কী! তাদের কি এমন শরীক আছে যারা তাদের জন্য দ্বীনের বিধি-বিধান দিয়েছে যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? ফয়সালা সম্পর্কিত (পূর্ব) ঘোষণা দেয়া না হলে তাদের মধ্যে (তৎক্ষণাৎ) ফয়সালা করে দেয়া হত। যালিমদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
যালিমদেরকে তুমি তাদের কৃতকর্মের কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখতে পাবে। তাদের কর্মের শাস্তি অবশ্যই তাদের উপর পতিত হবে। আর যারা ঈমান এনেছে আর সৎকর্ম করেছে তারা জান্নাতের বাগিচায় অবস্থান করবে। তারা যা ইচ্ছে করবে, তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট তা-ই আছে। ওটাই অতি বড় অনুগ্রহ।
এটা হল তাই আল্লাহ যার সুসংবাদ দিয়েছেন তাঁর সে সব বান্দাহদের জন্য যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে। বল, এ কাজের জন্য আত্মীয়তার ভালবাসা ছাড়া তোমাদের কাছে কিছুই চাই না। যে কেউ উত্তম কাজ করে, আমি তার জন্য তাতে পুণ্য বাড়িয়ে দেই। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, ভাল কাজের বড়ই মর্যাদাদানকারী।
তারা কি বলে যে, এ লোক আল্লাহর নামে মিথ্যা রচনা করেছে? আল্লাহ চাইলে তোমার হৃদয়ে মোহর মেরে দিতেন। বস্তুতঃ তিনি মিথ্যাকে মিটিয়ে দেন এবং নিজ বাক্য দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি (সকলের) অন্তরে নিহিত বিষয় সম্পর্কে খুবই অবগত।
তিনি তাঁর বান্দাহদের তাওবাহ ক্ববূল করেন, পাপ ক্ষমা করেন আর তিনি জানেন তোমরা যা কর।
যারা ঈমান আনে আর সৎকর্ম করে তিনি তাদের আহবান শুনেন, আর তিনি তাদের প্রতি নিজ অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন আর কাফিরদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি।
আল্লাহ যদি তাঁর সকল বান্দাহদের জন্য রিযক পর্যাপ্ত করে দিতেন, তাহলে তারা অবশ্যই যমীনে বিদ্রোহ সৃষ্টি করত; কিন্তু তিনি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে যতটুকু ইচ্ছে নাযিল করেন। তিনি তাঁর বান্দাহ্দের সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল, তিনি তাদের প্রতি সর্বদা দৃষ্টি রাখেন।
মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন, আর স্বীয় রহমত ছড়িয়ে দেন, তিনি-ই সকল গুণে প্রশংসিত প্রকৃত অভিভাবক।
তাঁর নিদর্শনসমূহের অন্তর্গত হল আসমান ও যমীনের সৃষ্টি, আর এ দু’য়ের ভিতর যে প্রাণীকুল ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। আর যখন ইচ্ছে তিনি তাদেরকে একত্রিত করতে সক্ষম।
তোমাদের উপর যে বিপদই উপনীত হয় তা তোমাদের হাতের উপার্জনের কারণেই, তিনি অনেক অপরাধই ক্ষমা করে দেন।