কী! তোমাদের জন্য পুত্র সন্তান আর আল্লাহর জন্য কন্যা সন্তান?
তাহলে এটাতো খুবই অসঙ্গত ভাগ-বাঁটোয়ারা।
এগুলো তো কেবল কতকগুলো নাম যে নাম তোমরা আর তোমাদের পিতৃ পৃরুষরা রেখেছ, এর পক্ষে আল্লাহ কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। তারা তো শুধু অনুমান আর প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, যদিও তাদের কাছে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে।
মানুষ কি তাই পায় যা সে চায়? (আল্লাহ যাকে যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে দেন ইহকালে আর পরকালে),
কেননা আল্লাহই পরকাল আর ইহকালের মালিক।
আকাশে কতই না ফেরেশতা আছে তাদের সুপারিশ কোনই কাজে আসবে না, তবে (কাজে আসবে) যদি তিনি অনুমতি দেন যার জন্য আল্লাহ ইচ্ছে করবেন এবং যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট।
যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তারাই ফেরেশতাদের স্ত্রীবাচক নামে নামকরণ করে থাকে।
অথচ এ বিষয়ে তাদের কোনই জ্ঞান নেই, তারা কেবল অনুমানেরই অনুসরণ করছে, আর প্রকৃত সত্যের মুকাবালায় অনুমান কোনই কাজে আসে না।
কাজেই যে আমার স্মরণ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় আর পার্থিব জীবন ছাড়া (অন্য কিছুই) কামনা করে না, তুমি তাকে এড়িয়ে চল।
তাদের জ্ঞানের দৌড় ঐ পর্যন্তই। তোমার প্রতিপালক খুব ভাল করেই জানেন কে তার পথ থেকে গুমরাহ হয়ে গেছে, আর তিনি ভালই জানেন কে সঠিক পথে আছে।