের ব্যাপারে অসতর্ক হও, যাতে তারা একজোটে তোমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। যদি তোমাদের বৃষ্টির কারণে কষ্ট হয়, কিংবা তোমরা পীড়িত হও, তবে অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন গুনাহ নেই, কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করবে, আল্লাহ কাফিরদের জন্য অবমাননাকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।

ব্যাখ্যা

فَإِذَا
অতঃপর যখন
قَضَيْتُمُ
তোমরা সমাপ্ত কর
ٱلصَّلَوٰةَ
সলাত
فَٱذْكُرُوا۟
তোমরা তখন স্মরণ কর
ٱللَّهَ
আল্লাহকে
قِيَٰمًا
দাঁড়িয়ে
وَقُعُودًا
ও বসে
وَعَلَىٰ
ও উপর
جُنُوبِكُمْۚ
তোমাদের পাশগুলোর (অর্থাৎ শুয়ে)
فَإِذَا
যখন অতঃপর
ٱطْمَأْنَنتُمْ
তোমরা নিরাপদ হও
فَأَقِيمُوا۟
তোমরা তখন কায়েম কর
ٱلصَّلَوٰةَۚ
সলাত
إِنَّ
নিশ্চয়ই
ٱلصَّلَوٰةَ
সলাত
كَانَتْ
হলো
عَلَى
উপর
ٱلْمُؤْمِنِينَ
মু'মিনদের
كِتَٰبًا
ফরজ
مَّوْقُوتًا
নির্দিষ্ট সময়ে

যখন তোমরা নামায আদায় করে নেবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে, অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন (যথানিয়মে) নামায কায়িম করবে। নির্দিষ্ট সময়ে নামায কায়িম করা মু’মিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।

ব্যাখ্যা

وَلَا
এবং না
تَهِنُوا۟
তোমরা হতোদ্যম হয়ো
فِى
(মধ্যে)
ٱبْتِغَآءِ
পশ্চাদ্ধাবনে
ٱلْقَوْمِۖ
(শত্রু) জাতির
إِن
যদি
تَكُونُوا۟
পেয়ে থাকো
تَأْلَمُونَ
তোমরা যন্ত্রণা
فَإِنَّهُمْ
নিশ্চয় তবে তারাও
يَأْلَمُونَ
যন্ত্রণা পায়
كَمَا
যেমন
تَأْلَمُونَۖ
তোমরা যন্ত্রণা পাও
وَتَرْجُونَ
আর তোমরা আশা কর (পুরস্কার)
مِنَ
হতে
ٱللَّهِ
আল্লাহ
مَا
যা
لَا
না
يَرْجُونَۗ
তারা আশা করে
وَكَانَ
এবং হলেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
عَلِيمًا
সর্বজ্ঞ
حَكِيمًا
প্রজ্ঞাময়

এ (শত্রু) কওমের পশ্চাদ্ধাবণে দুর্বলতা দেখাবে না, কেননা যদি তোমরা কষ্ট পাও, তবে তোমাদের মত তারাও তো কষ্ট পায়, আর তোমরা আল্লাহ হতে এমন কিছু আশা কর, যা তারা আশা করে না। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, বিজ্ঞানময়।

ব্যাখ্যা

إِنَّآ
আমরা নিশ্চয়ই
أَنزَلْنَآ
আমরা নাযিল করেছি
إِلَيْكَ
তোমার প্রতি
ٱلْكِتَٰبَ
(এই) গ্রন্থখানি
بِٱلْحَقِّ
সত্য সহকারে
لِتَحْكُمَ
তুমি যাতে বিচার কর
بَيْنَ
মাঝে
ٱلنَّاسِ
লোকদের
بِمَآ
তেমনি যা
أَرَىٰكَ
তোমাকে দেখিয়েছেন
ٱللَّهُۚ
আল্লাহ
وَلَا
এবং না
تَكُن
তুমি হয়ো
لِّلْخَآئِنِينَ
খিয়ানতকারীদের জন্য
خَصِيمًا
বিতর্ককারী

অবশ্যই আমি সত্য সহকারে তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যেন তুমি যা আল্লাহ তোমাকে জানিয়েছেন, সে অনুসারে মানুষের মধ্যে বিচার ফায়সালা কর এবং খিয়ানতকারীদের পক্ষে তর্ক করো না।

ব্যাখ্যা

وَٱسْتَغْفِرِ
এবং ক্ষমা চাও (কাছে)
ٱللَّهَۖ
আল্লাহর
إِنَّ
নিশ্চয়ই
ٱللَّهَ
আল্লাহ
كَانَ
হলেন
غَفُورًا
ক্ষমাশীল
رَّحِيمًا
মেহেরবান

আর আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও, নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

ব্যাখ্যা

وَلَا
এবং না
تُجَٰدِلْ
তুমি বিসম্বাদ করো
عَنِ
(তাদের) জন্য
ٱلَّذِينَ
যারা
يَخْتَانُونَ
খিয়ানত করে
أَنفُسَهُمْۚ
তাদের নিজেদের (উপর)
إِنَّ
নিশ্চয়ই
ٱللَّهَ
আল্লাহ
لَا
না
يُحِبُّ
পছন্দ করেন
مَن
যে
كَانَ
হবে
خَوَّانًا
খিয়ানতকারী
أَثِيمًا
পাপিষ্ঠ

নিজেদের (বিবেক ও জ্ঞানের) প্রতি খিয়ানতকারীদের পক্ষে তুমি বাদানুবাদ করো না, কারণ আল্লাহ অতি খিয়ানতকারী চরম পাপীকে পছন্দ করেন না।

ব্যাখ্যা

يَسْتَخْفُونَ
তারা লুকাতে চায়
مِنَ
থেকে
ٱلنَّاسِ
লোকদের
وَلَا
অথচ না
يَسْتَخْفُونَ
তারা লুকাতে পারে
مِنَ
থেকে
ٱللَّهِ
আল্লাহ
وَهُوَ
ও তিনি (ছিলেন)
مَعَهُمْ
তাদের সাথে
إِذْ
যখন
يُبَيِّتُونَ
তারা রাতে পরামর্শ করে
مَا
যা
لَا
না
يَرْضَىٰ
তিনি পছন্দ করেন
مِنَ
(থেকে)
ٱلْقَوْلِۚ
(কুট-কৌশলের) কথাবার্তা
وَكَانَ
এবং হলেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
بِمَا
ঐ বিষয় যা
يَعْمَلُونَ
তারা কাজ করছে
مُحِيطًا
আয়ত্তকারী

তারা মানুষ হতে গোপন করে থাকে, কিন্তু তারা আল্লাহ হতে গোপন করতে পারে না; কেননা যে সময়ে তারা রাত্রে এমন বিষয়ে পরামর্শ করে যা আল্লাহ পছন্দ করেন না, তখনও তিনি তাদের সঙ্গেই থাকেন; আল্লাহ তাদের সমুদয় কার্যকলাপকে বেষ্টন করে আছেন।

ব্যাখ্যা

هَٰٓأَنتُمْ
হ্যাঁ তোমরাই
هَٰٓؤُلَآءِ
ঐসব লোক (যারা)
جَٰدَلْتُمْ
তোমরা ঝগড়া করেছ
عَنْهُمْ
তাদের পক্ষে
فِى
(মধ্যে)
ٱلْحَيَوٰةِ
জীবনে
ٱلدُّنْيَا
দুনিয়ায়
فَمَن
কে অতঃপর
يُجَٰدِلُ
ঝগড়া করবে
ٱللَّهَ
আল্লাহর (সাথে)
عَنْهُمْ
তাদের পক্ষে
يَوْمَ
দিনে
ٱلْقِيَٰمَةِ
কিয়ামাতের
أَم
অথবা
مَّن
কে
يَكُونُ
হবে
عَلَيْهِمْ
তাদের পক্ষে
وَكِيلًا
উকিল

দেখ, ওরা সেই লোক যাদের পক্ষে পার্থিব জীবনে তোমরা বিতর্ক করছ কিন্তু ক্বিয়ামাত দিবসে তাদের পক্ষ হতে আল্লাহর সম্মুখে কে ঝগড়া করবে? কিংবা কে তাদের উকীল হবে?

ব্যাখ্যা

وَمَن
এবং যে
يَعْمَلْ
কাজ করবে
سُوٓءًا
মন্দ
أَوْ
বা
يَظْلِمْ
জুলুম করবে
نَفْسَهُۥ
তার নিজের উপর
ثُمَّ
এরপর
يَسْتَغْفِرِ
ক্ষমা চাইবে
ٱللَّهَ
আল্লাহর (কাছে)
يَجِدِ
সে পাবে
ٱللَّهَ
আল্লাহকে
غَفُورًا
ক্ষমাশীল
رَّحِيمًا
মেহেরবান হিসেবে

যে ব্যক্তি অসৎকাজ করে কিংবা নিজের আত্মার প্রতি যুলম করে, অতঃপর আল্লাহ হতে ক্ষমা ভিক্ষে করে, সে আল্লাহকে অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু পাবে।

ব্যাখ্যা