اِنَّا لَمَّا طَغَا الْمَاۤءُ حَمَلْنٰكُمْ فِى الْجَارِيَةِۙ ( الحاقة: ١١ )
(নূহের বানের) পানি যখন কূল ছাপিয়ে সীমা ছাড়িয়ে গেল, তখন আমি তোমাদেরকে চলন্ত নৌযানে আরোহণ করালাম।
لِنَجْعَلَهَا لَكُمْ تَذْكِرَةً وَّتَعِيَهَآ اُذُنٌ وَّاعِيَةٌ ( الحاقة: ١٢ )
যেন এ ঘটনাটিকে আমি তোমাদের জন্য শিক্ষাপ্রদ-স্মারক করে রাখি আর সংরক্ষণকারী কান তা সংরক্ষণ করে।
فَاِذَا نُفِخَ فِى الصُّوْرِ نَفْخَةٌ وَّاحِدَةٌ ۙ ( الحاقة: ١٣ )
অতঃপর যখন সিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে- মাত্র একটি ফুঁৎকার।
وَّحُمِلَتِ الْاَرْضُ وَالْجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةً وَّاحِدَةًۙ ( الحاقة: ١٤ )
পৃথিবী আর পর্বতমালা উৎক্ষিপ্ত হবে আর একই আঘাতে তাদেরকে চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে।
فَيَوْمَىِٕذٍ وَّقَعَتِ الْوَاقِعَةُۙ ( الحاقة: ١٥ )
সেদিন ঘটবে সেই সংঘটিতব্য (মহা) ঘটনা।
وَانْشَقَّتِ السَّمَاۤءُ فَهِيَ يَوْمَىِٕذٍ وَّاهِيَةٌۙ ( الحاقة: ١٦ )
আকাশ হয়ে যাবে দীর্ণ বিদীর্ণ আর সেদিন তা হবে বাঁধন-হারা-বিক্ষিপ্ত।
وَّالْمَلَكُ عَلٰٓى اَرْجَاۤىِٕهَاۗ وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَىِٕذٍ ثَمٰنِيَةٌ ۗ ( الحاقة: ١٧ )
ফেরেশতারা থাকবে আকাশের আশে পাশে। আটজন ফেরেশতা সেদিন তোমার প্রতিপালকের ‘আরশ নিজেদের ঊর্ধ্বে বহন করবে।
يَوْمَىِٕذٍ تُعْرَضُوْنَ لَا تَخْفٰى مِنْكُمْ خَافِيَةٌ ( الحاقة: ١٨ )
সেদিন তোমাদেরকে (বিচারের জন্য) হাজির করা হবে আর তোমাদের কোন কাজই- যা তোমরা গোপন কর- গোপন থাকবে না।
فَاَمَّا مَنْ اُوْتِيَ كِتٰبَهٗ بِيَمِيْنِهٖ فَيَقُوْلُ هَاۤؤُمُ اقْرَءُوْا كِتٰبِيَهْۚ ( الحاقة: ١٩ )
তখন যাকে তার ‘আমালনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে সে বলবে, ‘এই যে আমার ‘আমালানামা পড়ে দেখ,
اِنِّيْ ظَنَنْتُ اَنِّيْ مُلٰقٍ حِسَابِيَهْۚ ( الحاقة: ٢٠ )
আমি জানতাম যে, আমাকে আমার হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে।’